একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
‘এক্সপোজ বিজেপি, পানিশ বিজেপি’। নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই এই দাবিতে সরব হয়েছে দেশের কয়েকশো কৃষক সংগঠনের মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এই আহ্বান জানিয়ে রাজ্যে রাজ্যে চলছে বিজেপি বিরোধী কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট, হ্যান্ডবিল। বলা হচ্ছে, লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে সরিয়ে একটি বিকল্প গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। না হলে কৃষক তো বটেই, শ্রমিক-কর্মচারী থেকে সাধারণ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। কেন্দ্রের শাসকের অস্বস্তি বাড়িয়ে কৃষকদের এই প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং ‘আপ’-এর শাসনাধীন পাঞ্জাব রাজ্যের কৃষিজীবীরা। প্রচারে সরাসরি না বললেও ইন্ডিয়া মঞ্চকেই যে ক্ষমতায় দেখতে চাইছেন দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষকরা, তা পরিষ্কার।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মোদি জমানার দশ বছরে অভূতপূর্ব সঙ্কটে রয়েছে কৃষিক্ষেত্র। এই সময়কালে ৪ লক্ষের বেশি কৃষক ও খেতমজুর ঋণের ফাঁদে ও খিদের জ্বালায় আত্মহত্যা করেছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কর্পোরেটের লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়নি। দেখা গিয়েছে, কৃষিতে উৎপাদন খরচ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও সরকারের বাজেট-বরাদ্দ বছর বছর কমেছে। কৃষকরা ভুলে যাননি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে তাঁদের ভাইদের রক্তাক্ত হওয়ার স্মৃতি। ভোলেননি ২০২১-এ আন্দোলন চলাকালীন এই লখিমপুরের খেরিতে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের গাড়ির চাকায় পিষে পাঁচ কৃষক ও এক সাংবাদিকের মৃত্যুর নিদারুণ কাহিনি। সেই অজয় মিশ্র এবারের নির্বাচনেও পদ্মফুলের প্রার্থী হয়েছেন! কথায় আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। মোদি সরকারকে তাই এবার ফিরিয়ে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন কৃষকরা। বিজেপিকে হারানোর জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হরিয়ানার বিক্ষোভকারী কৃষকরা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, রাজ্যে বিজেপি কিংবা তার সহযোগী কোনও দলের প্রার্থী অথবা এমএলএ-এমপিকে প্রচার করতে দেওয়া হবে না। এ তো আসলে ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ। তাই নরেন্দ্র মোদির ‘কৃষক ভাইবোন’ সম্বোধনেও চিঁড়ে ভিজছে না। যা দেখে জমি হারানোর আশঙ্কায় তটস্থ গেরুয়া শিবির।