Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘সুনার’ ভারতে মৃত্যু মিছিল,
নষ্টামির দায় কার?

হিমাংশু সিংহ

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার রসপাল সিং। দিল্লির পশ্চিম বিহারের বাসিন্দা। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন দিল্লির কমান্ড হাসপাতালে। সেনা হাসপাতালে বেড নেই বলে তাঁকে ভর্তি করা যায়নি। একবার নয়, পরপর দু’দিন ফেরানো হয় তাঁকে। একদশক আগের পরিচয়পত্র, সেনারই দেওয়া উজ্জ্বল সাটিফিকেট সব দেখিয়েও কোনও কাজ হয়নি। চিকিৎসা না পেয়ে ততক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ধীরে ধীরে তলানিতে। উপায় না দেখে তাঁর ছেলে গাড়ি করে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হরিয়ানার মিলিটারি হাসপাতালে। যদি কোনওভাবে একটা বেড মেলে। গাড়ির মধ্যে তখন যমে-মানুষে টানাটানি। শ্বাসকষ্ট চরমে ব্রিগেডিয়ারের। সেই অবস্থাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। পেলেন না ওষুধ, অক্সিজেন। সাধারণ পথ্যটুকুও। হাসপাতালের অদূরেই নিভে গেল ভারতীয় সেনার এক অবসরপ্রাপ্ত যোদ্ধার জীবনদীপ।
এ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশের কোনায় কোনায়, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে গত দু’সপ্তাহে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এরকমই হাজার হাজার মর্মান্তিক হৃদয় বিদীর্ণ করা কাহিনি উঁকি মারছে আজ। চারদিকে শুধু স্বজন হারানোর হাহাকার। সকাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজে ভারী হয়ে উঠছে চারপাশের পরিবেশ। মিলছে না বেড। অনেক যুদ্ধ করে বেড মিললেও ডাক্তার অমিল। আবার ডাক্তার পাওয়া গেলেও নেই অক্সিজেন। সুযোগ বুঝে চলছে জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি। চাইলে ভগবান মেলে, কিন্তু অক্সিজেন, রেমডিসিভির মেলে না, এ কোন মৃত্যু উপত্যকায় আজ বাস আমাদের! সবমিলিয়ে চারদিক থেকে মানুষের আত্মবিশ্বাসকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার কী প্রকাণ্ড আয়োজন! আর কেন্দ্রের সরকার সব দেখেও কেমন নির্বিকার, স্থবির! 
দেশ চুলোয় যাক, সরকারের দুই স্থপতি কয়েকমাস যাবৎ শুধু নিয়ম করে হাওয়াই জাহাজে এসেছেন আর ঘুরেছেন। আর বাংলা দখলের দু’শো ফিরিস্তি হাজির করেছেন। এই সেদিনও ভিড় জমিয়েছেন উত্তর থেকে দক্ষিণ। ‘জয় শ্রীরাম’ আর ‘দিদি ও দিদি’ বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেছেন গোটা বাঙালি সমাজের দিকে। চোখে সব দখলের আগুন।  হিটলারকে চাক্ষুষ করিনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিশ্চিতভাবে এক মেগালোম্যানিয়াকের সন্ধান দিয়েছে, যিনি কৃপাণ হাতে বাংলার অস্মিতাকে 
ধ্বংস করতে উদ্যত। বারবার এসে দূরত্ববিধি ভেঙেছেন, কিন্তু ওষুধ পথ্য অক্সিজেন নিয়ে একটি কথাও বলেননি। দুঃসময়ে বাংলাকে দু’হাজার ভেন্টিলেটর দিলাম, রেমডিসিভিরের বরাত দ্বিগুণ করে দিলাম, এমন আশ্বাসবাণী দিতে শুনেছেন কেউ! গরিবের ঘরে পাত পেড়ে খেয়েছেন, অনেক নাটক করেছেন, তারপর তার সংসার চলছে কি না সে খোঁজ আর নেওয়া হয়ে ওঠেনি হাজার কাজের ভিড়ে। শুধু ‘সুনার বাংলা’ গড়ব বলেই ফিরে গিয়েছেন দিল্লির কোলে।
