কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
২০১৭ সালে টেলিফোন নিয়ামক সংস্থা (ট্রাই) ইন্টারকনেক্ট ইউসেজ চার্জ বা আইইউসি (অর্থাত্ এক সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে অন্য প্রোভাইডারে কলের খরচ) কমিয়ে দেয়। ১৪ পয়সা থেকে কমিয়ে তা করা হয় ৬ পয়সা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই চার্জ শূন্যে নামিয়ে আনার কথা রয়েছে। অর্থাত্ সেক্ষেত্রে জিও থেকে ভোডাফোন-আইডিয়া বা এয়ারটেলের কোনও নম্বরে ফোন করা হলে জিওকে কল বাবদ প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাকে কোনও টাকা দিতে হবে না। অন্য সংস্থার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
মুকেশ আম্বানির সংস্থা আরও জানিয়েছে, জিও থেকে সমস্ত নম্বরে এতদিন কল করার জন্য কোনও পয়সা দিতে হতো না। সংস্থার তরফেই এই খরচ বহন করা হতো। তাই বিগত তিনবছরে আইইউসি বাবদ ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়াকে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে জিওকে। ট্রাইয়ের পদক্ষেপের জন্য এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সংস্থাকে। তাই গ্রাহকদের অন্য টেলিকম সংস্থার নম্বরে ফোন করতে হলে মিনিটে ৬ পয়সা করে দিতে হবে। বর্তমানে, জিওর গ্রাহকরা শুধুমাত্র ডেটা ব্যবহারের জন্য টাকা দেন। দেশের যে কোনও প্রান্তে, যে কোনও নেটওয়ার্কে ফোন করার ক্ষেত্রে কোনও চার্জ দিতে হত না।
বুধবার থেকেই এই নয়া নিয়ম চালু করেছে জিও। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ট্রাই যতদিন পর্যন্ত আইইউসি শূন্য করে দিচ্ছে না, ততদিন এই চার্জ চালু থাকবে। তবে, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু টপ-আপ ভাউচারও চালু করা হয়েছে। ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত এই টপআপ পাওয়া যাবে। এতে আইইউসি মিনিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ডেটাও দেওয়া হচ্ছে সংস্থার তরফে। যেমন ১০ টাকার টপ-আপ রিচার্জ করলে জিও গ্রাহক অন্য নেটওয়ার্কে ১২৪ মিনিট কথা বলতে পারবেন। তার সঙ্গে মিলবে ১ জিবি ডেটাও। এছাড়া ২০ টাকার রিচার্জে ২৪৯ মিটি আইইউসি এবং ২ জিবি ডেটা পাওয়া যাবে। একইভাবে, ৫০ ও ১০০ টাকার টপ-আপের সুবিধাও থাকছে।