Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কৃষি আইন: কাঙ্ক্ষিত নয়, স্রেফ হল্লা
পি চিদম্বরম

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে  কৃষিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, নীতি আয়োগের সিইও, বিজেপির সভাপতি, বিজেপির মুখপাত্র—সবাই এক সুরে গাইছেন। তাঁদের যুক্তি হল—কৃষকরা এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটি বা কৃষিপণ্য বাজার কমিটিতে (এপিএমসি) ‘বন্দি’ ছিলেন। এবার এপিএমসির বাইরে পছন্দমতো ফসল বিক্রির অধিকার পেলেন তাঁরা। অবশ্য তাঁদের যুক্তি তাঁরা তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করবেন না। 
খবরে প্রকাশ যে ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি বলেছেন, ‘আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি। কিন্তু অন্য যে-কোনও জিনিসের জন্য আমি শুধু তথ্যের উপরেই ভরসা রাখি।’ 
অকাট্য তথ্য  তথ্য কী বলে? তথ্য বলছে: 
১. কৃষকদের ৮৬ শতাংশ ক্ষুদ্র এবং তাঁদের একেক জনের জোত আয়তনে ২ হেক্টরের চেয়ে ছোট।
২. কৃষি শুমারি থেকে জানা যায় যে কৃষি জোতগুলি (ফার্ম হোল্ডিং) আবার টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। ফার্ম হোল্ডিংয়ের সংখ্যা ২০১০-১১ সালে ছিল ১৩ কোটি ৮ ০ লক্ষ। ২০১৫-১৬ সেটা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ। অর্থাৎ কৃষি জোতগুলি টুকরো টুকরো হয়ে আকারে ক্রমশ ছোট থেকে আরও ছোট হয়ে যাচ্ছে। 
৩. এইসব ক্ষুদ্র কৃষকের বিক্রি করার মতো উদ্বৃত্ত ফসল  সামান্যই থাকে। তবু তাঁদেরকে কয়েক বস্তা ধান বা গম বেচতেই হয়। কারণ তাঁদের কিছু দেনা থাকে। বাড়ির কোনও জরুরি প্রয়োজনে ওই ঋণ তাঁরা নিয়েছেন। 
৪. এপিএমসি মার্কেটে  ফসল বেচতে যান মাত্র ৬ শতাংশ কৃষক। বাদবাকি ৯৪ শতাংশ কৃষক তো এপিএমসির বাইরেই বিক্রি করে থাকেন। তাঁরা মূলত বিক্রি করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে, অথবা কোনও সমবায়কে, অথবা কোনও উৎপাদকের কাছে। 
৫. কোনও এপিএমসি নেই—কেরলে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় ছাড়া অন্য কোথাও, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে। বিহার রাজ্য সরকার কয়েক বছর আগেই তাদের এপিএমসি আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। এসব রাজ্যে এপিএমসির বাইরেই ফসল বেচাকেনা হয়। এপিএমসির সংখ্যাটি হরিয়ানার ১০৬ থেকে পাঞ্জাবের ১৪৫ এবং তামিলনাড়ুর ২৮৩-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। পাঞ্জাবে আবার এপিএমসির ভিতরে অনেক সাব-ইয়ার্ড রয়েছে। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় উৎপন্ন ধান ও গমের ৭০ শতাংশই সরকারি এজেন্সিগুলি (মূলত এফসিআই) কিনে নেয়। অথচ, ২০১৯-২০ সালে তামিলনাড়ুর এপিএমসিগুলিতে সমস্ত কৃষিপণ্যের ব্যবসার মোট পরিমাণ ছিল মাত্র ১২৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। 
৬. এবং, অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের একজন কৃষককে তাঁর খামারের নিকটবর্তী একটি এপিএমসিতে পৌঁছতে গড়ে ২৫ কিমি পাড়ি দিতে হয়।  
স্থিতাবস্থা রেখে দেওয়া
একটি রাজ্যে এপিএমসি আছে না নেই, এপিএমসিগুলি খুব দূরে বা সেগুলির সুযোগ নেওয়া সম্ভব কি না, সেসব বড় কথা নয়। বাস্তবটা হল—অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ-পরিস্থিতিতে এপিএমসির বাইরেই ফসল বিক্রি করা ছাড়া ৯৪ শতাংশ কৃষকের উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখপাত্র কেউই ব্যাখ্যা করবেন না—কেন এপিএমসি এবং ফড়েদের কাছে কৃষকের হাত-পা বাঁধা ছবিটি তাঁরা আঁকছেন—বিশেষ করে যখন ৯৪ কৃষকের বাস্তব অবস্থা তেমন নয়। সুতরাং নয়া কৃষি আইনে কৃষকরা দারুণ এবং অভূতপূর্ব কিছু সুযোগ পেতে চলেছেন বলে যে বাজে যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে, তথ্যের সামনে পড়ে শেষমেশ তা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। আসলে নয়া আইনে বর্তমান অবস্থাটিকেই তার সমস্ত দোষ-ত্রুটি সমেত পুনরায় রেখে দেওয়া হচ্ছে (রিইনফোর্স দ্য স্টেটাসকো উইথ অল ইটস ইমপারফেকশনস)। 
