Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)। স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ধনকুবের প্রেসিডেন্ট আমেদাবাদ ভ্রমণে যাবেন বলে যুদ্ধকালীন ব্যস্ততায় চলছে প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানের নাম ‘কেম ছো ট্রাম্প’। গত বছর মার্কিন মুলুকের হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’র প্রতিদান আর কী! ট্রাম্প নিজেই নাকি বিষয়টিতে বেশ ঘাবড়ে রয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে রেখেছেন, ‘শুনছি নাকি ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ মানুষ এয়ারপোর্ট থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত থাকবে!’ বিজেপি সরকার আধ কোটি মানুষ দাঁড় করাতে পারবে কি না জানা নেই, তবে ‘কেম ছো ট্রাম্প’-এর উদযাপনস্থলে লক্ষাধিক মানুষ অবশ্যই হবে। অর্থাৎ, মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দেশের তো বটেই, দুনিয়ায় এত বেশি আসন কোনও ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেই। এতদিন ছিল মেলবোর্ন। সেখানে ১ লক্ষ ২৪ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাকে ছাপিয়ে গিয়ে মোতেরা, থুড়ি সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে পারবেন ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ। হতেই হবে... এর জন্য খরচ হয়েছে যে ১০ কোটি মার্কিন ডলার! ‘কেম ছো...’ দিনেই যার উদ্বোধন করবেন ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদি। এটা গেল ট্রাম্পের প্রাথমিক সফরসূচি। এবং তা খবরে প্রকাশিত। মানুষের এ নিয়ে আগ্রহ আছে, কিন্তু মাত্রাছাড়া কৌতূহল নেই। বরং অন্য একটি প্রশ্ন ভারতের আম আদমির মনের আনাচে কানাচে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। তা হল, বিশ্বের বড়দাদা রাষ্ট্রটির গণতান্ত্রিক দণ্ডমুণ্ডের কর্তার আগমনের নেপথ্যে অজানা কী কারণ থাকতে পারে? প্রাথমিকভাবে মোড়ক একটা ছিল... ব্যবসা। মানে, ট্রাম্প এ দেশে আসবেন, আর চোখধাঁধানো কিছু চুক্তি হবে না? চোখধাঁধানো হোক না হোক, লোকদেখানো তো হওয়াই উচিত। কত কী না ছিল সম্ভাবনার তালিকায়...
১) স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের উপর আকাশছোঁয়া রপ্তানি শুল্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় খুঁজে বের করবে ভারত। পাশাপাশি, আমেরিকার আরও বেশি অংশে ভারত যাতে ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারে, সেই চেষ্টায় ত্রুটি থাকবে না।
২) উল্টোদিকে শোনা যাচ্ছিল, ট্রাম্পও একটা বড় দাঁও মারার সুযোগ ছাড়বেন না। তিনি আসলে ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে’ তত্ত্বে বিশ্বাসী।  কী হারালাম নয়, কী পেলাম-এ বেশি আগ্রহী। ইমপিচমেন্টের গেরো কাটিয়ে বেরিয়ে আসার পর কিছুটা হলেও ভোটারদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সেরেছেন ট্রাম্প। এমনকী, আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির (ইউএসএমসিএ) ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক সমঝোতা করেছেন প্রেসিডেন্ট। কর ছাড় দিয়েছেন। যার ফলে মধ্যবিত্ত মার্কিনিদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি ‘ভোট-সহানুভূতি’ বাড়ছে বলেই মনে হয়। আর গত সাড়ে চার বছরের মধ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ এই মুহূর্তে সর্বাধিক। খুব স্বাভাবিকভাবেই নভেম্বরের নির্বাচনে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেওয়ার মতো জায়গায় এসে গিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডলারের মতো ভোট দখলে আনার রাজনীতিটাও তিনি ভালোই বোঝেন। এক ব্রাজিলের সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন,  টাকা থাকার সবচেয়ে ভালো আর খারাপ প্রভাব কী? ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘দুটো ক্ষেত্রেই আমার উত্তরটা এক... প্রভাব সেটাই, যা মানুষ হাড়ে হাড়ে বোঝে’। এতটাই সোজাসাপটা তিনি। অস্তিত্ব মানুষকে বুঝিয়েই ছাড়বেন। তা সে নিজের দেশের হোক বা পরদেশি।
