সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
এখন এই যে ধর্মক্ষেত্র বা শরীর, কেবল এখানেই যে সংগ্রাম চলছে তা’ তো নয়। এই যে ধর্মক্ষেত্র বা শরীরটা— এটা আছে কোথায়? থাকছে কোথায়? —না, এই কুরুক্ষেত্রে। সেটা কী জিনিস? এই বিশ্বে কোন কিছুই স্থির নয়— সব কিছু চলমান, সব কিছু চলছে; থেমে থাকবার উপায় নেই, থামতে চাইলেও থেমে থাকা যাবে না। কারণ, গতি হ’ল অস্তিত্বের লক্ষণ, অস্তিত্বের পরিচায়ক। গতি নেই মানে সে অনস্তিত্বের দোষে দুষ্ট। এখন প্রশ্ন হ’ল, কেন সব কিছুতেই গতি থাকবে? এর উত্তর হচ্ছে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডটা পরমপুরুষের সংকল্পসজ্ঞাত। তাই চিত্তাণু কেবলই ছুটে চলেছে তার চিন্তাধারার স্পন্দন অনুযায়ী ও এই চিন্তাধারার স্পন্দন সর্বক্ষেত্রেই সংকোচ- বিকাশী। ‘ঊহ’ আর ‘অবোহ’ অনুযায়ী এগিয়ে চলে এই সংকোচ— বিকাশিত্বের ভেতর দিয়ে। এই স্পন্দনের ভেতর দিয়ে বস্তু রূপ পরিগ্রহ করে, আরেকটা রূপ আসে। তাই সৃষ্ট জগতে কেউ থেমে থাকতে পারে না। সে কোন-না-কোন রকমের রূপ পরিগ্রহ করছে, তাকে চলতে হয়েছে, চলতে হচ্ছে ও চলতে হবে। তাই এই সৃষ্ট জগতে কেউ থেমে নেই। সৃষ্ট জগৎ চলছে... চলছে...। তাই এই সৃষ্ট জগতের মূল ভাবটি হচ্ছে, ‘এগিয়ে চলো।’
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কেউ যদি স্থাণুভাবে থাকতে চায় তার সেই চাওয়াটা সার্থক হবে না। কারণ, এখানে চলাটাই ধর্ম, চলাটাই প্রাণধর্ম। কেউ বেঁচে আছে কিনা জানতে গেলে নাড়ীর স্পন্দন আছে কি না পরীক্ষা করি। নাড়ীর স্পন্দন অস্তিত্বের নির্দ্ধারক। প্রাচীন বৈদিক যুগে একজন মস্ত বড় পণ্ডিত ছিল— নাম রোহিত। খুব জ্ঞান অর্জন করবার পর সে বুঝল—কাজ করেই বা কী? বেঁচে থাকাও যা’, মরে যাওয়াও তা’। শেষ পর্যন্ত সবই তো চরম নিস্তব্ধতায় মিশে যাবে, এই ভেবে সে কাজ করা বন্ধ করে দিলে। অনুমান করি, কাজ বন্ধ করলে বটে কিন্তু খাওয়া বন্ধ করেনি।