সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওই দলের সঙ্গে রয়েছেন পেশায় আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী। ২০১১ সালে পালাবদলের পর জেলাপরিষদের ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। সেবার তিনি সভাধিপতি হন। পাঁচ বছর দক্ষতার সঙ্গে জেলা পরিষদ চালিয়েছেন। ২০১৮ সালের জেলা পরিষদের বোর্ডেও অরূপবাবু মেন্টর হন। জেলা পরিষদের কাজকর্মে নজর রাখেন তিনি। গত নির্বাচনে বাঁকুড়া আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। হারানো আসন ফিরে পেতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ভূমিপুত্র অরূপ চক্রবর্তীকেই প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে শাসকদল। বিজেপির সুভাষ সরকারও মোদি মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তিনিও স্টেশনের উন্নয়ন সহ একগুচ্ছ প্রকল্পকে সম্বল করে প্রচার চালাচ্ছেন। তার সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুকেও সামনে রাখছেন। ফলে বাঁকুড়া আসনটি এবার রাজ্যে নজরকাড়া হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বাঁকুড়ায় ভোটযুদ্ধে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যদিও প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী।
বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, কেন্দ্র জলপ্রকল্পের জন্য টাকা পাঠালেও তৃণমূল সরকার তার সঠিক রূপায়ণ করেনি। প্রতিটি প্রকল্প থেকে কাটমানি নিয়েছে তৃণমূল নেতারা। কেন্দ্রের উদ্যোগে বাঁকুড়ায় অনেক কাজ করেছি। ফলে বাঁকুড়া আগের মতোই বিজেপির দখলে থাকবে।
সিপিএম প্রার্থী নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, তৃণমূল বিজেপি উভয় দলই বাঁকুড়ার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জল-সব কিছুতেই বাঁকুড়া পিছিয়ে আছে। তাই মানুষ বিকল্প হিসেবে আমাদেরই বেছে নেবেন।
তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ১০ বছরে বাঁকুড়ায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়েছে। সেচের জন্য বিভিন্ন জায়গায় চেক ড্যাম করা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। বাঁকুড়ার দীর্ঘদিনের জলসমস্যাও অনেকটা মিটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী নানা প্রকল্পের সুবিধাও পাচ্ছেন বাসিন্দারা। সভাধিপতি থাকার সুবাদে সারা জেলায় ঘুরেছি। প্রত্যেকটি গ্রাম আমার চেনা। মানুষের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।