কৃষকদের সামনে কিছু চয়েস বা পছন্দ থাকবে—এটা আমি সমর্থন করি (গত ২৮ সেপ্টেম্বর এই স্থানে প্রকাশিত বিশেষ নিবন্ধেই আমি জানিয়েছিলাম)। আমি আরও মনে করি যে, শেষমেশ এপিএমসিগুলিকে ধাপে ধাপে তুলে দিতে হবে, কারণ তারা বাণিজ্যের প্রতিবন্ধক। এপিএমসিগুলি কৃষকদের একটি অংশের জন্য সুরক্ষা বলয়ের সুবিধা দিয়েছে মাথায় রেখেই কথাটি বলতে হচ্ছে। এপিএমসিগুলি সাচ্চা বাজার নয়। এগুলি সব কৃষকের স্বার্থ পূরণ করে না। কৃষকদের কাছে চড়া ভাড়া/খাজনা আদায় করে। এবং, কিছু ক্ষেত্রে এপিএমসিগুলি ব্যবসায়ী ও ফড়েদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। 
কিন্তু এপিএমসিগুলি তুলে দেওয়ার আগে কৃষকদের সামনে যথাযথ পছন্দটা রাখতে হবে। আর সেই একমাত্র পছন্দটি হল—‘মাল্টিপল অলটারনেটিভ মার্কেটস’। অর্থাৎ অনেকগুলি বিকল্প বাজার। হাজার হাজার বড় গ্রাম এবং ছোট শহরে এগুলি থাকা জরুরি। ফসল নিয়ে কৃষকরা সহজেই যেন তাঁর পছন্দের বাজারে পৌঁছতে পারেন। পণ্যের ওজন বা পরিমাপ এবং দামের উপর রাজ্য সরকারের সামান্য নিয়ন্ত্রণ থাকা আবশ্যক। কৃষকরা এই বিকল্প বাজারগুলিতে গিয়ে ফসল বিক্রি করবেন। সেসব কিনতে পারবেন সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলি ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) কম দাম দেওয়া চলবে না। তাহলে কৃষকদের একটি বড় অংশ এমএসপি অথবা তার চেয়েও বেশি দাম পাবেন, যা তাঁরা এখন পাচ্ছেন না। এমএসপির সরকারি গ্যারান্টি সম্পর্কে একটি বাজে রটনা করা হচ্ছে যে, এটি হলে কারা তা লঙ্ঘন করছেন খুঁজে দেখার ব্যবস্থা হবে এবং তার ফলে এমএসপি লঙ্ঘনকারী হাজার হাজার ব্যবসায়ীকে শাস্তিভোগ বা জেলের ঘানি টানার ব্যবস্থা হবে। এ একেবারে ফালতু কথা! এই আইনি নিশ্চয়তা শুধুমাত্র ফার্মার্স মার্কেটে ফসল বেচাকেনার চৌহদ্দিতেই প্রযোজ্য থাকবে।
মোদি সরকারের নতুন আইন নিশ্চয় এই ধরনের হাজার হাজার বিকল্প ফার্মার্স মার্কেট তৈরি করবে না। উল্টে, বেসরকারিভাবে চুক্তি সম্পাদনের জন্য কর্পোরেট-সহ ব্যবসায়ীদের অনুমতি দিয়েছে। ওইসঙ্গে বিবাদ মীমাংসার জন্য জটিল এবং আমলাতান্ত্রিক মেকানিজম (সিভিল কোর্টের এক্তিয়ারের বাইরে রাখার লক্ষ্যে) আমদানি করা হয়েছে। এইভাবে ভারসাম্য নষ্ট করে সরকার কৃষকদের আরও বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি, এপিএমসির বাইরে নিয়ন্ত্রণহীন বেসরকারি বাণিজ্য একবার আইনসিদ্ধ হয়ে গেলে, এপিএমসি থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে সেটাই হয়ে উঠবে জবরদস্ত মদত।
রাজ্যগুলিকে আইন তৈরি করতে দেওয়া হোক
ফসল উৎপাদন, বিক্রির মতো উদ্বৃত্ত এবং ব্যবসায়ীদের আচরণ—এইসব দিক থেকে প্রতিটি রাজ্যের একটি পৃথক ধারা রয়েছে। কৃষিপণ্য বিপণনের জন্য রাজ্যগুলিকে তাদের মতো আইন তৈরি করতে দেওয়া হোক। সেখানে একটি পাঞ্জাব মডেল যেমন হতে পারে, তেমনি হতে পারে একটি বিহার মডেল। তাদের রাজ্যের জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো হবে সেটা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার, কৃষক এবং মানুষজনকে ঠিক করতে দেওয়া হোক। সেটাই হবে সত্যিকার যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। কোনও একটি বিষয়ে সংসদে প্রণীত আইন, যুক্তি দিয়ে দেখানো যায় যে, সেটি সংবিধানের রাজ্য তালিকাভুক্ত। কিন্তু একটাই সাইজ সব রাজ্যকে ফিট করানোর ব্যর্থ চেষ্টার মধ্যে অবধারিতভাবে সংশয় রয়েই যায়।
যে অস্বাভাবিক দ্রুততায় অর্ডিন্যান্সগুলি জারি করে তার জায়গায় নতুন আইন আনা হয়েছে—তা নিয়ে গভীর অনুসন্ধানের অবকাশ রয়েছে। আমরা জানি যে, এই বিষয়ে উপযুক্ত আলোচনা ও বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে ভোটাভুটির দাবি। আর এইভাবেই অর্ডিন্যান্সগুলিকে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই বিতর্কিত আইনগুলি আনার পিছনে সরকারের আসল মতলবটা রহস্যেই ঢাকা রইল।
 লেখক সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
05th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলাই ভোটের কৌশল
তন্ময় মল্লিক

