Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নলজাতক কৌরব ও চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়
শুভময় মৈত্র

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে প্রতি ইংরেজি বছরের শুরুতে ভারতে যে জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন (ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস) হয় তা আজকের দিনে অত্যন্ত সাধারণ মানের। ‘সম্পূর্ণ নিম্নমানের’ কথাটা ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কারণ সামান্য বিজ্ঞান চেতনা থাকলে এটুকু বোঝা যায় যে অনেক অর্থহীন এবং দুর্বল গবেষণাপত্রের মধ্যে কখনও হয়তো একটা ভালো কাজ মুখ লুকিয়ে থাকতে পারে। তাই যে কোনও বিজ্ঞান সম্মেলনের মান নিয়ে চটজলদি চরম মন্তব্য না করাই ভালো। তবে একথা সত্যি যে আমাদের দেশের অনেক দক্ষ গবেষক সাধারণত ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে নিজের উচ্চমানের এবং সদ্য আবিষ্কৃত তথ্যসমষ্টি পেশ করতে উপস্থিত থাকেন না। অনেক নামকরা বিজ্ঞানী হয়তো এই সমস্ত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, তবে সেগুলো মূলত আমন্ত্রিত বক্তৃতামালা। অর্থাৎ তাঁদের আগেই প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণাপত্র সংক্রান্ত বিষয়ের চর্বিতচর্বণ।
শতবর্ষাধিক পূর্বে ১৯১৪ সালে আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সূচনা করেছিলেন। সেই সময় সি ভি রমণের মত মহান বৈজ্ঞানিকেরা উপস্থিত থাকতেন এই সম্মেলনে। তার তুলনায় আজকের দিনে সম্মেলনের মান দেখে কিন্তু সব হারানোর ব্যথা পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বর্তমানেও এই ধরনের বিজ্ঞানমেলাতে নোবেলজয়ীরা এসে কথা বলে যান। এই যে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের আলাপচারিতা, তা অনেকটা প্রৌঢ় মারাদোনা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পায়ের ওপর বল নাচানোর মত। আমরা সেটা দেখি এবং মুগ্ধ হই। বাস্তবে বিজ্ঞান গবেষণা ভীষণভাবেই একটি জটিল বিষয় এবং সেই বিষয়ে যাঁরা সরাসরি কাজ করেন তাঁরা ছাড়া বিষয়টির মর্মোদ্ধার অন্যদের পক্ষে অসম্ভব। বিজ্ঞানের গভীর তত্ত্ব নিয়ে অনেকসময়ই সংবাদমাধ্যমে জনসাধারণের বোধগম্য গল্প লেখা হয়। কিন্তু সেটা পড়ে যদি কেউ ভাবেন যে তিনি বিষয়টার বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলেন অথবা বুঝলেন অনেকটা, তাহলে মহা মুশকিল। জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে নোবেলজয়ী বিশ্ববন্দিত বিজ্ঞানীদের কাজের বর্ণনা তাই পপুলার সায়েন্স-এর প্রচারের থেকে বেশি কিছু নয়। যাঁরা আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞান গবেষণা করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন যে ঠিক কোন কোন সম্মেলনে তাঁদের সমমানের বিজ্ঞানীরা আসেন। তাঁরা সঠিকভাবে অবহিত যে কোন গবেষণা পত্রিকাতে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের বর্ণনা ছাপাতে হয় অথবা কোন সম্মেলনে জানাতে হয় নতুন কিছু পাওয়া। ভারতের জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলন মোটেও তেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ নয়। সুতরাং সেই হিসেবে এই সম্মেলনে পেশ করা গবেষণাপত্রগুলোর নিম্নমান অথবা অদ্ভুতুড়ে দাবি নিয়ে হইচই করা বৃথা।
তবে বিজ্ঞানেরও রাজনীতি আছে। আর জাতীয় বিজ্ঞান সম্মেলনে বিজ্ঞান যখন কম, তখন তাতে রাজনীতির মাত্রা বেশি থাকবেই। বিজ্ঞানী মানেই সততার প্রতিমূর্তি নন। গ্যালিলিওর ছবি ছুঁয়ে তাঁরা কেউ হলফনামা পেশ করেন নি যে কখনও মিথ্যে কথা আওড়াবেন না। সবাই জানে যে বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক নেতারা শিক্ষালয়ের সর্বোচ্চ আধিকারিকদের নিয়োগ করেন। ফলে দক্ষ বিজ্ঞানীকে অনেক সময়েই তুলনায় অনেক কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন রাস্ট্রনেতার গুণাগুণ গাইতেই হয়। সেই হিসেবে ‘মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান, কারণ এটাই সত্য’, ‘সীতাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া রাবণরথ প্রথম বোয়িং বিমান’, ‘গান্ধী পরিবার আমাদের দেশের উন্নতির একমাত্র কারণ’, ‘রাস্তায় ধোঁয়া কামান দাগলেই ডেঙ্গুর মশা নিধন হয়’ এরকম গল্প বিজ্ঞান সম্মেলনে ভুল প্রমাণ সহযোগে পেশ করাটাই ক্ষমতাসীন অথবা ক্ষমতালোভী বিজ্ঞানীদের দস্তুর। একথা অজানা নয় যে ফলিত গবেষণায় বিভিন্ন উদ্ভট পর্যবেক্ষণের ফল সঠিকভাবে ন্যায্যতা সহকারে লেখা হয় না। সেক্ষেত্রে পুকুরের জলে হাঁস সাঁতার কাটলে সেই জল পরিস্রুত হয়ে যায়—এর সমর্থনে তথ্যরাশি রান্না করা কঠিন নয়। ফলিত বিজ্ঞানে একটা