দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ
অনেক বার—কখনও বেলুড়ে অবস্থানকালে এবং কখনও তাহার পরে তিনি এইভাবে বুদ্ধদেবের কথা বলিয়াছিলেন। একদিন তিনি আমাদিগকে, যিনি মুখ্য বারাঙ্গনা হইয়াও বুদ্ধকে পরিতোষপূর্বক ভোজন করাইয়াছিলেন, সেই রূপসী অম্বপালীর উপাখ্যান এরূপ প্রাণস্পর্শিনী ভাষায় বর্ণনা করেন যে, রসেটি রচিত মেরী ম্যাকডালীনের আকুলক্রন্দনাত্মন বিখ্যাত অর্থ সনেটটির কথা স্বতই আমাদের স্মৃতিপথে উদিত হইল:
“ওগো, আমায় ছাড়িয়া দাও! দেখিতেছ না, আমার প্রিয়তমের মুখকমল আমায় নিকটে আকর্ষণ করিতেছে? আজ তিনি তাঁহার শ্রীচরণের জন্য আমার চুম্বন, আমার কেশপাশ, আমার অশ্রু মাগিতেছেন? ওগো, কে বলিয়া দিবে আবার কবে, কোথায় তাঁহার ঐ শোণিতালিপ্ত পদযুগল আমি আলিঙ্গন করিতে পাইব? তিনি যে আমায় ভালবাসিয়াছেন, আমায় চাহিতেছেন, আমায় ডাকিতেছেন; যাই, আমি যাই!”
কিন্তু স্বদেশপ্রেমই যে প্রত্যহ আলোচ্য বিষয় হইত, এমত নহে। কারণ, একদিন প্রাতঃকালে সর্বাপেক্ষা অধিক নূতনত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা হইয়াছিল। সেদিনকার দীর্ঘ আলোচনার বিষয় ছিল ‘ভক্তি’—প্রেমাস্পদের সহিত সম্পূর্ণ তাদাত্ম্য, যাহা চৈতন্যদেবের সমসাময়িক ভুম্যধিকারী ভক্তবীর রায় রামানন্দের মুখে এরূপ সুন্দরভাবে প্রকাশ পাইয়াছে—
“পহিলহি রাগ নয়নভঙ্গ ভেল;
অনুদিন বাড়ল অবধি না গেল।
না সো রমণ না হাম্ রমণী;
দুঁহ মন মনোভাব পেশল জানি।” ইত্যাদি।
ভগিনী নিবেদিতার ‘স্বামীজীর সহিত হিমালয়ে’ থেকে