মেয়াদি সঞ্চয় বা পৈতৃক সম্পত্তি সূত্রে ধনাগম যোগ দেখা যায়। কাজকর্মের ক্ষেত্রে ও আর্থিক দিক ... বিশদ
যে সমস্ত বিষয়ে শিক্ষকের প্রথমেই যত্নবান হওয়া উচিত তাদের মধ্যে ইন্দ্রিয় সমূহের পূর্ণ উৎকর্ষতাসাধনই প্রধান। কারণ ইন্দ্রিয়গুলিই চিন্তার রূপদাতা। ইন্দ্রিয়ানুভবের জন্য যে দুইটি বস্তুর প্রয়োজন— তা হল যথার্থতা ও সংবেদনশীলতা। ইন্দ্রিয়গুলি, তাদের যাথার্থ্য এবং সংবেদনশীলতার জন্য নির্ভর করে স্নায়ুমণ্ডলীর অবাধ ক্রিয়ার উপর। এই স্নায়ুমণ্ডলী হল ইন্দ্রিয়গুলির সংবাদ প্রবাহের পথ স্বরূপ। মন এদের কাছ থেকে নিষ্ক্রিয়ভাবে সব কিছু গ্রহণ করে। স্নায়ুমণ্ডলীর ক্রিয়াবলীর ফলে যে সব বিকৃতি ঘটে, তাদের উৎপত্তি হয় স্নায়ু পথে আবেগ প্রসূত কোন প্রকার বিক্ষোভের দ্বারা। এর একমাত্র প্রতিকার হল শান্ত থাকার অভ্যাস ও স্নায়ুগুলির অভ্যাসগত দৃঢ়তা বজায় রাখা। এটা সিদ্ধ হতে পারে—‘নাড়ী শুদ্ধি’ বা স্নায়ু পরিশুদ্ধির দ্বারা। এর দ্বারা মানব দেহে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, ও আভ্যন্তরীণ সমস্ত প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটা সুপ্রতিষ্ঠিত শান্তি আসে এবং মন পরিশুদ্ধ হয়।
কিন্তু তুমি ইন্দ্রিয়ানুভবের মাধ্যমেই সবকিছু শিক্ষা কর: দৃষ্টির দ্বারা, পর্য্যবেক্ষণ দ্বারা, শ্রবণের দ্বারা। বিদ্যালয়ে যে শিক্ষালাভ কর তা তোমার ইন্দ্রিয়ানুভবকে উন্নত করে, অধ্যয়নের দ্বারা তোমার এই অনুভব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। মন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সবকিছু গ্রহণ করে তাই এই ইন্দ্রিয়গুলির শিক্ষাই মানুষের সাধারণ শিক্ষার সহায়ক হয়। যদি তুমি ভালভাবে, সঠিকভাবে ও নিখুঁতভাবে দেখতে শেখ, যদি সম্যকভাবে শুনতে শেখ, যদি স্পর্শের মাধ্যমে বস্তুর প্রকৃতি সম্বন্ধে জানতে শেখ আর ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখ, তাহলে তাই হবে তোমার শিক্ষার খুব শক্তিশালী উপায়। বেশ, অনেকগুলো গন্ধ আছে যাদের পরস্পরের মধ্যে সমন্বয় সম্ভব নয়। যদি তুমি তাদের একত্র কর তাহলে যা উদ্ভুত হয় তা বিরক্তি উৎপাদন করে, তার মধ্যে কোন সৌষম্য থাকে না বা কোন ঐক্য থাকে না।