যেমন এই মুহূর্তে হাড়ে হাড়ে বুঝছেন আমেদাবাদের মানুষও। ট্রাম্পের জন্য একদিকে দু’কোটি টাকা খরচ করে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে, তাঁর যাত্রাপথের যাবতীয় বস্তি এলাকা ঢেকে দেওয়ার জন্য উঠছে দেওয়াল। লাগানো হচ্ছে গাছ। গরিবি দেখানো যাবে না... এটাই লক্ষ্য। আবরণটা যেন ঝাঁ-চকচকে হয়। ভিতরে গ্যাংগ্রিন হলেই বা কী! আমেদাবাদ পুরকর্তারা অবশ্য সাফাই দিচ্ছেন, ‘দু’মাস আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বস্তি এলাকা যাতে বেড়ে রাস্তার উপর না এসে পড়ে তাই এই প্রাচীর। এর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের কোনও সম্পর্ক নেই।’ তারপরও অবশ্য পুরসভা এখন রাস্তার কুকুর এবং গবাদি পশু তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অলিখিত নির্দেশ জারি হয়েছে, ট্রাম্প যাওয়ার সময় এসব যেন নজরে না আসে। এতে অবশ্য লাভ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাত্রাপথে পড়ে যাওয়া মানুষের। তাঁরা গলা ছেড়ে বিশ্ব অর্থনীতির ‘বড়দাদা’কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। কারণ, তাঁর সৌজন্যে দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো তো পাকা হয়ে গেল! হয়েছেও তাই। বিমানবন্দর থেকে মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম এবং মোতেরা স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাবতীয় রাস্তায় এখন পাত পেড়ে খাওয়া যায়। চলছে মশা তাড়ানো, আর রাস্তা জীবাণুমুক্ত (স্যানিটাইজ) করার কাজ।
সব মিলিয়ে তাহলে খরচ কত? কেউ বলছেন তিন কোটি, কেউ বলছেন আরও বেশি। সঠিক হিসেবটা আরটিআই না করলে জানা যাবে না। কিন্তু ট্রাম্পের এই সফর যে ব্যয়সাপেক্ষ তা নিয়ে সংশয় নেই। আশার আলো একটাই, যদি বাণিজ্যিক চুক্তি হলে কিছু প্রাপ্তিযোগ ঘটে!
কিন্তু তাও কি হবে? শেষ যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সেই আলোও বোধহয় নিভতে চলেছে। চীন বা ইউএসএমসিএ চুক্তির নেপথ্য নায়ক, অর্থাৎ মার্কিন বাণিজ্য পরামর্শদাতা রবার্ট লাইথিজার আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারতে আসছেন না। তার থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি তেমন কোনও বাণিজ্যিক চুক্তি এবার হচ্ছে না? এরপরও সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, দেশটার নাম ভারত। বিশ্বের অন্যতম বড় বাজার অর্থনীতি। আমেরিকা, বা আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি এই বিশাল বাজার ধরতে পারেন, তার প্রভাব দেশের অর্থনীতি তো বটেই, আসন্ন নির্বাচনেও পড়তে বাধ্য। সেটা দ্বিতীয়বারের রিপাবলিকান পদপ্রার্থী বিলক্ষণ জানেন। পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু। ইরানের সামরিক কর্তা সুলেইমানিকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে নিকেশ করার পর খানিক বাহবা কুড়িয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক
ধাক্কা খেয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি তাঁকে সাধু সাধু করছে। ইরান যাও বা একটু তেড়েফুঁড়ে ওঠার চেষ্টা করছিল, দুর্ঘটনাবশত একটি অসামরিক বিমানে মিসাইল ছুঁড়ে হাত পোড়ানোর পর তা স্তিমিত হয়ে গিয়েছে।
এমন একটা পরিস্থিতিতে কৌশলে পাকিস্তানকেও কড়া কড়া কথা শুনিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। পক্ষ নিয়েছেন ভারতের। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে। না হলে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেব। একটা বড় অংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ভোটার! সন্দেহ নেই, ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তাঁকে ডিভিডেন্ড দেবে। বাকি রইলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি।
‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুরুই করেছিলেন, ‘আব কি বার, ট্রাম্প সরকার’। বক্তব্য সাফ, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর সমর্থন রিপাবলিকানদের দিকেই। কাজেই আগামী সপ্তাহে আমেদাবাদ ও দিল্লি সফরে এসে মোদির সঙ্গে সেই সম্পর্ক এবং তাঁর ভোট-রাজনীতির প্রচারে একটা ভিন্ন মাত্রা ট্রাম্পের যোগ করাটাই স্বাভাবিক। তা হবেও। কারণ, ট্রাম্প আরও একটা কথা বলেন... ‘আমার যাবতীয় আইডিয়া মানুষ মানতে বাধ্য হবে... একেই বলে ক্ষমতা।’ উশুল তিনি করবেনই। এবং নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফায়দা তুলবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও।
কারণ, মোদি নিজেও যে এই স্কুলেরই ছাত্র! 
18th  February, 2020
বিশ্ববাজারে ক্ষমতা হারাচ্ছে চীন
মৃণালকান্তি দাস