অংশের কাজ অনেক সময়েই মিথ্যে। এর সুযোগ নেন সকল অপবিজ্ঞানী এবং সঙ্গে কিছু সামান্য অংশের সুযোগসন্ধানী বিজ্ঞানীরাও। অনেক ক্ষেত্রে গবেষণালব্ধ ফল হয়তো সত্যি কথা বলে দেয়, কিন্তু সেই ফলের মান (সেটা আঙ্কিক সংখ্যা হতে পারে, হতে পারে কোনও শব্দ কিংবা ছবি) এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয় যে সেটা সম্পূর্ণ ভুল অথবা মিথ্যে। পরীক্ষালব্ধ পর্যবেক্ষণে হয়তো কোনও ঘটনা একশোর মধ্যে ষাট বার ঘটল, কিন্তু সেটাতে ৯০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গিয়েছে এমন কথা লিখে অনেককেই বিশ্বাস করিয়ে ফেলা যায়। একথা আজকে সকলেই বোঝেন যে গবেষণাপত্রের প্রকাশনও আসলে একটা ব্যবসা। বহু নিম্নমানের গবেষণা পত্রিকা সেই ব্যবসায় মুনাফা লোটার জন্যে গবেষণাপত্রগুলি সঠিকভাবে বিচার করে না। তেমনই বহু বিজ্ঞান সম্মেলন মানের দিক থেকে বেশ নিম্নস্তরের। তাই এই অবিজ্ঞান চলবেই। শুধু আমাদের বিজ্ঞান কংগ্রেসকে কিংবা আজকে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। পুতিন কিংবা ট্রাম্প সাহেবের বলা কিছু অলীক বিবৃতি রাশিয়া বা আমেরিকার কোনও গবেষণাপত্রে ছাপা হয়ে গেলে চমকে ওঠার কিছু নেই। তবে এটা একদিকের ছবি। স্বাধীন বিজ্ঞান তার মতো করে সঠিক রাস্তায় এগিয়ে চলে। অবশ্যই আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কিছু গবেষণা পত্রিকা আছে যারা মানের ব্যাপারে কোনও আপস করে না। সেখানে ছাপা হওয়া গবেষণাপত্রের মান যথেষ্ট উচ্চস্তরের এবং বিশ্বাসযোগ্য। একইরকমভাবে দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামী শিক্ষাকেন্দ্রের বিজ্ঞ অধিকর্তারা আদৌ পাত্তা দেন না মন্ত্রী কিংবা রাজনীতিবিদদের। তবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার মত একটা সম্পর্ক হয়তো অনেক সময়েই রাখতে হয়।
রাজনীতিবিদরাও অনেক সময় উচ্চশিক্ষিত হন। কিংবা অনেক সময় উচ্চশিক্ষিত না হলেও তাঁদের মধ্যে বহু তীক্ষ্ণবুদ্ধির মানুষ থাকেন। সাধারণভাবে তাঁরা জানেন যে বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। কিন্তু রাজনীতি বড় দায়। তাই অনেক সময় দক্ষিণপন্থী নেতাকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরস্তরের ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও গণেশের দুধ খাওয়ার প্রচার করতে হয়। ফলে এই ধরনের নেতাদের কাছ থেকে সুবিধে পাওয়ার জন্যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলতেই পারেন যে কৌরবেরা আসলে নলজাতক শিশু এবং এই সংক্রান্ত আবিষ্কার আমাদের দেশে অনেক আগেই হয়েছিল।
ধান্দাবাজির জন্যে বিজ্ঞানী এবং রাজনীতিবিদদের পারস্পরিক পিঠ চুলকানির ব্যাপারটা নাহয় বোঝা গেল। কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে কীভাবে বুঝব যে সত্যি বিজ্ঞান কোনটা? গাছ থেকে আম পড়লে মাটির দিকে আসে এটা দিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে যতটা যুক্তি দিয়ে পেশ করা যায়, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে নাকি তার উল্টোটা, সেটা তো চটজলদি প্রত্যক্ষ করার উপায় কম। বিজ্ঞানের এক একটি বিষয়ের পিছনে বহু গুণী মানুষের কয়েক হাজার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আছে। সেগুলো অনেক সময় আমরা না-বুঝেই মেনে নিই। অর্থাৎ গোটাটাই একটা পরম্পরা। ভগবানকে বিশ্বাস করার যেমন একটা ঐতিহ্য আছে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন ফলাফলকে বিশ্বাসেরও তেমন অন্য এক ঐতিহ্য বর্তমান। আমাদের বেশিরভাগ বিশ্বাস-অবিশ্বাসই ভালোভাবে না-বুঝে। সেই সুযোগে অতীতের কল্পবিজ্ঞানগুলোকে যদি আমাদের বর্তমান সরকার আবিষ্কার বলে চালিয়ে দেয় তাতে দোষের কি? পুরোটাই তো প্রচার। আর আজকের দিনে আমাদের দেশে নলজাতক শিশুর জন্ম তো হাতের মুঠোয়। অনেকেই হয়তো জানেন যে চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯৭৮ সালে আমাদের এই শহরে প্রথম (বিশ্বে দ্বিতীয়, প্রথমটির ঠিক ৬৭ দিন পরে) নলজাতক শিশুর জন্ম দেওয়ার কাজটি সুসম্পন্ন করেন। কিন্তু সেই সময়ের বুদ্ধিজীবী বামপন্থী সরকার তাঁর কাজের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন এই চিকিৎসক। পরবর্তীকালে তাঁর কাজের পূর্ণ মূল্যায়ন হয়েছে, মরণোত্তর প্রচুর সম্মান পেয়েছেন তিনি। সুভাষবাবু জন্মেছিলেন ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি। তাঁর জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করবেন নাকি বিজ্ঞান সম্মেলনে প্রচারিত কৌরবদের কবিরাজকে, সে ধন্দ থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক 
15th  January, 2019
মমতার মহাজোট: শনিবারের ব্রিগেড কি মোদিজির চিন্তা বাড়িয়ে দিল? 
শুভা দত্ত

