কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
আগস্টে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক কঙ্কণ চৌধুরী আরও দুই প্রার্থীর সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ লাইব্রেরিয়ান পদে ইন্টারভিউ দেন। বিশেষজ্ঞ কমিটি কঙ্কণবাবুকে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু তারপর একটা অভিযোগ ওঠে, ওই পদে চাকরি পাওয়ার জন্য যে ন্যূনতম এপিআই স্কোর (৪০০) থাকা প্রয়োজন, তা তাঁর নেই। এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিআই-ও হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনাও এক্ষেত্রে টেনে আনা হচ্ছে। তাতে বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন কঙ্কণবাবু।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বই কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে কঙ্কণবাবুর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ বেধেছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ থেকে আট লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয় বই কেনার জন্য। সেই টাকায় কঙ্কণবাবু বই কেনা শুরু করেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে পরে বলে, তিনি যেভাবে বই কিনেছেন, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিও রিপোর্টে জানিয়ে দেয়, বই কেনার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। এরপর কর্তৃপক্ষ কঙ্কণবাবুকে সেই আর্থিক বিষয়টি মিটিয়ে দিতে বলে। কঙ্কণবাবু নিজের দায়িত্বে সেই বইগুলি ফেরত পাঠান। কিছু বইয়ের দামও মিটিয়ে দেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। কিন্তু এই তালেগোলে বই কেনার অনুদানের আট লক্ষ টাকা ফিরে যায়। তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর খটাখটি শুরু হয়।
কিছুদিন আগে একটি মামলার জেরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ানের চাকরি চলে যায়। তাঁর বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় এপিআই স্কোর না থাকার অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কঙ্কণবাবু লিয়েন নিয়ে যাদবপুরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁকে লিয়েন দিতে রাজি হয়নি। কারণ হিসেবে তাঁকে বলা হয়েছে, এটা সিঙ্গল ক্যাডার পোস্ট। তাই লিয়েন দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁকে ওই পদে ইস্তফা দিয়েই কাজে যোগ দিতে হবে। ৩ জানুয়ারি কাজে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও তিনি তা করেননি। যদিও, এ ব্যাপারে ফোনে কোনও কথা বলতে রাজি হননি কঙ্কণবাবু। বই কেনা নিয়ে একটি সমস্যার কথা স্বীকার করলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধরণীধর পাত্রও।
অন্যদিকে, আইএলএসএম ফ্যাকাল্টিতে ডিন নিয়োগের ইন্টারভিউ এবং প্রেজেন্টেশন প্রক্রিয়া বহুদিন আগে শেষ হয়ে গেলেও এখনও কাউকে নিয়োগ করে উঠতে পারেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেই নিয়োগ নিয়ে আইনি সহায়তা নিচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ এখন অথৈ জলে। এদিকে, কিছুদিন আগেই বিকাশ ভবনে উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অনুমোদিত পদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ না হলে পদগুলির অনুমোদন শিক্ষা দপ্তর বাতিল করতে পারে।