প্রশ্ন উঠছে, বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে সতর্ক করার পরও মোদি সরকার কি সতর্ক হয়েছিল? আগাম ভ্যাকসিন নীতি, অক্সিজেন সরবরাহের প্ল্যান কিংবা দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য হাসপাতালে বেড বাড়ানোর কোনও ব্লুপ্রিন্ট কেন আগে থেকেই তৈরি করা হয়নি? কেন সুপ্রিম কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ এই কঠিন সময়ে ভর্ৎসনা করতে হবে সরকারকে? বলতে হবে, সরকার বাহাদুর আপনাদের প্ল্যানটা কী জানান। এই কাজটা কি একটা দায়িত্বশীল সরকারের অনেক আগে থেকেই করা উচিত ছিল না? বিশেষ করে সেই সরকার, যার একটাই ব্রত, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। তার বদলে এ তো দেখছি সবকা বিনাশ নিশ্চিত হতে চলেছে!
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হতে পারে জেনেও ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর তা সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে মোদি সরকার ব্যবস্থা নেয়নি, কেন? গোটা বিশ্ব জানে, করোনা ভ্যাকসিনের বৃহত্তম প্রস্তুতকারক দেশের নাম ভারত। সেই হিসেবে ভারতে টিকাকরণের সামনে কোনও সঙ্কট থাকার কথা নয়। তাহলে টিকা নিয়ে এই পরিকল্পনার অভাব কেন? নতুন করে মারণ ভাইরাস চেপে বসতেই  পলেস্তারা খসে আমাদের ভগ্ন স্বাস্থ্যব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছে। রাজ্যে রাজ্যে দেখা দিয়েছে আকাল। তার একটা বড় কারণ দেশের প্রয়োজন মেটানোয় অগ্রাধিকার দেননি মোদি। জানুয়ারিতে দেশজুড়ে শুরু হয় প্রথম দফার টিকাকরণ। অগ্রাধিকার দেওয়া হয় হেলথ ওয়ার্কার, প্রবীণ নাগরিক, কোমরবিডযুক্ত ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের নাগরিককে। এখন চলছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ। ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে ক্ষোভের আঁচ দ্বিতীয় দফাতেই চরমে উঠেছে। সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতালেই ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইন, প্রতীক্ষা ও দুর্ভোগ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ১ মে থেকে শুরু হবে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সকলকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তার আগে ভ্যাকসিনের জোগান পর্যাপ্ত করা জরুরি। তার চেয়েও বড় সঙ্কট আসছে টিকার দাম নিয়ে। সরকার কেন হঠাৎ দামের উপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করল তা বোঝা গেল না। ফলে বাজারে নানান দামে নানা কিসিমের টিকা মিলবে। এবং তা নিয়ে একটা বড় দুর্নীতির খেলা শুরু হতে চলেছে। এখনই সতর্ক না-হলে এই সঙ্কট কিন্তু আরও বড় বিপদ ডেকে আনবে। 
ইতিমধ্যেই সংক্রমণের বিপদ মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শিখর স্পর্শ করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথম দু’দফায় কিছু মানুষ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন। কিছু মানুষ আবার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিজ খরচেও ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এই ব্যবস্থা বদলে টিকাকরণের নীতিটাই পাল্টেছেন মোদি। নয়া নীতিতে রাজ্য সরকার এবং