সম্মানরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শত্রুর সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতা। বাড়ি ঘর বাহন কেনার যোগ। কর্মে সংস্থাগত ... বিশদ
বন্ধন বলিয়া যাহাকে বলা হয়, সেই বন্ধনের স্বরূপ কি? সেই বন্ধন কোথা হইতে আসিল? ইহা থাকে কি প্রকারে? ইহা হইতে মুক্তিরই বা কি উপায়? অনাত্মাই বা কি বস্তু? আর আত্মার স্বরূপই বা কী? এই অনাত্মা ও আত্মার পার্থক্যজ্ঞান কোন্ উপায়ে লাভ করা যায়? —আমাকে এই প্রশ্ন সমুদায়ের উত্তর দয়া করিয়া দিন। গুরু বলিলেন: হে শিষ্য, তুমি ধন্য—তুমি কৃতার্থ। তুমি তোমার বংশকে পবিত্র করিলে। অবিদ্যাবন্ধন হইতে মুক্ত হইয়া ব্রহ্মস্বরূপ—উপলব্ধির ইচ্ছা হইতে তুমি ধন্য হইলে। পুত্রাদি পিতাকে ঋণ হইতে মুক্ত করিতে পারেন। কিন্তু অবিদ্যাবন্ধন হইতে মুক্তিদানের কর্তা নিজে ছাড়া আর কেহই নাই। মাথার উপর স্থাপিত বোঝা হইতে যে কষ্ট হয়, সে কষ্ট অপরে দূর করিতে পারে। কিন্তু নিজের ক্ষুধাতৃষ্ণার জ্বালা নিজের চেষ্টা ছাড়া অপরের দ্বারা নিবারিত হয় না। যে রোগী নিয়মিতভাবে ঔষধসেবন ও সুপথ্যগ্রহণ করেন, তাঁহার আরোগ্যলাভ হইয়া থাকে। অপর কেহ ঔষধ-পথ্যাদি গ্রহণ করিলে রোগী নিরাময় হয় না।