সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
তৃণমূলের পাশাপাশি কালীগঞ্জে এদিন প্রচার করেন সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদি ও বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। কালীগঞ্জে তাঁদের প্রচার কর্মসূচি ছিল বিকেলের দিকে। গোবরা ও জুরানপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী। পালিতবেগিয়া ও রাজারামপুর ঘোরাইক্ষেত্র পঞ্চায়েতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগদেন সিপিএম প্রার্থী। যদিও হাতগাছা পঞ্চায়েত তৃণমূলের মহামিছিলের কাছে বিরোধীদের এই প্রচার কর্মসূচি ছিল অনেকটাই ফিকে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কালীগঞ্জ বিধানসভা রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের জয় পরাজয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা থেকে ৩৮ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিল তৃণমূল। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও কালীগঞ্জ বিধানসভাকে রেকর্ড লিড দিতে তৎপর ঘাসফুল শিবির। তবে তাদের ভাবাচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী ভোট কাটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে সিপিএম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিধানসভায় সিপিএম ভালো ফল করেছিল। হাতে গোনা কিছু পকেট এলাকা বাদ দিয়ে এই বিধানসভায় বিজেপির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এই বিধানসভায় বিজেপির ভোট বলতে রয়েছে গোবরা, ফরিদপুর, দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকায়। সেখানে নিজেদের ভোটব্যাঙ্কে ধস ঠেকানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ গেরুয়া শিবিরের।
ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, হাতগাছা থেকে গতবার ১০ হাজার লিড পেয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই লিডকেও ছাপিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে। বিজেপি-সিপিএমের এখানে কোনও জায়গা নেই।
কালীগঞ্জের সিপিএম নেতা দেবাশিস আচার্য বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মানুষজন তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ। তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি তারা দেখছে। এবার তারা সিপিএমকে ভোট দেবে।