পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
(ডি ব্রুইন, স্টার্লিং, ফোডেন, অক্সলেড-আত্মঘাতী)
ম্যাঞ্চেস্টার: প্রিমিয়ার লিগ খেতাব আগেই জিতে নিয়েছে লিভারপুল। তাই বৃহস্পতিবার ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচের গুরুত্ব তাদের কাছে কার্যত ছিল না। কিন্তু প্রথম লেগে হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ঘরের মাঠে ‘পাসিং অ্যান্ড প্রেসিং’ ফুটবল উপহার দিয়ে লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উৎসবের তাল কেটে দিল পেপ-ব্রিগেড। চার গোলে জেতার পর তাই সিটি কোচ গুয়ার্দিওলাকে বলতে শোনা গেল, ‘বিশ্বের সেরা দলকে হারিয়ে বাড়তি তৃপ্তি পেয়েছি। লিভারপুল যথেষ্ট সিরিয়াস ছিল। ওদের পারফরম্যান্সে বিন্দুমাত্র ঢিলেমি চোখে পড়েনি। তা সত্ত্বেও আমরা জিতেছি। এটাই বড় ব্যাপার। যাবতীয় কৃতিত্ব ফুটবলারদের।’ উল্লেখ্য, ৩২ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্টেই রইল লিভারপুল। সমসংখ্যক ম্যাচে সিটির সংগ্রহ ৬৬ পয়েন্ট।
খেলা শুরুর আগে খেতাব জয়ী লিভারপুলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় সিটি। মর্যাদার ম্যাচে সেরা একাদশই নামিয়েছিলেন দুই কোচ। ম্যাচের শুরুতে দুই দলই একে অপরকে পরখ করে নিয়েছে। ২১ মিনিটে মো সালাহর শট পোস্টে ধাক্কা খায়। এর মিনিট তিনেকের মধ্যেই পেনাল্টি পায় ম্যান সিটি। বক্সের মধ্যে রহিম স্টার্লিংকে ফাউল করেন জো গোমেজ। স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি কেভিন ডি ব্রুইনের (১-০)। এরপর ক্রমশ আক্রমণের চাপ বাড়ায় পেপ-ব্রিগেড। যা সামলানোর ক্ষমতা ছিল না ভার্জিল ফন ডিকদের। ৩৫ মিনিটে ফিল ফোডেনের পাস ধরে জাল কাঁপান স্টার্লিং (২-০)। এখানেই শেষ নয়। বিরতির আগে কেভিন ডি ব্রুইনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে লিভারপুল রক্ষণ ভাঙেন ফোডেন। তারপর তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট আছড়ে পড়ে জালে (৩-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের ম্যাচে ফেরার চেষ্টা সফল হয়নি। এই পর্বে সাদিও মানে একাই দু’টি সোনার সুযোগ হাতছাড়া করেন। এছাড়া সিটি গোলরক্ষক এডারসন তৎপর থাকায় গোল হজম করতে হয়নি সিটিকে। পক্ষান্তরে, কেভিন ডি ব্রুইন ও ফিল ফোডেনের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সকে হাতিয়ার করে পেপের দলও একাধিক আক্রমণ শানায়। ৬৬ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে চতুর্থ গোলটি তুলে নেয় তারা। কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে নেওয়া রহিম স্টার্লিংয়ের শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিন (৪-০)। এরপর স্টার্লিং ও রিয়াধ মাহরেজ প্রাপ্ত সুযোগ নষ্ট না করলে লজ্জা আরও বাড়ত লিভারপুলের। দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত সময়ে মাহরেজের গোল ফোডেনের হ্যান্ডবলের কারণে বাতিল হয়।
চলতি প্রিমিয়ার লিগে এটি লিভারপুলের দ্বিতীয় হার। তাই ম্যাচের শেষে জুরগেন ক্লপ বলেন, ‘আমরা মোটেই এই ম্যাচ হাল্কাভাবে নিইনি। তা সত্ত্বেও কেউ যদি এটা বলেন তাহলে আমার কিছু করার নেই। ম্যান সিটিতে ভারসাম্যের কোনও অভাব নেই। বিশ্বে ওরাই একমাত্র দল যারা এভাবে আমাদের চূর্ণ করতে পারে। তবে এই হারে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। দীর্ঘ লিগে মাত্র দু’টি ম্যাচ হেরেছি। কথা দিচ্ছি, দ্রুত জয়ের চেনা পথে ফিরবে মো সালাহ-ফারমিনোরা।’