বাতাসে হিমের ছোঁয়া লাগলেই বোঝা যায়, পুজো আসছে। মাটিতে ঝরে পড়া শিউলি বুঝিয়ে দেয়, পুজোর আর দেরি নেই। উচ্ছ্বসিত কিশোরীর মতো কাশফুলের দোল খাওয়া দেখলেই মনে হয়, ঢাকে কাঠি এই পড়ল বলে। নীল আকাশের কোলে সাদা মেঘের ছোটাছুটি বুঝিয়ে দেয়, শারদোৎসব আগতপ্রায়। 
বিশদ

10th  October, 2020
আমেরিকায় কর ফাঁকি দিয়েও ভোটে জেতা যায়?
মৃণালকান্তি দাস

কর এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ আমেরিকার মতো দেশে অনেক বড় অপরাধ। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ‘গোঁড়া সমর্থক’ হিসেবেই পরিচিত। যা কিছুই হোক, তাঁরা ট্রাম্পের সঙ্গেই রয়েছেন। বিশদ

09th  October, 2020
সুন্দর অভ্যাসগুলিকেও কি বিদায় দেব
হারাধন চৌধুরী

সাল ২০১৮। সাল ২০১৯। পর পর দু’বছর। কলকাতা সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহরের শিরোপা দখল করেছিল। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশ হয় ২০২০-র জানুয়ারিতে। তাতেই কলকাতা এইভাবে চিহ্নিত হয়।   বিশদ

