সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
নদীয়া জেলা বাস পরিবহণ ইউনিয়নের সম্পাদক সুজিত সরকার বলেন, নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের ১১০টি বাস প্রতিদিন চলত। এখন ৮০টা চলছে। আর সোমবার তো ৭০টা বাসও চলেনি। কেননা একদম যাত্রী নেই। বাসের ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, হেল্পাররা অনেকেই বসে আছেন। নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে কালনা, কাটোয়া, বর্ধমান, আসানসোল, তারকেশ্বর, বাঁকুড়া, তারাপীঠ, রায়গঞ্জ বালুরঘাট, শিলিগুড়ি, কোচবিহার প্রভৃতি রুটে বাস চলাচল করে। কিন্তু দাবদাহে সকাল-সন্ধ্যায় কিছু যাত্রীর দেখা মিললেও বেলা ১০টার পর থেকে যাত্রীর দেখা নেই বললেই চলে। ফলে তেল খরচ, বাসকর্মীদের বেতন উঠছে না। সেজন্য প্রতিদিনই সকালের দিকে দু’একবার যাতায়াত করলেও বেলা বাড়তেই বাস চলছে না।
বর্ধমান-নবদ্বীপ রুটের বাস কন্ডাক্টর মহম্মদ মহসিন বলেন, সারাদিনে এই রুটে আপ ও ডাউনে তিনবার যাতায়াত করি। বাজার খুব খারাপ। রাস্তায় একদম লোকজন নেই। প্রায়দিনই লসে চলতে হচ্ছে। তিনবার আপ ও ডাউনে ৫২০০ টাকার তেল লাগে। কিন্তু কোনও কোনও দিন সেই তেলের খরচও উঠছে না। এই ব্যবসা ফিন্যান্সে চলে বলে এখনও চলছে। যদি নগদ লেনদেন করতে হতো, তাহলে অনেক আগেই মালিকরা ব্যবসা বন্ধ করে দিতেন।
বাসমালিক মনোজিৎ বসাক বলেন, নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে আমার দু’টো গাড়ি চলাচল করে। একটা নবদ্বীপ-কালনা। অপরটি নবদ্বীপ-বর্ধমান রুটের বাস। নবদ্বীপ-কালনা রুটের বাসটি সাধারণত প্রতিদিন ছ’বার যাতায়াত করে। কিন্তু এদিন সকালের দিকে দু’বার চালানোর পর বাধ্য হয়ে বাস বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ১৫দিন ধরে তেলের পয়সা উঠছে না। প্রতিটি বাসের জন্য ট্যাক্স, ইন্সুরেন্স প্রভৃতির টাকা গুনতে হয়। উপায় না দেখে বাসের চালক ও খালাসিকে এখন কিছু কম দিচ্ছি।
নবদ্বীপ-বর্ধমান রুটের বাসচালক মহম্মদ সহর আলি শেখ বলেন, রাস্তায় কোনও যাত্রী নেই। আমাদের বেতন তো দূরের কথা, তেলের টাকা উঠছে না। বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। বাসকর্মীদের পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে মুটে-মজুররাও সমস্যায় পড়েছেন।