নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নেরোকার বিরুদ্ধে খেলতে মঙ্গলবার ইম্ফলে উড়ে যাচ্ছে মোহন বাগান। ডার্বির পর সোমবার বিশ্রাম ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। এবারের আই লিগে সব ভেন্যুতেই মোহন বাগান ম্যাচের দু’দিন আগে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু ‌ইম্ফলে ভালো মাঠের অভাব। ম্যাচের আগের দিন খুমান লাম্পাক স্টেডিয়ামে কিবু ভিকুনার দল বাধ্যতামূলকভাবে এক ঘণ্টা অনুশীলনের সুযোগ পাবে। বিমানে কলকাতা থেকে ইম্ফলে যেতে সময় লাগে মাত্র সোয়া ঘণ্টা। তাই বুধবার সকালের বিমানে গিয়ে বিকেলে প্র্যাকটিস করবে মোহন বাগান। মঙ্গলবার স্প্যানিশ কোচ ভিকুনা প্র্যাকটিসের পর বলেন, ‘মাত্র দু’টি প্র্যাকটিস সেশনের পর নেরোকার মতো দলের সঙ্গে নামতে হবে। প্রস্তুতির জন্য আরও একদিন বাড়তি সময় পেলে ভালো হত। কিন্তু কিছু করার নেই। ফেডারেশনের ক্রীড়াসূচি তো মানতে হবে। আই লিগের টেবলে নেরোকা ছয় নম্বরে আছে। হেরেছে তিনটি ম্যাচে। তবে ঘরের মাঠে ওরা আমাদের বেগ দিতে তৈরি। গত দু’দিন অনেকের মুখে শুনেছি, বড় ম্যাচ জিতলে অনেক ক্ষেত্রেই দলে আত্মতুষ্টি চলে আসে। ডার্বির পরের ম্যাচটি তাই বেশ কঠিন হয়। তাই ফুটবলারদের এই ব্যাপারে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছি। ইস্ট বেঙ্গলকে হারানো এখন অতীত।’
নিজের বক্তব্যের পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে কিবু এগিয়ে দেন ডার্বিতে অন্যতম গোলদাতা পাপা দিওয়ারাকে। মোহন বাগানে আসার পর প্রথম তিনটি ম্যাচে তিনি গোল পাননি। কিন্তু ডার্বিতে দলের জয়সূচক গোলটি তাঁরই। এদিন পাপা বলেন, ‘ডার্বি আমার কাছে অতীত। আই লিগ জিততে হলে আসন্ন ম্যাচগুলি থেকে পুরো পয়েন্ট পেতে হবে। ফোকাস হারাতে আমরা রাজি নই। পরের খেলাতে সহজ সুযোগ নষ্ট করলে সবাই ডার্বিতে করা গোলের কথা ভুলে যাবেন। তখন সমালোচনাই জুটবে। নেরোকা ম্যাচেও গোল করতে চাই। তবে ইম্ফলের ঠান্ডা নিয়ে সামান্য দুশ্চিন্তা রয়েছে।’ ডার্বিতে মোহন বাগানের ১৮ জনের দলে যে সমস্ত খেলোয়াড় ছিলেন তাঁরা সকলেই ইম্ফলে যাচ্ছেন। শিলটন পাল, ফৈয়াজরা মোহন বাগান মাঠে অনুশীলন করবেন আগামী দিন চারেক। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মোহন বাগান-নেরোকা ম্যাচটি বেলা দুটোয় শুরু হবে।
মোহন বাগানের প্র্যাকটিসে কোচ এদিন শঙ্কর রায় আর পাপা দিওয়ারার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। রবিবারের ম্যাচে সারাক্ষণ আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিয়েছিল সবুজ-মেরুন গোলরক্ষকের মধ্যে। সমস্যা হচ্ছিল আউটিং নিয়েও। তাই তাঁর সাহস বাড়াতে এদিন সাপোর্ট স্টাফদের নিয়ে শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন কোচ কিবু ভিকুনা। এছাড়া পাপা দিওয়ারা প্রায় সব ম্যাচেই প্রতিপক্ষের পাতা অফ সাইডের ফাঁদে পড়ছেন। কীভাবে তা এড়ানো যায় এদিন তারই পরামর্শ দেওয়া হল নবাগত স্ট্রাইকারটিকে।