সাধারণ মানুষের ঘাড়েই চাপছে ভালোরকম খরচের বোঝা। তুলে নেওয়া হয়েছে দামের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রথম ডোজ ২৫০ টাকায় মিলেছিল। সেটাই এবার কিনতে হবে অনেক চড়া দামে। কারণ ভ্যাকসিন জোগানের দায় কেন্দ্র আর নেবে না। রাজ্যের মাধ্যমেও ভ্যাকসিন দেবে না। কেন্দ্রকে যে দামে বেচবে সেই দামে আর দেবে না, রাজ্যগুলিকে কিনতে হবে বাড়তি দামে। খেয়াল করার মতো বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গসহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোটের লড়াইতে বিজেপির জয়ের আশা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসতেই কি এবার মোদি সরকার কার্যত হাত তুলে নিয়েছে! এই কঠিন সময়ে সহায়তা ও সাহায্যের বদলে মোদি সরকারের এই ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অস্বীকার করলে চলবে না, এই গরিব দেশে বিনামূল্যে সকলের টিকাকরণের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত সরকারকেই নিতে হবে। এবং তা করতে হবে দ্রুত এবং সুস্পষ্ট নীতি মেনে। গত জানুয়ারি-মার্চে ভারত ৬ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানি করেছে। একই সময়ে দেশবাসীকে দেওয়া হয়েছে মাত্র তিন-চার কোটি ডোজ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, মোদি সরকারের এই আশ্চর্যরকম উদাসীনতার পিছনে প্রকৃত কারণটা কী? 
সরকারের উদাসীনতারই উল্টো পিঠে আমরা কী দেখলাম? গত দেওয়ালির পর থেকে যেই প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপ একটু কমল অমনি যেন সরকারের চোখে মুখে যুদ্ধ জয়ের আমেজ। যাবতীয় সতর্কতা উধাও। সরকার সবকিছুতে ঢিলে দিতেই লাটে উঠল কোভিড বিধিও। সব ভুলে সেই ডিসেম্বর থেকে গোটা কেন্দ্রীয় সরকারটা ঝাঁপিয়ে পড়ল বাংলা দখলে। আর যেন কোনও কাজ নেই। এমনও 
বলা হল, ওই একটা স্বপ্নই অধরা থেকে গিয়েছে। তাই ঝাঁপাও বাংলা দখলে। এ পর্যন্ত গত 
চার-পাঁচ মাসে বাংলা দখলের নেশায় যে বিপুল পরিমাণ টাকা মোদিজি খরচ করেছেন, তার সামান্য অংশও যদি অসহায় কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের দিতেন। নেতা কিনতে আর বিমানে-কপ্টারে আকাশ-বাতাস কাঁপানো প্রচারে যে হাজার হাজার কোটি ব্যয় হয়েছে, তার একটুও যদি গ্রামবাংলার গরিব কৃষক-শ্রমিক পেতেন তাহলে তাঁদের একটু উপকার হতো।
ঠিক করেছিলাম, ২ মে পর্যন্ত ভোট-রাজনীতি ছাড়া আর কোনও কিছু নিয়ে লিখব না। কিন্তু হঠাৎই দেশজুড়ে মৃত্যু মিছিল শনিবার সকালে সিদ্ধান্তটা বদলে দিল। প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত আর ২ হাজার মৃত্যু যে-দেশের নিয়তি, সেখানে সুনার দেশটাই যে অবিরাম কাঁদছে। ‘সুনার বাংলা’ আর হবে কী করে? মহামারীর মধ্যে রাজার গলায় একটা অঙ্গরাজ্য দখলের এই নষ্টামি মানায়?
25th  April, 2021
মোদি হাওয়া নেই... ছিলও না 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাঁদরের হাতে লোডেড রিভলভার ধরিয়ে দিলে কী হয়? উত্তরের জন্য কোনও পুরস্কার নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি এই মহান কর্মটি করে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিশ্চিতভাবে তার মাথার ব্যামো আছে। আমাদের আর্থ-সামাজিক কাঠামোটাও কতকটা তেমন। 
বিশদ

বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়। বিশদ

03rd  May, 2021
সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিশদ

03rd  May, 2021
সঙ্কটকালে করোনাই
হোক প্রধান প্রতিপক্ষ
তন্ময় মল্লিক

করোনা আবহে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। সোনাদানা, গাড়ি বাড়ির চেয়েও বহু মানুষের কাছে মূল্যবান অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে বদল দরকার রাজনৈতিক নেতাদেরও। তাঁদের ভাবনার। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, সঙ্কটকালে করোনাই হোক প্রধান প্রতিপক্ষ। বিশদ

01st  May, 2021
রাষ্ট্রের কাছে কি
এটাই প্রাপ্য ছিল?
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে আপনাদের সময়কালে একটা দেশভাগ হলে কী করতেন? ভারত স্বাধীন হয়েছে, একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। কীভাবে সামলাতেন? প্রায় ছশোর বেশি দেশীয় রাজ্য আছে। তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নরমে অথবা গরমে। পারতেন সেই কুশলতা দেখাতে? বিশদ

30th  April, 2021
কেন্দ্রীয় সরকারের
অপদার্থতায় কোভিড বেলাগাম
মৃন্ময় চন্দ

কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনই কোভিডে অব্যর্থ নয়, তাই ট্র্যাক-টেস্ট-ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ও দূরত্ববিধির ওপর জোর দিলেই কোভিডের পরাক্রম কমবে। সর্বোপরি সর্বশক্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে ভোটের বিজয় মিছিল। বিশদ

29th  April, 2021
দেশকে তিনি করেছেন
ছন্নছাড়া শ্মশানভূমি
সন্দীপন বিশ্বাস

জীবনদাতা নিজেই যখন টিকা উৎসবের ঘোষণা করে মরণ উৎসবে মেতে ওঠেন, দেশটা তখন একটা ছন্নছাড়া, শ্মশান ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারে না। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশকে আপনি কোন শ্মশান যাত্রায় পাঠাচ্ছেন মিঃ পিএম?  বিশদ

28th  April, 2021
মানুষের জন্য কী করলেন?
জবাব চায় দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রায় ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ দেশবাসীকে নিজের ভ্যাকসিন নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিদান। কেন? দেশের তরুণ প্রজন্ম কি ছাগলের তৃতীয় সন্তান? নাকি এই প্রজন্মের জন্য গোমূত্র স্টক করা হচ্ছে? বলা যায় না... কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে, গোমূত্র খেলে কোভিড হবে না, তাহলে সে দেশে সব সম্ভব। বিশদ

27th  April, 2021
সাত বছর বাদে প্রাপ্তি বঞ্চনা, রোগ আর মৃত্যু
পি চিদম্বরম 

দু’বছর আগে তাকে ক্ষমতায় বসাতে দেশ শুধু বিজেপিকেই ৩০৩ আসন দিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে দিয়েছিল ৩৫৩ আসন। এই বিপুল গরিষ্ঠতা যে সরকারের সেটা
তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের প্রাক্কালে প্রাসঙ্গিক দু’টি প্রশ্ন রাখা দরকার: (এক) কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা আমরা পেলাম? 
বিশদ

26th  April, 2021
অফিসার বদলে বাংলার
রায় বদলানো যাবে না
তন্ময় মল্লিক

কমিশন ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে যাঁদের দায়িত্ব দিচ্ছে, তাঁদের মধ্যে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে পছন্দ করার পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের ব্যাকগ্রাউন্ড। বয়ালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উর্দি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এতে দাগ লাগতে দেব না।’ বিশদ

24th  April, 2021
মোদির হিন্দুত্ব বনাম মমতার
বাঙালিয়ানার লড়াই
মৃণালকান্তি দাস

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার মিটিং ভেঙে দিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের বাহিনী। শুধু শ্যামাপ্রসাদের মিটিং ভেঙে দেওয়াই নয়, সুভাষ বাহিনী আরও বেশি নির্মম ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি। শ্যামাপ্রসাদের নিজের লেখা ‘লিভস ফ্রম আ ডায়েরি’ তার সাক্ষী। বিশদ

23rd  April, 2021
কমিশন যেন ‘ধৃতরাষ্ট্র’, রাজ্যে
গণতন্ত্র বিসর্জনের পথে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কমিশন যা করছে তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র নাকি বিজেপিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই বিজেপি চেয়েছিল, রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন হোক। সেটাই হচ্ছে, যা ভারতবর্ষে আগে কোথাও কখনও হয়নি। বিশদ

22nd  April, 2021
একনজরে
আরামবাগের মানুষ মুখ ফেরালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার গতি থামবে না। এমনটাই দাবি আরামবাগ মহকুমার তৃণমূল নেতৃত্বের। এবার ...

২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর মন্ত্রীহীন ছিল মালদহ জেলা। এবার তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় ভালো ফল করায় মালদহবাসী আশায় বুক বাঁধছেন। জেলার অন্তত এক, দু’জন বিধায়ক ...

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দু’শোর বেশি আসন পেয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। এই ভোটে  দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন বাংলার মানুষ। ...

হাসপাতালে অক্সিজেন না পেয়ে ফের মর্মান্তিক মৃত্যু দেখল দেশ। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের পর এবার কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এই দুই রাজ্যে অক্সিজেন না পেয়ে মোট ৩২ জন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯৯: বৃটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা টিপু সুলতানের মৃত্যু
১৮৪৯:- বাঙালি নাট্যকার, সঙ্গীতস্রষ্টা, সম্পাদক ও চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৮৬: হে মার্কেট স্কোয়ার হিংসা: শিকাগো, ইলিনয় সহ বিভিন্ন শহরে শ্রমিক মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে সচেষ্ট পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ, ৮ জনের মৃত্যু, আহত ৬০, জনতাকে লক্ষ্য করে পুলিসের গুলি
১৯১৯: চার মে আন্দোলন: ভার্সাই চুক্তির প্রতিবাদে চীনের বেজিংয়ে তিয়েন আন মেন স্কোয়ারে ছাত্র জমায়েত
১৯৫৩: ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি গ্রন্থের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
১৯৫৯: প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার দেওয়া হল
১৯৭৯: ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন মার্গারেট থ্যাচার  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৯ টাকা ৭৪.৯০ টাকা
পাউন্ড ১০০.৮৬ টাকা ১০৪.৩৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৮ টাকা ৯০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭, ৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫, ২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫, ৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯, ২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯, ৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ বৈশাখ, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১। অষ্টমী ২০/৩৬ দিবা ১/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ৮/২০ দিবা ৮/২৬। সূর্যোদয় ৫/৬/১৩, সূর্যাস্ত ৬/০/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪১ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে ২/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে।  
২০ বৈশাখ, ১৪২৮, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১। অষ্টমী সন্ধ্যা ৫/৪৮। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৪৮ মধ্যে।  
২১ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
করোনা আক্রান্ত দীপিকা পাড়ুকোনও
বাবা, মা ও বোনের পর এবার নিজেরও করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট ...বিশদ

09:13:50 PM

হলদিয়ায় পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
খাল থেকে এক ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ...বিশদ

06:58:00 PM

দেশে এবার সিংহরাও আক্রান্ত করোনায় !
মানবদেহের পর এবার দেশে সিংহদের দেহেও করোনা থাবা বসিয়েছে বলে ...বিশদ

05:16:13 PM

রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠকে মমতা
সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ও কোভিড নিয়ে বৈঠকের জন্য রাজ্য পুলিসের ডিজি, ...বিশদ

05:07:00 PM

১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু রাজ্যে
দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকালের মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল ১৮ ঊর্ধ্বদের ...বিশদ

04:50:36 PM

করোনায় আক্রান্ত প্রকাশ পাড়ুকোন
করোনায় আক্রান্ত ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের কিংবদন্তি খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোন। গত শনিবার ...বিশদ

04:48:24 PM