সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, অম্রুত-১ ও ২ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। অম্রুত-২ প্রকল্পে পাইপলাইনের কাজ হচ্ছে। প্রকল্প শুরু হয়ে গেলে শহরে পানীয় জলের আর কোনও সমস্যা থাকবে না। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা শহরে ১৬টি ওয়ার্ডে ১১ হাজার হোল্ডিং নম্বর আছে। তারমধ্যে ৪ হাজার দুশো বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আর অম্রুত-২ প্রকল্পে আরও ৩ হাজারের বেশি বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অম্রুত-১ প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকায় ৩টি ওভারহেড পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানো হবে। তারমধ্যে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানো হবে। আর দ্বিতীয়টি বসানো হবে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃতীয় ট্যাঙ্কটি বসানো হবে ১ নম্বর ওয়ার্ডে। তাছাড়া আরও ৯টি সাবমার্সিবল হবে ওইসব ওভারহেড ট্যাঙ্কের সঙ্গে। গুসকরা শহরে ইতিমধ্যেই ৪টি ওভারহেড ট্যাঙ্ক এবং ১২টি সাবমার্সিবল রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চাপ বাড়ায় পাইপলাইনে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি জল কম আসছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে জল পড়ছেই না। তাই পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে আরও নতুন রিজার্ভার গড়া হবে। পাশাপাশি অম্রুত-২ প্রকল্পে আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকায় বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শহরে পানীয় জল নিয়ে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ ছিল। পুরনো পাইপ লাইন দিয়ে জল ঠিক মতো পড়ত না। এবার সেসব সমস্যার সমাধান ঘটবে।গুসকরা শহরের বুক চিরে কুনুর নদী চলে গিয়েছে। বর্ষায় শহরে জল জমে নাজেহাল অবস্থা হয় বাসিন্দাদের। শহরে পানীয় জল ঠিকমতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ছিল নাগরিকদের। শহরে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, নতুন নতুন আবাসন গড়ে উঠছে। বেড়েছে জলের চাহিদা। বলা হচ্ছে অম্রুত-১ ও ২ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে।