অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
রানাঘাট হবিবপুরের সন্তান সনু কৈরী ভারতের সাইকেল পোলো খেলার একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়। একাধিকবার জাতীয় স্তরের খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি। বাংলার সাইকেল পোলো অ্যাসোসিয়েশন-এর হয়ে এর আগেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন হবিবপুর পঞ্চায়েত এলাকার বছর ৩০ এর এই যুবক। গত ১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে সারা ভারত থেকে আটজনের দল তৈরি করতে ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে বাছাই পর্ব চালিয়েছিল সাইকেল পোলো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার জন্য সাইকেল পোলো দল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় আটজনের দলে বাংলা থেকে সনু এবং ছত্রিশগড়ের একটি ছেলে সুযোগ পেয়েছেন। বাকি খেলোয়াড়রা সকলেই সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীদের মধ্যে চারজন স্থল সেনাবাহিনী এবং দু’জন বিমানবাহিনীর। এবছর বিশ্বকাপে যে বল দিয়ে খেলা হবে সেটা পাকিস্তানে তৈরি হয়েছে। এশিয়ার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে চলেছে।
সনু হবিবপুর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বাড়িতে বাবা, মা ছাড়া দুই দাদা রয়েছেন। তাছাড়া, তাঁর দুই বোন রয়েছেন। সকলেই বিবাহিত। সনুর ছেলেবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল। পাশাপাশি সাইকেল চালাতেও তিনি খুব ভালোবাসেন। তিনি ২০০৪ সালে এই খেলার সঙ্গে যুক্ত হন। হবিবপুরের ছাতিমতলা ময়দানে প্রথম অনুশীলন শুরু করেছিলেন। সনু বলেন, ওই সময় আমার সঙ্গে কলকাতার শুভেন্দু মল্লিকের পরিচয় হয়। তার আগে আমি এই খেলা সম্পর্কে জানতাম না। পরে তাঁর মাধ্যমে পুরো খবর জানতে পারি। সাইকেল ভালো চালাতে জানতাম। তাই সাইকেল পোলো খেলতে রাজি হয়ে যাই। সেই থেকেই সাইকেল পোলো খেলে আসছি। এই খেলা হর্স পোলার মতো একই নিয়মে হয়। এরপর ২০০৫ সালে প্রথম জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিই। কলকাতার মাঠে ওই খেলা হয়। তারপর ধীরে ধীরে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার সহ সমস্ত রাজ্যে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন সনু। বিশ্বকাপের জন্য এর আগেও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সুযোগ পাননি। তাই এবারের সুযোগ সোনু মোটেই হাতছাড়া করতে চান না। তিনি বলেন, আমি প্রথম দেশের হয় খেলার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার কাছে বড় পাওনা। দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে নিজেকে উজাড় করে দেব।