যাকে বলে একেবারে নক্ষত্র সমাবেশ। জনপ্লাবনে উদ্বেল শনিবারের ব্রিগেড ছিল প্রকৃত অর্থেই তারায় তারায় খচিত। আর সেই তারা ভরা ব্রিগেডে অবিসংবাদিতভাবেই মধ্যমণি ছিলেন মহাতারকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ডাকেই দেশের উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম থেকে মোদি-বিরোধী নেতানেত্রীরা শনিবার সমবেত হয়েছিলেন কলকাতার ব্রিগেড সভায়। 
বিশদ

রাফাল নিয়ে বিতণ্ডা ভারতের জন্য সুখকর নয়
মৃণালকান্তি দাস

মঞ্চে ১৪টি বিরোধী দলের কর্মীদের সঙ্গে কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা। হাত ধরে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তারই মাঝে উড়ছে রাফাল। তাতে সওয়ার নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। দিল্লির জনসভা থেকে দাবি উঠল, ‘রাফালে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পর সংসদ ভবনে বসার অধিকার হারিয়েছে মোদি সরকার।’
বিশদ

19th  January, 2019
গরিবের সন্ধানে
সমৃদ্ধ দত্ত

 ভারতের প্রতিটি সরকার গরিব খোঁ‌জার চেষ্টা করে। স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে সবথেকে কঠিন যে অঙ্ক প্রতিটি সরকার কষে চলেছে সেটি হল গরিবের সংজ্ঞা কী? কাকে বলে গরিব? এটাই জানা যাচ্ছে না। বিশদ

18th  January, 2019
পরিবেশের আনুকূল্যেই কেবল সফল হতে পারে জিন এডিটিং
মৃন্ময় চন্দ

বিশ্বে প্রথম ‘জিন এডিটিং’ করে জন্মানো দুই যমজ কন্যাসন্তান—লুলু-নানা। চীনের শেনঝেন শহরের সাদার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ‘হে জিয়ানকুই’ জিন সম্পাদনা করে দুই যমজ সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। বাবা-মার সূত্রে দু সন্তানের নাকি সম্ভাবনা ছিল এইডসে আক্রান্ত হওয়ার।
বিশদ

17th  January, 2019
‘প্রায় সব ভারতবাসীই গরিব’
পি চিদম্বরম

 কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতভাবে, ওটাই নরেন্দ্র মোদির সরকারের মত। এই মতের পক্ষে সমর্থনের স্পষ্টতা রোজ বাড়ছে। সেই স্পষ্টতার সর্বশেষ নিদর্শন পাওয়া গেল তড়িঘড়ি সংবিধান (১২৪তম সংশোধন) বিলের খসড়া তৈরি (৭ জানুয়ারি) এবং তা সংসদে পাশ (৯ জানুয়ারি) হয়ে যাওয়ার মধ্যে।
বিশদ

14th  January, 2019
মমতার নেতৃত্ব ছাড়া বিরোধীদের
লোকসভা জয়ের স্বপ্ন সফল হবে?
শুভা দত্ত

তিন রাজ্যের ভোটে ভালো ফল করার পর যে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস ফের খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে সন্দেহ নেই। লোকসভার ভিতরে বাইরে তাদের নেতা রাহুল গান্ধীর কথাবার্তা ও শরীরী ভাষাতেও সেটা পরিষ্কার। বিশেষ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌যুদ্ধ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের তরজায় এখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকেই যেন অপেক্ষাকৃত ধারালো, তরতাজা দেখাচ্ছে!
বিশদ

13th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

12th  January, 2019
মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

 মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। বিশদ

11th  January, 2019
মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
একনজরে
সায়ন্ত ভট্টাচার্য, কলকাতা: ব্রিগেডের ভিড় দেশের যে কোনও সমাবেশকে ছাপিয়ে যায়। এবার তা চাক্ষুষ করে তাঁরা বুঝলেন, কথাটা কতখানি সত্য! জীবনে প্রথমবার কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে দার্জিলিং থেকে এসেছেন ভুটিয়া সম্প্রদায়ের পালগন ভুটিয়া এবং তাঁর সঙ্গীরা। বললেন, এত ভিড় যে কোনও ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: সব্জি ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে জিয়াগঞ্জ সদর ঘাট সংলগ্ন সব্জি বাজারের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ৬০০০বর্গ ফুটের ছাদ ঢালাই করতে ৫০লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।  ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালা সংস্কার না হওয়ায় ওই নালা উপচে রাস্তা দিয়ে নোংরা জল বইছে। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি সমস্যা চলে আসায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।   ...

নয়াদিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজের প্রথম দু’টি ম্যাচে খেলবেন ঋষভ পন্থ। মূলত বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস পরখ করে নিতে চাইছেন জাতীয় নির্বাচকরা।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৭৪ টাকা ৯৪.০১ টাকা
ইউরো ৭৯.৬৬ টাকা ৮২.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১, ১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১, ৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯, ২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯, ৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪২৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, চতুর্দশী ১৯/৫১ দিবা ২/১৯। নক্ষত্র- আর্দ্রা ৪/২১ দিবা ৮/৭ পরে পুনর্বসু ৫৭/২৯ শেষরাত্রি ৫/২২, সূ উ ৬/২২/৫২, অ ৫/১২/১০, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ঘ ১০/২৬ গতে ১/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ঘ ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৫ মাঘ ১৪২৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৯, রবিবার, চতুর্দশী ১/৪২/২৩। আর্দ্রানক্ষত্র ৭/৩৪/১২। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/৯/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৭/৫৫ থেকে ঘ ৯/৫৯/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৫/৩৮ থেকে ৮/৪১/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৬/৪১ থেকে ১১/৪৭/১৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/৪৭/১৬ থেকে ১/৭/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৬/৪১ থেকে ঘ ৩/৬/৬ মধ্যে। 
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: প্রেমে সফলতা। বৃষ: অগ্নিবিদ্যুৎ থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মিথুন: বিদ্যার্জনে শুভ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু১৯৭২: নতুন রাজ্য ...বিশদ

07:03:20 PM

দিনহাটায় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ ধৃত ১ 

03:22:34 PM

হিমাচলের কেলং ভ্যালিতে ব্যাপক তুষারপাত 

03:21:00 PM

হায়দরাবাদে বিমানবন্দর থেকে ৬৬ লক্ষ টাকার সোনার বাট সহ গ্রেপ্তার ১ 

03:17:00 PM

সিরিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বিস্ফোরণ, মৃত ৩ 

03:03:00 PM