কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
শনিবার ঘরের মাঠে ইস্ট বেঙ্গলকে হারাতে পারলে লিগের লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ পাবে চেন্নাই সিটি এফসি। যা কাজে লাগাতে মরিয়া কোচ আকবর নাওয়াজ। তিনি জানেন, আলেজান্দ্রো চলে যাওয়ার পর ইস্ট বেঙ্গলে এখন ছন্নছাড়া অবস্থা। ইনভেস্টর কোয়েস ও সাবেক লাল-হলুদ কর্তারা, উভয়েই দায় এড়াতে একে অপরকে দোষরোপ করছেন। এছাড়া কার্ড সমস্যায় মার্তি ক্রেসপি না থাকায় গোল করার ক্ষেত্রে তাদের সুবিধা হবে বলে তাঁর ধারণা। ডিফেন্সিভ ব্লকার কাসিম আইদারার পজিশন শেষ মুহুর্তে বদল না হলে স্টপারে খেলবেন ছন্দে না থাকা মেহতাব সিং ও আসির আখতার। দুই সাইড ব্যাকে খেলবেন কমলপ্রীত সিং ও অভিষেক আম্বেকর। রক্ষণে পরিবর্ত হিসেবে লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে আছেন দুই নবাগত আভাস থাপা ও মনোতোষ চাকলাদার। এমনিতেই গত ১৪ ডিসেম্বরের পর আই লিগে জয় পায়নি ইস্ট বেঙ্গল। শেষ তিনটি ম্যাচে হেরেছে। ডার্বিতে হারের পর দায়িত্ব ছেড়ে স্পেনে চলে গিয়েছেন আলেজান্দ্রো। এমনকী তাঁর সহকারী জোশেফ ফেরেও ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন সহকারী কোচ তথা দোভাষী মার্শাল ট্রুলস সেভিলানোর মাধ্যমে হুয়ান মেরা, কোলাডো, মার্কোসের মাধ্যমে স্প্যানিশদের নির্দেশ দিচ্ছেন এই ম্যাচের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ বাস্তব রায়।
চেন্নাইয়ের সাংবাদিকরা এদিন বাস্তবকে প্রশ্ন করেন, ক্লাবের এই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের প্রভাব মাঠে পড়বে কি না? তাঁর উত্তর, ‘মাঠের বাইরের নেতিবাচক ফ্যাক্টরগুলির প্রভাব পারফরম্যান্সে পড়বে না। এটা ঘটনা, আমাদের দলে কোনও বিদেশি ডিফেন্ডার নেই। তবে কাসিম আইদারার মতো একজন বড় চেহারার খেলোয়াড় আছে। সাম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে সাফল্যের পথে ফিরতেই হবে ইস্ট বেঙ্গলকে।’ তবে বাস্তব যাই বলুন না কেন লাল-হলুদ ফুটবলারদের কাজ বেশ কঠিন। কারণ ফিটো-জান মুজাঙ্গুর পাশাপাশি চেন্নাই দলের মাঝমাঠে আছেন কাটসুমি আর স্যান্ড্রোর মতো অভিজ্ঞ মিডিও। তবে স্যান্ড্রো পুরো ফিট নন। দু’দিন আগে ইস্ট বেঙ্গলে সই করলেও ক্রোমা কন্ডিশনেই আছেন। তাই মার্কোসের পাশে তাঁকে শুরু থেকে খেলানো হতে পারে। তাঁদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য তৈরি চেন্নাইয়ের বিদেশি ডিফেন্ডার রবার্তো এলসাভা।
খেলা শুরু বিকেল পাঁচটায়। ডি স্পোর্টসে সরাসরি সম্প্রচার।