সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
কাজাকিস্তানের নুর সুলাতনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে মঙ্গলবার জাপানের মায়ু মুকাইদার কাছে হেরে সোনা জেতা হয়নি বিনেশ ফোগাটের। কিন্তু ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে হতাশ করেননি তিনি। কঠিনতম গ্রুপে থেকেও মেলে ধরেছেন সেরা পারফরম্যান্স। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে দ্বিতীয় রেপিচেজ রাউন্ডে তিনি হারিয়েছিলেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা সারা হিলডাব্রান্টকে। লড়াইয়ের শুরু থেকে প্রাধান্য বজায় রেখে বিনেশ জিতেছিলেন ৮-২ পয়েন্টের। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ব্রোঞ্জের ম্যাচেও দু’বারের পদকজয়ী মারিয়া প্রিভোলারাকিকে রেয়াত করেননি বিনেশ। লড়াইয়ের শুরুতেই ডাবল-লেগ অ্যাটাকে গ্রিসের কুস্তিগিরটিকে পরাস্ত করে এগিয়ে যান তিনি। এরপর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন প্রিভোলারাকি। কিন্তু বারবার বিনেশের ডান-পা টার্গেট করে আক্রমণ শানিয়েও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। বরং ফুরসত বুঝে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে একের পর এক পয়েন্ট ঝুলিতে ভরে নিয়েছেন ভারতীয় কুস্তিগীরটি। তাঁর দুরন্ত টেকনিক ও ডিফেন্সের সামনে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন প্রিভোলারাকি।
বিনেশই দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর যিনি কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন। এবার তাঁর ঝুলিতে উঠল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পদকও। মুকুটে নতুন পালক যোগ করার পাশাপাশি টোকিও ওলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করে দারুণ খুশি বিনেশ। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পদকের স্বাদ পেলাম আমি। এটা আমার কাছে দারুণ আনন্দের মুহূর্ত। দ্বিতীয় রেপিচেজ রাউন্ডে বিশ্বের এক নম্বর হিলডাব্রান্টকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসটা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। আর সেটা কাজে লাগিয়েই প্রিভোলারাকিকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতলাম। আনন্দটা আরও বেশি হচ্ছে এই সাফল্যের সুবাদে টোকিও ওলিম্পক্সের টিকিটও নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়।’ বিনেশ সেই সঙ্গে জানান, ‘আগে আমি ৫০ কেজি বিভাগে লড়তাম। কিন্তু নতুন নিয়মের কথা মাথায় রেখে এখন আমি ৫৩ কেজি বিভাগে অংশ নিচ্ছি। নতুন ওয়েট ক্যাটাগরিতে মাত্র ১০ মাসের অনুশীলনেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ব্রোঞ্জ জয় আমাকে দারুণ তৃপ্তি দিয়েছে।’
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে বোন বিনেশের সাফল্যে দারুণ খুশি তাঁর কুস্তিগীর দিদি ববিতা ফোগাট। বিনেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ববিতা বলেন, ‘একই সঙ্গে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ব্রোঞ্জ এবং ওলিম্পিক গেমসের ছাড়পত্র অর্জন করার জন্য বিনেশকে অনেক শুভেচ্ছা। আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে দেশকে সে আরও অনেক সাফল্য এনে দেবে।’