গত বছর গোটা দুনিয়ার অর্থনীতিকেই ধাক্কা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্ক-যুদ্ধ। যার প্রভাবে বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধির হার কমেছে। এরই সঙ্গে ইউরোপে যোগ হয়েছিল ব্রেক্সিট ঘিরে অনিশ্চয়তা।  
বিশদ

পদবি বনাম ব্যক্তি, কংগ্রেসের নেতৃত্ব সঙ্কট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 তিনমূর্তি ভবনে শায়িত নিথর শরীরটা। পাশে দাঁড়িয়ে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। নিষ্প্রাণ মুখটার দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে তার চোখ দুটো। ভবনের পরিবেশ ভারী হতে হতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা... ছেলেটি তার মৃত ঠাকুমার ভিজে গাল সবার অলক্ষে পরিষ্কার করে দিল।
বিশদ

25th  February, 2020
ঈশ্বরদর্শনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অষ্টমার্গ
বাবুলাল দাস

ঈশ্বরে মন এলে ক্রমে বুদ্ধি সুপথে পরিচালিত হয়। মন শুদ্ধ হয়ে ওঠে। শুদ্ধ মনে সদা শান্তি বিরাজ করে। শান্ত মনে ঈশ্বর অনুভব হয়। এসব কেবল শাস্ত্রেরই কথা নয়। এটিই অতি বাস্তব সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণ তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। সংসারে থেকে নানান প্রলোভনে পড়ে আমরা তা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। শুদ্ধ মন কী জিনিস বুঝি না। তাই এত গোল। এত কষ্ট। ঠাকুর উপায় বলে দিলেন। একহাতে সংসার ধরো, অন্য হাতে ঈশ্বর।
বিশদ

25th  February, 2020
কুকথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠভরা বিষ ...
সন্দীপন বিশ্বাস

আচ্ছা, দুধ থেকে কি করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা থাকে?
আচমকা শিবের প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যান পার্বতী। একটু থেমে বলেন, এমন কথা বলছো কেন?  বিশদ

24th  February, 2020
মোদি সরকারের সবকিছুই জাতীয় স্বার্থে আর তার তালিকাটিও শেষ হওয়ার নয়
পি চিদম্বরম

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তগুলির পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’’ 
বিশদ

24th  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

23rd  February, 2020
প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট।
বিশদ

21st  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
একনজরে
লাহোর, ২৭ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): সিংহের ডেরায় ঘাস কাটতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক কিশোরের। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর সাফারি পার্কে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিলাল নামে ১৭ বছরের ওই কিশোর গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে সেগুলির মধ্যে কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর।  ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: দিনহাটার পুরসভা এলাকায় লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত ওয়ার্ডেই শাসক দল তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি।  ...

সৌম্যজিৎ সাহা  কলকাতা: ডাস্ট অ্যালার্জির কারণ হিসেবে সবার আগে উঠে আসে ধুলোবালির কথা। সামান্য ধুলো নাকে গেলেই কারও হাঁচি শুরু হয়ে যায়, আবার কারও সর্দি লেগে যায়। কিন্তু শুধু ধুলোবালির জন্যই কি এই অ্যালার্জি?  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়
১৮৪৪: বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৮৮৩: ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়
১৯২৮: ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার
১৯৩৬: জওহরলাল-পত্নী কমলা নেহরুর মৃত্যু
১৯৪৪: সঙ্গীতকার রবীন্দ্র জৈনের জন্ম
১৯৪৮ - ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে
১৯৫১: ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ির জন্ম
১৯৬৩: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮১ টাকা ৭২.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৬ টাকা ৯৪.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৯ টাকা ৭৯.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী। অশ্বিনী ৫৪/৫৮ রাত্রি ৪/৩। সূ উ ৬/৩/২৭, অ ৫/৩৫/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী, অশ্বিনী ৪৮/১৯/৪৪ রাত্রি ১/২৬/১৫। সূ উ ৬/৬/২১, অ ৫/৩৪/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/১৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে ৪/৫ গতে ৫/৩৫ মধ্যে
এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৪/২৮ গতে ১১/৫০/৩০
মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২/৩৫ গতে ১০/১৬/৩৩ মধ্যে। 
মোসলেম: ৩ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বৃষ: গৃহে কোনও শুভ কাজ হবার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়১৮৪৪: বিখ্যাত ...বিশদ

07:03:20 PM

মধ্যাহ্নভোজে নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে অমিত-মমতা-নীতিশরা 
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ...বিশদ

03:51:00 PM

১৫০২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:13:22 PM

দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ 

03:09:23 PM

১৪৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:04:02 PM