আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
‘গ্রন্থ নয়, গ্রন্থি’—গেরো, বন্ধন—ঠাকুর বলতেন। বিশেষতঃ আধুনিক বিদ্যাশিক্ষা তো জগাখিচুড়ি, অনেক স্থলেই মানসিক অজীর্ণতা আনে। ‘পাস’ করা নয়, পাশ গলায় পরা। কিন্তু হায়, ‘পাস’ করার কি মোহই না আমাদের পেয়ে বসেছে! জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবনের সব মানসিক ও শারীরিক শক্তিটা ওতেই লাগাই, অনটন সত্ত্বেও ঐজন্যে কষ্টেসৃষ্টে টাকা যোগাড় করি, কত শারীরিক ও মানসিক উদ্বেগ সহ্য করি—ফল প্রায়ই স্বাস্থ্যনাশ এবং জীবন-সংগ্রামে হেরে গিয়ে চারদিক অন্ধকার দেখা! তার ওপর যদি বাল্যবিবাহের ফলে স্ত্রীপুত্রকন্যাদের ভরণপোষণও করতে হয় তো সোনায় সোহাগা। বিশ্ববিদ্যালয়কে যে গোলামখানা বলা হয়েছে তা মিথ্যা নয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষা যা দাঁড়িয়েছে তা অর্থকরীও নয়, কার্যকরীও নয়—অনর্থকারী, আত্মঘাতী। নৈতিক মেরুদণ্ডহীন, ধর্মে শ্রদ্ধাহীন, বিজাতীয়ভাবাপন্ন, জ্যান্তে মরা, তথাকথিত শিক্ষিতদের মধ্যেই বেশিরভাগকে দেখা যায়। নেহাত শুভসংস্কার যাদের তারাই বেঁচে ওঠে।
দুর্লভ মনুষ্যজন্ম পেয়ে তাঁকে পাবার চেষ্টা কর যাঁকে পেলে সব কিছুই পাওয়া হয়ে যায়, পাবার আর কিছু থাকে না। তাঁকে জানবার প্রযত্ন কর, যাঁকে জানলে সকল জিনিস জানা হয়ে যায়, জানবার আর কিছু থাকে না। তাঁকে ভালবাস যাঁকে ভালবাসলে আর সব ভালবাসা—কামিনীকাঞ্চনে আসক্তি ছাইপাঁশ বলে মনে হবে। এমন ভাবে জীবন গঠন কর যে, মৃত্যুহীন জীবন লাভ করতে পার।