08th  October, 2020
যোগী মহারাজ আদিত্যনাথকে খোলা চিঠি 
সন্দীপন বিশ্বাস

মাননীয় যোগী মহারাজ, নামবদল করতে আপনি খুব ভালোবাসেন। মুসলিম নামের ছোঁয়া আছে, এমন সব নাম আপনি ‘ইতিহাসবিজ্ঞের’ মতো দুমদাম বদলে দিচ্ছেন। স্টেশনের নাম, শহরের নাম, স্থাপত্যের নাম। এখন দেশের মানুষই আপনার রাজ্যটার নাম বদলে দিতে চাইছে। মানুষ বলছে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যটার নাম ‘ধর্ষণপ্রদেশ’ হলে যথার্থ হয়। উন্নাও, বলরামপুর, বুলন্দশহর, আজমগড়, হাতরাস।  বিশদ

07th  October, 2020
ঘটনার ঘনঘটা... প্রমাণ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 একটা দিল্লি, একটা উন্নাও, একটা হাতরাসের মতো ঘটনা প্রচারের ডানা মেললেই হাঁ হাঁ করে ওঠে রাজনীতির কারবারিরা। একদল চেষ্টায় থাকে দুনিয়াদারি থেকে সব কিছু আড়াল করার। অন্য পক্ষ নামে প্রতিবাদে। বিক্ষোভে। এটাই যে রীতি! সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ হাইজ্যাক করে নেয় রাজনীতির দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা। বিশদ

06th  October, 2020
বিচারের বাণী নীরবে নয়, আজ সশব্দে কাঁদছে
হিমাংশু সিংহ

একটা বিচার করতেই যদি এতটা সময় লাগে এবং শেষে সব অভিযুক্তই ছাড়া পেয়ে যায়, তাহলে নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উপর মানুষের আস্থা অটুট থাকবে তো? নাকি আস্থা হারিয়ে অন্ধকার জগতে হারিয়ে যাবে মানুষ? বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়েই বলি, সেদিনটা আইনের শাসনের পক্ষে খুব সুখের হবে তো!
বিশদ

04th  October, 2020
একনজরে
শারজা: মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়ে পাঞ্জাবকে এনে দিয়েছেন স্বস্তির জয়। ৪৫ বলে ৫৩ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি।  ...

লখনউ: হাতরাস গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের তদন্তে নেমে অভিযুক্ত লবকুশ শিকারওয়ারের বাড়ি থেকে ‘রক্তমাখা’ পোশাক উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও পরিবারের দাবি, রক্ত নয় পোশাকটিতে লাল রঙ লেগে ছিল। অভিযুক্তের দাদা একটি ফ্যাক্টারিতে রংমিস্ত্রির কাজ করেন।   ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: পারিবারিক বিবাদের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন স্বামী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন স্ত্রীও। ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত স্বামীর নাম নিত্য রাজবংশী (৩৫)। স্ত্রী গৌরী রাজবংশী (২৮)। বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার বেলবাড়ি ...

নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের অশান্তির পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের। এমনই অভিযোগ করলেন আফগানিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। গত সপ্তাহের শেষ থেকে হেলমন্দ প্রদেশে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে আফগান বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষে মদত দিচ্ছে পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তোইবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এমনকী, নিরাপত্তা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৪ টাকা ৭৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.১২ টাকা ৯৬.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৪.৪৪ টাকা ৮৭.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৬৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৯। চিত্রা নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১১/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। 
৩০ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ রাত্রি ১১/২৪। চিত্রা নক্ষত্র দিবা ২/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩১ মধ্যে ও ৭/১৬ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪২ গতে ২/৪০ মধ্যে ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২১ গতে ৩/১২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/৩৯ মধ্যে।  
মোসলেম: ২৯ শফর। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। বৃষ: আর্থিক ক্ষেত্রে কিছুটা ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু১৯৫৫: অভিনেত্রী ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: সিএসকের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস 

11:21:10 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ১২৯/৩ (১৫ ওভার) 

10:49:02 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ৭৬/২ (১০ ওভার) 

10:22:23 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ২৯/২ (৫ ওভার) 

09:57:03 PM