কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
ভারী শিল্প মন্ত্রকের আওতায় থাকা ঐতিহ্যবাহী সংস্থা ব্রিজ অ্যান্ড রুফ শতবর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা পাঁচ হাজার কোটি টাকার সংস্থা হিসেবে উঠে আসতে চাইছে। সিএমডি জানান, গত আর্থিক বছরে যেখানে তাঁদের বরাতের অঙ্ক ছিল প্রায় ৫ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা, এবার তা ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ২০০টি বরাত আছে তাঁদের হাতে। গত আর্থিক বছরে যেখানে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ব্রিজ অ্যান্ড রুফ, এবার তা সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করছেন কর্তারা। পাশাপাশি গতবার যেখানে কর পূর্ববর্তী মুনাফা ছিল ৫১.৪২ কোটি টাকা, এবার তা অন্তত ৭০ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
সিএমডি বলেন, আমরা রেলের কাছে আর্জি জানাব, যাতে ওয়াগন সারাইয়ের বরাত আমাদের দেওয়া হয়। রেলের হাত ধরে এখন প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বরাত রয়েছে ব্রিজ অ্যান্ড রুফের হাতে। আছে আটটি রেল স্টেশন গড়ার কাজ, যার মধ্যে অন্যতম হল আসানসোল এবং কলকাতা স্টেশন ঢেলে সাজার দায়িত্ব। সিএমডি বলেন, আমাদের কারখানায় বছরে ২০০টি ওয়াগন তৈরির পরিকাঠামো আছে। যে কারণগুলিতে বরাত বন্ধ হয়েছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখব। তারপর আমরা রেলকে এই বিষয়ে আর্জি জানাব।
২০১৭ সালে ব্রিজ অ্যান্ড রুফকে বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে টানাপোড়েন চলে কর্মী মহলে। আদালতের দ্বারস্থ হন কর্মীরা। এরই মধ্যে বিলগ্নির জন্য বিনিয়োগকারীদের থেকে মালিকানা কেনার জন্য ইচ্ছাপত্র চাওয়া শুরু হয়। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এরপর আর তেমন বদলায়নি। এদিন সিএমডি বলেন, বিলগ্নিকরণ সরকারের বিষয়। তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত সরকার এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি।