কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
হোম স্টে নিয়ে কীভাবে প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্র? সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি মূলত হোর্ডিং বা সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলের ডিরেক্টর সাগ্নিক চৌধুরীর কথায়, রাজ্যের প্রায় ৯০টি হোম স্টে’কে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছি আমরা। এই সংস্থাগুলির ব্যবসা করার ইচ্ছা আছে। অতিথি সেবার সাধ্য আছে। কিন্তু অনেক সময় পুঁজি কম হওয়ায়, তারা প্রচারের আলোয় নিজেদের তুলে ধরতে পারে না। পর্যটন ব্যবসার প্রসারই আমাদের উদ্দেশ্য। সেই কাজটি করতে গেলে হোম স্টে’গুলিকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা জরুরি। আমরা সেই কাজটিই করছি।
প্রশ্ন হল, সরকার যাদের প্রচারের আলোয় আনছে, সেখানে যদি কখনও কোনও কারণে পরিষেবায় ঘাটতি দেখা যায়, তার দায় কি সরকারের উপর বর্তায় না? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, যাঁরা ইনক্রিডেবল ইন্ডিয়ার আওতায় এসেছেন ও প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু সরকার নির্ধারিত শর্তগুলি পূরণ করেই স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফলে পরিষেবার ঘাটতির অভিযোগ যদি ওঠে, তাহলে সেই হোম স্টে’র স্বীকৃতি বাতিল করার অধিকার মন্ত্রকের আছে।
হোম স্টে’র হয়ে কীভাবে প্রচার করছে মন্ত্রক? দপ্তরের এক কর্তার কথায়, কলকাতার কাছেই হাওড়া-আমতায় কালবাঁশ বলে একটি জায়গায় বিড়ালের তুতো ভাই বাঘরোলের আস্তানা। তা জানেন ক’জন? সেই এলাকার যেমন আমরা প্রচার করছি, তেমনই সেখানে কোথায় হোম স্টে আছে, তারও হদিশ দিচ্ছি। পর্যটকরা দার্জিলিং যান। কিন্তু তার কাছেই রিকিসুম বলে একটি জায়গা আছে ছবির মতো সুন্দর। সেখানে কোন হোম স্টে’তে পর্যটকরা থাকবেন, আমরা তা জানাচ্ছি। এভাবেই রাজ্যের আনাচ-কানাচের হোম স্টে’র হদিশ দিচ্ছি আমরা।
হুগলির মেমারিতে হোম স্টে হিসেবে আমোদপুরের ‘চৌধুরীবাড়ি’ ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। এখানকার কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরীর কথায়, শুধু পশ্চিমবঙ্গ কেন, গোটা পূর্ব ভারতেই পাহাড়ি এলাকা বাদ দিয়ে কোথাও হোম স্টে সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। অথচ সমতলে বহু জায়গা আছে, যেগুলি ইতিহাসের নানা উপাদানে উজ্জ্বল। সেই সব এলাকায় হোটেল না থাকলেও, হোম স্টে’র ভালো ব্যবসার সুযোগ আছে। সেই সম্ভাবনাকেই কেন্দ্রীয় সরকার জাগিয়ে দিচ্ছে। আমরা ইনক্রিডেবল ইন্ডিয়া’র তরফে যে সহায়তা পাচ্ছি, তা অভূতপূর্ব। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এটা অত্যন্ত সদর্থক। ওয়েসিস হোম স্টে’র কর্ণধার দেবযানী কর্মকারের কথায়, ঝাড়গ্রামে পর্যটক ক্রমশ বাড়ছে। আমরাও তাই বুকিং পাচ্ছি ভালোই। ইনক্রিডেবল ইন্ডিয়ার সঙ্গে আমরা যুক্ত হই ২০১৮ সালের পুজোর পর। সেখান থেকেও খোঁজখবর নিয়ে অনেকেই আসতে শুরু করেছেন।