Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট। নতুন করে ফিক্সড ডিপোজিট করার প্রবণতা কমছে। বরং জমা টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে, বেসরকারি ব্যাঙ্কে নতুন করে ফিক্সড ডিপোজিটের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সাধারণ বুদ্ধিতে কী বলে? ভারতের আমজনতার মনোভাব অনুযায়ী সচরাচর কী হওয়া উচিত? সরকারি সংস্থা, সরকারি ব্যাঙ্ক, সরকারি চাকরি, সরকারি জীবনবিমা, সরকারি দপ্তরের দেওয়া সার্টিফিকেট ইত্যাদি মানুষের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। যেমন আজও পাত্রপাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে সরকারি চাকুরে পাত্রপাত্রীর অগ্রাধিকার এবং বিবাহের সেক্টরে স্ট্যাটাসও বেশি। কারণ কিন্তু বেতনকাঠামো নয়, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। অর্থাৎ বেসরকারি চাকরিতে বিপুল বেতন হলেও কবে যে সেই চাকরি থাকবে, আর কবেই বা আর থাকবে না, সেটা নিয়ে আজও একটা শঙ্কা কাজ করে আমাদের মধ্যবিত্ত মননে। তাই সরকারি চাকরিতে পেনশন উঠে গেলেও সরকারি চাকরিই এখনও প্রধান মোক্ষ কর্মপ্রার্থীদের সিংহভাগ অংশের কাছে। ঠিক সেভাবেই সরকারি ব্যাঙ্কে নিজের কষ্টার্জিত টাকা জমা থাকলে, যতই দিন দিন সুদ কমে যাক না কেন আমাদের বিশ্বাস টাকাটা সুরক্ষিত আছে এবং থাকবে। তাই আজকের এই মিউচুয়াল ফাণ্ডের যুগেও বহু মানুষ সরকারি ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা পোস্ট অফিসের কোনও স্মল সেভিংস স্কিমে টাকা রেখে নিশ্চিন্ত হন।
ঠিক এরকম পরিস্থিতিতে যে রিপোর্টটি পাওয়া গেল, সেটির অভিঘাত সুদূরপ্রসারী। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক রিপোর্টের নাম ‘রিপোর্ট অন ট্রেণ্ড অ্যাণ্ড প্রোগ্রেস অফ ব্যাঙ্কিং ইন ইন্ডিয়া’। সেখানে স্বীকার করা হয়েছে, ভারতের মানুষ সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নিজেদের টাকা জমা রাখা অথবা ইনভেস্ট করার প্রবণতা বেসরকারি ব্যাঙ্কের দিকে শিফট করে নিচ্ছে। আপাতভাবে এই বিশ্লেষণ দেখে মনে হবে এতে এমন আর কী ক্ষতি হচ্ছে? মানুষ যেখানে সুবিধা বেশি পাবে, সেখানেই যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নয়। বরং এই মনোভাব ভারতের মতো দেশে চরম উদ্বেগজনক। কারণ মানুষের এই আচরণের সঙ্গে একটি চিন্তাজনক বার্তা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, শাসক দল, রাষ্ট্রের কাছে। সেটি হল মানুষ আর সরকারি ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ‘আমার টাকা সরকারি ব্যাঙ্কে আর নিরাপদ নয়’, এরকম মনোভাব কি তৈরি হচ্ছে? যদি হয়, তা হলে সেটা মারাত্মক এক নেতিবাচক ইঙ্গিত। বস্তুত মোদি সরকারের কাছে বৃহত্তর উদ্বেগের জায়গা ক্রমেই কিন্তু এটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে দ্বিতীয় মোদি সরকারের সরকারি সিস্টেমের প্রতি মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। ব্যাঙ্কের রিপোর্ট তারই একটি ক্ষুদ্র উদাহরণ। এবার আর একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।
অসমের বক্সা জেলার তামুলপুর গ্রামের জাবেদা বেগম মহাসঙ্কটে পড়েছেন। জমির রাজস্ব রশিদ, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবই, ১৯৬৬ সাল থেকে বাবা-মায়ের ভোটার তালিকায় নাম থাকার প্রমাণপত্র, গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের প্রদান করা ম্যারেজ সার্টিফিকেট ইত্যাদি মোট ১৫টি সরকারি নথি মেনে নিতে রাজি হয়নি গুয়াহাটি হাইকোর্ট ও প্রশাসন। ওই নথিগুলির একটিও জাবেদা বেগমের নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র নয় বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জানিয়েছে হাইকোর্টও। এখন একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট ভরসা। কেন প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন তিনি? কারণ যে বাবা-মায়ের ভোটার তালিকার প্রমাণপত্র তিনি দাখিল করেছেন, তাঁরা যে তাঁরই বাবা মা এটা প্রমাণ করতে পারছেন না তিনি। যে ভাইয়ের সব কাগজপত্র নাগরিকত্ব প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, তিনি যে সত্যিই জাবেদার ভাই এটাও প্রমাণ করা যাচ্ছে না। এই মহাসঙ্কটে ৫০ বছরের নিরক্ষর জাবেদা বেগম গুয়াহাটি থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে এসে দিশাহারা হয়ে ঘুরছেন। এই ঘটনাটি অস্বাভাবিক নয়। বলা যেতেই পারে অসমে এনআরসি চালু হয়েছে। সেখানে তো প্রমাণ করতেই হবে নিজেকে। মহামান্য আদালত প্রমাণ না পেলে কেন নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলবে? একদম ঠিক। কিন্তু প্রশ্নটা আমাদেরও চরম বিপদে ফেলছে। কারণ আমাদের কাছে কী প্রমাণ আছে যে আমরা ভারতের নাগরিক? স্বয়ং সরকারই বলছে, এনআরসি করা দরকার যাতে নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। তাহলে এখন আমরা কী করব? সরকার বলেছে, এখন আমাদের কাছে থাকা কোনও কার্ডই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। অর্থাৎ সেটা মেনে নিলে আজ আমাদের মতো বৈধ নাগরিকের যে স্ট্যাটাস, একজন অনুপ্রবেশকারীরও একই স্ট্যাটাস রাষ্ট্রের চোখে।
বহুবছর আগে বলা হল, ভোটার কার্ড ছাড়া ভোটদান হবে না। ওটাই আমাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ জানলাম সেদিন। আমি যদি ভারতের নাগরিক হই, তাহলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হবে। তাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের জন্য ভোটার কার্ড দিলেই হয়ে যেত। দিন কেটে গেল। আবার একদিন প্রশ্ন শুরু হল, আপনি ভারতের নাগরিক? আয় করেন ভারতে? তাহলে প্যান কার্ড করান। আমরা নিশ্চিন্ত হলাম। হঠাৎ দিকে দিকে বার্তা রটে গেল, আধার নামক একটি কার্ড করতে হবে। ওটাই ভারতের নাগরিকত্বের সবথেকে মোক্ষম প্রমাণপত্র। কারণ ব্যাপারটা ডিজিটাল। বায়োমেট্রিক শব্দটা শুনে আমাদের সমীহ হল। আমরা আমেরিকা হয়ে যাচ্ছি এরকম একটা আলোচনাও চলল। আধার নিয়ে মারাত্মক বাড়াবাড়িও শুরু হল পূর্বতন ইউপিএ সরকারের সময়, যা এখনও মোদি সরকারের আমলে হচ্ছে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে বহু গরিব মানুষ রেশন না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটান এখনও। কারণ তাঁদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ হয়নি। অন্যদিকেও রেহাই নেই। পি এফের সঙ্গে আধার সংযোগ করান, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগ করান, মোবাইলের সঙ্গে আধার সংযোগ করান। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম আধার একটা সাংঘাতিক মূল্যবান নথি।
ঠিক এরকম একটি সময়ে এনআরসি হুংকার। বলা হল আরও একটি মজার কথা। ভোটার, প্যান, আধার, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কিছুই নাগরিকত্ব প্রমাণ নয়। এনআরসি যদি করা যায়, তা হলে ওটাই একমাত্র আসল প্রমাণপত্র। এবার একটা ধাঁধা বলা যাক। ধরা যাক, এনআরসি হচ্ছে। আমাকে বলা হল, আপনার কাছে কী কী প্রমাণপত্র আছে? সব দাখিল করুন কিংবা আপলোড করুন। আমি দেখালাম পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড। সব ঠিক থাকলে রাষ্ট্র আমাকে বলল, হ্যাঁ, ঠিক আছে। আপনার নাম এনআরসিতে থাকছে। আপনি নাগরিক। কিন্তু আশ্চর্য কথাটি হল, যেসব কার্ডকে এখন বলা হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রই নয়, সেইগুলি দেখাতে হবে প্রমাণ হিসেবে। অর্থাৎ তখন সেগুলি নাগরিকেত্বর প্রমাণ! দেখা঩লেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে? এটা কেমন ধাঁধা? তাহলে তো সেগুলিই নাগরিকত্বের প্রমাণ? একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে সরকারকে? এই যে মাঝেমধ্যেই নতুন নতুন কার্ড দেওয়ার প্রকল্প, এই কার্ডের সঙ্গে সেই কার্ডের সংযোগ করার প্রকল্প, নতুন নতুন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা, এসবের জন্য যে সফটওয়্যার বা ডেটা প্রসেসিং কোম্পানিগুলিকে কনট্রাক্ট দেওয়া হয়, যেসব মেটিরিয়ালস আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে, এসব তো একটা বিপুল বাণিজ্য! সব দলের আমলেই হয়েছে। হয়ে চলেছে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন। এসব কারা পায়? এই চুক্তি, এই টেণ্ডার, এই কোম্পানি বাছাই করা, এই উপকরণ আমদানি—এই তথ্যগুলি আমজনতার জানা দরকার।
সিংহভাগ মানুষ কেন এনআরসি নিয়ে বিরূপ? কারণ এটাই। সরকারকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না যে, এরা ঠিক কী চাইছে? অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদিদের কাছে বৃহত্তর উদ্বেগের বার্তা হল, মানুষ আর তাঁদের বলা কথায় বিশ্বাস করছে না। কেন? এই যে একের পর এক রাজ্যে বিজেপি পরাজিত হচ্ছে, এর অর্থ মোটেই এটা নয় যে, বিরোধীরা খুব ভালো, তাই মানুষ তাদের সমর্থন করছে। ভালো করে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া হয়েছে। জয়ীকে জেতানো হবে বলে ভোট দেওয়া হয়েছে এমন নয়। বিজেপিকে হারাতে চেয়েছে মানুষ। কে জিতছে সেটা ভাবা হয়নি। কেন এই প্রবণতা? এটাই প্রকৃত সঙ্কট নরেন্দ্র মোদিদের কাছে। দিল্লিতে গোটা সরকার, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এত কিছু বললেন কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে, প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিলেন। কিন্তু মানুষ একটা কথাও বিশ্বাস করল না কেন?
সরকারি ব্যাঙ্ককে মানুষ বিশ্বাস করছে না। সরকারি সিস্টেমকে বিশ্বাস করছে না। সরকারি সিদ্ধান্তকে সন্দেহের চোখে দেখছে। শাসক দলের নেতা ও মন্ত্রীদের উপর ভরসা করতে পারছে না। সভায় যাচ্ছে, জয়ধ্বনি দিচ্ছে, কিন্তু ফিরে এসে ভোট দিচ্ছে বিরোধীদের, এই আস্থাহীনতা একটা সংক্রমণের মতো। আগামীদিনে অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়বে। যে কোনও ইস্যুতে সমালোচক কিংবা বিরোধীদের দেশদ্রোহী আখ্যা না দিয়ে ওই সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক দিকটা নিয়ে ভাবুক বিজেপি। কারণ বিরোধীরা মুখে বলছে বটে যে বিজেপি এরকম বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করুক, আসলে কিন্তু বিরোধীরা এখন বেশি করে চাইবে বিজেপি যেমন আচরণ করছে এরকমই করতে থাকুক। তাহলেই রাজ্যে রাজ্যে বিরোধীদের লাভ বেশি হচ্ছে। তাই বিজেপির অতি আগ্রাসী নেতামন্ত্রীরা বদলে গিয়ে প্রচারের স্ট্র্যাটেজি বদলে দিলেই বরং বিরোধীদের ক্ষতি। এটা সবার আগে বুঝতে হবে বিজেপি ও মোদি সরকারকেই। সন্দেহ হয়,এই ‘কাশ্মীর-পাকিস্তান-নেহরু-সংখ্যালঘু তোষণ-গান্ধী ফ্যামিলি-রামমন্দির-হিন্দুসঙ্কট’ এই চেনা ফরম্যাটের বাইরে অন্য ফর্মুলা বিজেপি নেতামন্ত্রীরা জানেন তো? নাকি আর কোনও বিকল্প প্ল্যান জানা নেই বলেই একই কপি-পেস্ট টাইপের প্রচারের ফরম্যাট চলছে সর্বত্র? দেশের ৬৫ শতাংশ ভোটার ৩৫ বছরের নীচে। অবিলম্বে বিজেপির উচিত রণকৌশলের সফটওয়্যার আপডেট করা!
21st  February, 2020
বিশ্ববাজারে ক্ষমতা হারাচ্ছে চীন
মৃণালকান্তি দাস

গত বছর গোটা দুনিয়ার অর্থনীতিকেই ধাক্কা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্ক-যুদ্ধ। যার প্রভাবে বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধির হার কমেছে। এরই সঙ্গে ইউরোপে যোগ হয়েছিল ব্রেক্সিট ঘিরে অনিশ্চয়তা।  
বিশদ

পদবি বনাম ব্যক্তি, কংগ্রেসের নেতৃত্ব সঙ্কট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 তিনমূর্তি ভবনে শায়িত নিথর শরীরটা। পাশে দাঁড়িয়ে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। নিষ্প্রাণ মুখটার দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে তার চোখ দুটো। ভবনের পরিবেশ ভারী হতে হতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা... ছেলেটি তার মৃত ঠাকুমার ভিজে গাল সবার অলক্ষে পরিষ্কার করে দিল।
বিশদ

25th  February, 2020
ঈশ্বরদর্শনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অষ্টমার্গ
বাবুলাল দাস

ঈশ্বরে মন এলে ক্রমে বুদ্ধি সুপথে পরিচালিত হয়। মন শুদ্ধ হয়ে ওঠে। শুদ্ধ মনে সদা শান্তি বিরাজ করে। শান্ত মনে ঈশ্বর অনুভব হয়। এসব কেবল শাস্ত্রেরই কথা নয়। এটিই অতি বাস্তব সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণ তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। সংসারে থেকে নানান প্রলোভনে পড়ে আমরা তা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। শুদ্ধ মন কী জিনিস বুঝি না। তাই এত গোল। এত কষ্ট। ঠাকুর উপায় বলে দিলেন। একহাতে সংসার ধরো, অন্য হাতে ঈশ্বর।
বিশদ

25th  February, 2020
কুকথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠভরা বিষ ...
সন্দীপন বিশ্বাস

আচ্ছা, দুধ থেকে কি করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা থাকে?
আচমকা শিবের প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যান পার্বতী। একটু থেমে বলেন, এমন কথা বলছো কেন?  বিশদ

24th  February, 2020
মোদি সরকারের সবকিছুই জাতীয় স্বার্থে আর তার তালিকাটিও শেষ হওয়ার নয়
পি চিদম্বরম

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তগুলির পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’’ 
বিশদ

24th  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

23rd  February, 2020
প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
একনজরে
সৌম্যজিৎ সাহা  কলকাতা: ডাস্ট অ্যালার্জির কারণ হিসেবে সবার আগে উঠে আসে ধুলোবালির কথা। সামান্য ধুলো নাকে গেলেই কারও হাঁচি শুরু হয়ে যায়, আবার কারও সর্দি লেগে যায়। কিন্তু শুধু ধুলোবালির জন্যই কি এই অ্যালার্জি?  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নেটে ব্যাট করতে ঢোকার আগে বাংলার ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ একটা কাগজ ভিডিও অ্যানালিস্টের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘চোখ বুলিয়ে নাও। পরে এই ...

লাহোর, ২৭ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): সিংহের ডেরায় ঘাস কাটতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক কিশোরের। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর সাফারি পার্কে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিলাল নামে ১৭ বছরের ওই কিশোর গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: দিনহাটার পুরসভা এলাকায় লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত ওয়ার্ডেই শাসক দল তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়
১৮৪৪: বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৮৮৩: ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়
১৯২৮: ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার
১৯৩৬: জওহরলাল-পত্নী কমলা নেহরুর মৃত্যু
১৯৪৪: সঙ্গীতকার রবীন্দ্র জৈনের জন্ম
১৯৪৮ - ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে
১৯৫১: ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ির জন্ম
১৯৬৩: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮১ টাকা ৭২.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৬ টাকা ৯৪.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৯ টাকা ৭৯.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী। অশ্বিনী ৫৪/৫৮ রাত্রি ৪/৩। সূ উ ৬/৩/২৭, অ ৫/৩৫/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী, অশ্বিনী ৪৮/১৯/৪৪ রাত্রি ১/২৬/১৫। সূ উ ৬/৬/২১, অ ৫/৩৪/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/১৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে ৪/৫ গতে ৫/৩৫ মধ্যে
এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৪/২৮ গতে ১১/৫০/৩০
মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২/৩৫ গতে ১০/১৬/৩৩ মধ্যে। 
মোসলেম: ৩ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বৃষ: গৃহে কোনও শুভ কাজ হবার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়১৮৪৪: বিখ্যাত ...বিশদ

07:03:20 PM

মধ্যাহ্নভোজে নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে অমিত-মমতা-নীতিশরা 
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ...বিশদ

03:51:00 PM

১৫০২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:13:22 PM

দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ 

03:09:23 PM

১৪৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:04:02 PM