মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
তবে সুব্রতবাবুর চিঠি স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মান্যতা পাচ্ছে না। কারণ ‘অধিকার’ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটির ড্রাফট কোর্ট পেপারে করা হয়নি। সেদিন আইনি মারপ্যাঁচে ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা ভুল করেছিলেন। সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে এখন নিজেদের প্রাপ্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা ছেড়ে দিতে চলেছে ইস্ট বেঙ্গল। এই আড়াই কোটির মধ্যে প্রায় এক কোটি ক্রিকেট টিমের জন্য। বাকি প্রায় দেড় কোটির মধ্যে দু’বছরের উন্নয়ন ফি এবং মাঠের সংস্কারের জন্য প্রাপ্য লাল-হলুদের। গভীরভাবে খতিয়ে না দেখে চুক্তি করা হয়। খসড়া চুক্তি নিয়ে একাধিক নামী আইনজ্ঞের সঙ্গেও সেইভাবে কথা বলেনি তাঁরা। এক নবাগত কর্মসমিতির সদস্যর কথায় ক্লাবের সবকিছুই কোয়েস কর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সচিব কল্যাণ মজুমদাররা।
ফুটবল টিমের ব্যাপারে প্রামাণ্য নথিপত্র পেয়ে কোয়েস টেকনিক্যাল কমিটি ভেঙে দেয়। ইস্ট বেঙ্গল তাঁবুর চৌহদ্দি থেকে বেরিয়ে নিজেরাই টিম চালায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে বোর্ড মিটিংয়ে এই নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল সচিবের সঙ্গে আইজ্যাকের রীতিমতো ঝামেলা হয়েছিল।
এর ফলে ২০১৯ সালের ২৮ মে আইজ্যাক ঘোষণা করে দেন, তাঁরা ২০২০ সালের ৩১ মে’র পর কোনও আর্থিক দায়িত্ব নেবেন না। আইজ্যাক ২০২০-২১ মরশুমের জন্য কোনও ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলেননি। কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের কলকাতা অফিস তুলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পাঁচ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও দেননি লেটার অফ টার্মিনেশন। এই চিঠি না পেলে ইস্ট বেঙ্গলের নতুন কোম্পানি এএফসি’র লাইসেন্সিং করতে পারবে না। সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে পারবে না কোনও খেলোয়াড়কে সই করাতে। এদিকে ১ আগস্ট শুরু হচ্ছে সইসাবুদ। তাই শিরে সংক্রান্তি ইস্ট বেঙ্গল কর্তাদের!
রবিবারও আইনজীবিদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন শীর্ষ কর্তারা। শনিবার ফেডারেশনকে দেওয়া আইজ্যাকের চিঠির পর সিআরএসের মাধ্যমে ফুটবলারদের সই করাতে না পারলে সমালোচনার ঝড় উঠবে। সেই ভয়ে নিজেদের প্রাপ্য আড়াই কোটি দাবি থেকে সরে কোয়েসের সমঝোতার পথে লাল-হলুদ। সেই সঙ্গে একাধিক বছরের চুক্তি থাকা কোলাডো, সামাদ, লালরিনডিকা, পিন্টু, অভিষেকদের রেখে দিতে বাধ্য হবেন কর্তারা। হাতে সময় কম থাকায় মামলা করতে নিষেধ করেছেন ইস্ট বেঙ্গলের সলিসিটাররা। দেখা যাক,ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা নমনীয় হলেও আইজ্যাক নতুন কোনও জট পাকান কী না? শীর্ষ কর্তাদের আশা, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেটে যাবে যাবতীয় জট।