আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
জৈন ও বৌদ্ধগণ মানবজাতির বিশুদ্ধ নৈতিক চরিত্রে অত্যন্ত আগ্রহী এবং ঈশ্বর আছেন কি নাই সে বিষয়ে নীরব থাকিলেও তাঁহাদের ধর্মপ্রবর্তক তীর্থঙ্কর মহাবীর প্রভৃতিকে এবং বুদ্ধদেবকে ঈশ্বরবিশ্বাসীর ঈশ্বরের মতই ভক্তি শ্রদ্ধা ও বন্দনা করেন এবং তাঁহাদের প্রতিমূর্তির সম্মুখে প্রণত হয়েন।
মহাবীর ও বুদ্ধ মূর্তির ব্যাপক পূজার প্রবর্তনের দৃষ্টান্ত দেখিয়াই প্রাচীনকালের ব্রাহ্মণেরা নিরাকার পরব্রহ্মের বিবিধ দেবতার মূর্তির পূজার প্রচলন করেন এবং সেই সকল দেবদেবীর পূজার ধ্যানমন্ত্র ও উপাসনার পদ্ধতি নানা শাস্ত্রে সংস্কৃত ভাষায় রচিত হইয়াছে ইহাই প্রত্নতত্ত্ববিদ্ ঐতিহাসিকগণের অভিমত।
ভারতের বেদমূলক সনাতন হিন্দুধর্ম অতি পুরাতন। ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূল ভারতীয় দর্শন ও ধর্ম। অন্যান্য দেশের বহু প্রাচীন ধর্মবৃক্ষ সমূলে উৎপাটিত করিয়া সেই স্থানে অন্য ধর্মবৃক্ষ কালক্রমে রোপিত হইয়াছে, কিন্তু ভারতের সনাতন ধর্মবৃক্ষের মূল এত সুদৃঢ় যে আজ পর্যন্ত কেহ এই দৃঢ়মূল সনাতন ধর্মবৃক্ষকে সমূলে নষ্ট করিতে পারে নাই। কালের গতিতে এই ধর্মের মধ্যে নানা দল উপদল সংস্কার আদাব ও মতবাদের সৃষ্টি হইলেও মূলটি ঠিক যেমন ছিল সেইরূপই অক্ষুণ্ণ থাকায় বৃক্ষটাও সঞ্জীবিত হইয়া আছে। গীতা অনাদি ব্রহ্মবৃক্ষ এই নশ্বর সংসারকে বর্ণনা করিয়াছেন পঞ্চদশ অধ্যায়ে ‘ঊর্ধ্বমূলমধঃ শাখমশ্বত্থং প্রাহুরব্যয়ম। ছন্দাংসি যস্য পর্ণানি যস্তং বেদ স বেদবিৎ।’’ বেদের মধ্যে পরমেশ্বরের বাচক ইন্দ্র, অগ্নি, মাতরিশ্বা প্রভৃতি বহু নাম আছে এবং এই সকল নামধারী বহু দেবতার উল্লেখ থাকিলেও সকল নামের লক্ষ সেই এক অদ্বিতীয় পরমেশ্বর যাঁহারই উদ্দেশ্যে-যজ্ঞে ভিন্ন ভিন্ন নামে আহুতি প্রদত্ত হইত। ‘একংসদ্বিপ্রা বহুধা বদন্তি।’