কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিন বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড অনেকটাই শুনশান ছিল। হাতেগোনা কয়েকটি বাস সকালের দিকে স্ট্যান্ড থেকে ছাড়তে দেখা যায়। বাস না থাকায় স্ট্যান্ডে যাত্রীও তেমন ছিল না। বিভিন্ন রুটের সরকারি বাস ও ছোট গাড়িতে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করতে বাধ্য হন। বিষ্ণুপুর মহকুমার অধিকাংশ রুটে বাস চলাচল না করায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এদিন সরকারি বাস চললেও বিষ্ণুপুরের অধিকাংশ রুটে বেসরকারি বাস চলাচল করেনি। বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ ও তুড়কির প্রধান দুই বাস স্ট্যান্ড ছিল প্রায় শুনশান। বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রীদের ব্যাগপত্র নিয়ে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। এমনিতেই দক্ষিণ বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে বাসের সংখ্যা কম। তারউপর বাস তুলে নেওয়ার ফলে এদিন খাতড়া মহকুমা এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। সারাদিন অপেক্ষা করেও খাতড়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। বিভিন্ন জায়গায় টোটোতে যাত্রী পরিবহণ করতে দেখা যায়। এদিন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও বাস না পাওয়া মানুষজনকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাইক চালকদের কাতর অনুরোধ করতে দেখা যায়।
জঙ্গলমহলের অন্যতম জেলা পুরুলিয়ার চিত্র কমবেশি একইরকম ছিল। এদিন জেলার মধ্যে মানবাজার মহকুমা এলাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। শুক্রবার জেলার অধিকাংশ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও এদিন প্রায় প্রতিটি রুটেই অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম বাস চলে। বাস ধরার জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। পুরুলিয়া জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, জেলার মোট বাসের প্রায় ৬০ শতাংশ বাস তৃণমূল নিয়েছে। তবে সব রুট থেকে বাস তোলা হয়নি। এদিন পুরুলিয়া-মানবাজার, পুঞ্চা-মানবাজার, বরাবাজার-বান্দোয়ান, পুরুলিয়া-পুঞ্চা এবং পুরুলিয়া-হুড়া রুটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। অন্যান্য রুটে বাস কম চলাচল করলেও যাত্রীদের তেমন সমস্যা হয়নি। এদিন কিছু রুটে যাত্রীরা বাসের পরিবর্তে ছোট গাড়িতেও যাতায়াত করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ আরামবাগ থেকে প্রায় ২০০টি, খানাকুল থেকে প্রায় ১৮৭টি, গোঘাট থেকে প্রায় ৭০টি এবং পুরশুড়া থেকে প্রায় ৪০টি বাস তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাকি তৃণমূল কর্মী-সমর্থরা ট্রেন, ট্রেকার ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চেপে ব্রিগেডে উদ্দেশে রওনা দেন। এদিন গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গোঘাট রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দেন। এদিন সকালে আরামবাগ শহরের বিদ্যাসাগর বাস টার্মিনাসে গিয়ে বাসের দেখা মেলেনি। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য অনেককে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ছোট গাড়ি ভাড়া করতে দেখা যায়। আবার বাস টার্মিনাসের উল্টোদিকে ৪০৭পিক আপ ভ্যানে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাত্রীদের গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা যায়। ফলে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।