উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
আয়ুষ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া পশ্চিম সার্কেলের ১৩টি স্কুলকে এরজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। আয়ুষ বিভাগ থেকে স্কুলে স্কুলে গিয়ে বনৌষধি গাছ নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। বাড়ির আশেপাশের কোন গাছ থেকে কী কী উপকার পাওয়া যাবে তা তাদের বোঝানো হয়। এবার খুদে পড়ুয়াদের মধ্যে বাছাই পর্ব হয়। ১৩টি স্কুলের ২৬জন ছাত্র ও ২৬জন ছাত্রী মোট ৫২ জন আয়ুষ ক্লাসে বড়দের পাঠ দেওয়া শুরু করল। সোমবার কাটোয়া পুরসভার উত্তরণ হলে ছোটরা প্রোজেক্টারের মাধ্যমে এই পাঠ দেয়।
২৯ অক্টোবর আয়ুষ দিবস পালন হয়। আর তারপর ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আয়ুষের সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাটোয়াজুড়ে। ৭ নভেম্বর কাটোয়া শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের অজয়পল্লি এলাকায় আয়ুষের স্বাস্থ্যশিবির করা হয়। সেখানে ৬৭ জন বাসিন্দা চিকিৎসা করান। জেলা স্বাস্থ্য ও আয়ুষের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অধীনে এমন সচেতনতামূলক শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসক উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, আগে আমরা প্রাথমিক পড়ুয়াদের উপকারী গাছ সম্বন্ধে শিখিয়েছি। তারপর এবার খুদে পড়ুয়ারা আয়ুষ সম্পর্কে বড়দের শেখাল।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারও আয়ুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর আগে রাজ্যে ৩০টি আয়ুষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়ুষের মডেল আউটডোর পরিষেবা উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলাতে দু’টি আয়ুষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আউটডোর পরিষেবা চালু করা হয়। গ্রামীণস্তরে ব্লক এলাকাগুলিতেও আয়ুষের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। নতুন আয়ুষের মডেল আউটডোর পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে ১৬ লক্ষ টাকা করে খরচ করা হয়েছে। সেখানে থাকছে আউটডোর, ফার্মেসি, রোগীদের বসার জায়গা, টয়লেট, যোগা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের আয়ুর্বেদ বিভাগের চিকিৎসক আরও বলেন, আগের তুলনায় এখন আয়ুষ সেন্টারে রোগীদের ভিড় ভালোই বাড়ছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে যা কার্যকরী হচ্ছে তা এখন সবাই বুঝতে পারছেন। জটিল রোগের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ ভালোই সাড়া দেয়। বর্ধমান জেলায় আয়ুর্বেদ চর্চায় নাম রয়েছে।