কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ব্রিগেড গত ১৪জানুয়ারি দক্ষিণ দামোদরের বিভিন্ন রুট থেকে বাস তুলে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। মূলত পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং আরামবাগের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা বাস তোলার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ায় গোটা সপ্তাহজুড়ে ভোগান্তি চলছে। শনিবার বর্ধমান-কাটোয়া, বর্ধমান-নবদ্বীপ, বর্ধমান-কালনা, এসটিকেকে এবং বাদশাহী সড়ক থেকে বাস উধাও হয়েছিল গিয়েছিল। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তাঁদের চূড়ান্ত নাকাল হতে হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট বাস অ্যাসোসিয়েশনের এগজিকিউটিভ মেম্বার শান্তনু গুপ্ত বলেন, এদিন জেলার সমস্ত রুট থেকেই বাস তুলে নেওয়া হয়েছিল। আজ, রবিবার থেকে গোটা জেলায় বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
পূর্ব বর্ধমানের মতো পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও বিভিন্ন রুট থেকে বাস তুলে নেওয়ায় এদিন নাকাল হন সাধারণ যাত্রীরা। আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। দুর্গাপুর শহরে বেশকিছু মিনিবাস চলায় দুর্ভোগ ততখানি ছিল না। তবে শহরের রাস্তায় অন্যান্য দিনের তুলনায় লোকজন কম ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে ব্রিগেডের জন্য মোট ৩৬৩টি বাস ও মিনিবাস তোলা হয়েছিল। আসানসোল শহরের প্রায় সমস্ত রুটে অটো চলায় এখানে যানবাহনের তেমন সমস্যা হয়নি। তবে আসানসোল থেকে পাণ্ডবেশ্বর কিংবা রানিগঞ্জ যাওয়ার জন্য যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আসানসোল বিএনআর মোড়ে গৌরাণ্ডি যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন রঘু দাস। তিনি বলেন, বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। হাতে গোনা যেকটি বাস চলছে তাতে ভিড় ছিল প্রচুর। বয়স্ক মানুষজনের পক্ষে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য। শহরের বাসিন্দারা বলেন, ধর্মঘটের দিন সরকার এসবিএসটিসি বাস শহরে চালায়। এদিন বেশকিছু রুটে সরকারি বাস নামানো হলে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হত না।