কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সিইএসসি সূত্রের খবর, এবারের পুজোয় পঞ্চমী থেকে দশমীর মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল পঞ্চমীতে। ওইদিন বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ১৮৩৪ মেগাওয়াটে। পরের দিন অর্থাৎ, ষষ্ঠীতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা কমে দাঁড়ায় ১৭৪৯ মেগাওয়াট। সপ্তমী ও অষ্টমীতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল যথাক্রমে ১৫২৬ মেগাওয়াট এবং ১৩৪৯ মেগাওয়াট। নবমী এবং দশমীতে সেই চাহিদা আরও কমে দাঁড়ায় ১২৮৪ এবং ১২৭০ মেগাওয়াটে।
পুজোর সময় পঞ্চমীতে যে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকতে পারে, তা প্রাক-পুজো সাংবাদিক সম্মেলনে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিইএসসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউশন সার্ভিসেস) অভিজিৎ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, পুজোয় কোন দিন বিদ্যুতের চাহিদা কত থাকতে পারে, তা আগাম বোঝার চেষ্টা করা হয় প্রতি বছর। সেই অনুযায়ী এবারের পুজোয় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হতে পারে পঞ্চমীতে। পুজোপর্ব শেষে অভিজিৎবাবু বলেন, চাহিদা যাই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ সরবরাহে কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। পুলিস, দমকল ও পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করা হয়েছে।
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি সূত্রের খবর, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় তাদের এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৮০০ মেগাওয়াট। সপ্তমীর সন্ধ্যায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯২০ মেগাওয়াট। পরের দিন অর্থাৎ অষ্টমীর সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে হয় ৫৬৫০ মেগাওয়াট। নবমীর সন্ধ্যায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা আরও কমে দাঁড়ায় ৪৯০০ মেগাওয়াটে। বণ্টন কোম্পানির এক কর্তা বলেন, পুজোয় বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। তাতে বহু পুজো কমিটিকে জরিমানা করা হয়েছে। এইভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিপদের যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। বিভ্রাট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ‘লো-টেনশন’ এবং ‘হাই-টেনশন’ মোবাইল ভ্যান মজুত রাখা ছিল বলে জানান তিনি।