মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক ... বিশদ
কেউ যখন ভগবানের লীলা শ্রবণ করে অশ্রু বিসর্জন করেন, তখন বুঝতে হবে যে, এই জলধারার প্রভাবে ভব-মহাদাবাগ্নি নির্বাপিত হয়ে যাবে। যাঁর শরীর পুলকিত ও রোমাঞ্চিত হয়, তিনি অচিরেই সিদ্ধিলাভ করবেন বলে বুঝতে হবে। সাধক-ভক্তের দৃষ্টান্ত হচ্ছেন শ্রীবিল্বমঙ্গল ঠাকুর। ভক্তিযোগ সাধন করার ফলে যাঁর কোন রকম পরিশ্রম অনুভব হয় না এবং যিনি সর্বদাই কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত কার্যকলাপে যুক্ত থেকে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরন্তর অপ্রাকৃত রস আস্বাদন করেন, তাঁকে বলা হয় সিদ্ধ। এই সিদ্ধ অবস্থা দুভাবে প্রাপ্ত হওয়া যায়—ভগবদ্ভক্তির সাধন দ্বারা ধীরে ধীরে এই স্তরে উন্নীত হওয়া যায়, এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ভগবদ্ভক্তির বিধি-নিষেধের অনুশীলন না করেই শ্রীকৃষ্ণের অহৈতুকী কৃপার প্রভাবে এই সিদ্ধ অবস্থা প্রাপ্ত হওয়া যায়। শ্রীমদ্ভাগবতের তৃতীয় স্কন্ধে নিয়মিতভাবে ভগবদ্ভক্তির অনুশীলন করার ফলে ভক্তের সিদ্ধি লাভের বর্ণনা রয়েছে—“জড় অস্তিত্বের মিথ্যা অহঙ্কার থেকে মুক্ত পুরুষ অথবা উন্নত স্তরের যোগী বৈকুণ্ঠ নামক ভগবৎ-ধামে প্রবেশ করতে পারেন। এই ধরনের যোগী বৈধীভক্তির নিরন্তর আচরণ করে অত্যন্ত উৎফুল্ল হন এবং তার ফলে পরমেশ্বর ভগবানের বিশেষ কৃপা লাভ করেন। যমরাজ এই ধরনের ভক্তের কাছে যেতেও ভয় পান।” সুতরাং এর থেকে আমরা উত্তম ভক্তের শক্তি অনুমান করতে পারি, বিশেষ করে ভক্তরা যখন একত্রিত হয়ে পরমেশ্বর ভগবানের লীলা আলোচনা করেন। সেই সমস্ত ভক্তরা এমনভাবে তাঁদের অন্তরের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন যে, আপনা থেকেই তাঁদের হৃদয় দিব্য আনন্দে দ্রবীভূত হয় এবং তাদের শরীরে নানা রকম দিব্য লক্ষণ দেখা যায়। যে মানুষ ভগবদ্ভক্তির পথে উন্নতি সাধনে অভিলাষী, তাকে এই ধরনের ভক্তদের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন যে, উত্তম ভক্তদের পদধূলির দ্বারা অভিষিক্ত না হলে ভক্তিমার্গে সিদ্ধিলাভ করা যায় না। মার্কণ্ডেয় ঋষির মতো তত্ত্বজ্ঞানী পুরুষেরাও বৈধীভক্তি অনুশীলন করে ভক্তিমার্গে সিদ্ধিলাভ করেছেন।