Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। একটা শেষ হলে আর একটা। বাড়িতে টাকা পাঠিয়েও হাতে কিছুটা থাকে। ১০০ দিনের কাজ যতদিন পুরোদমে চলছিল, বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি আতাউরের। কিন্তু গত দেড় বছর সেটাও বন্ধ। মোদি নাকি বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই কাজের কিছু টাকা পেতেন আতাউর। অনেকদিন আটকে থাকার পর হঠাৎ অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। শুনেছেন মমতাদিদি দিয়েছেন। ওই টাকা দিয়েই বাড়ির জন্য জামা-কাপড় কিনে ডোমকলের বাড়িতে ফিরেছেন। ঈদের ছুটিতে। ভেবেছিলেন পরব মিটলেই ফিরে যাবেন। কিন্তু যাননি। পার্টিই বলল থেকে যেতে। এই ক’দিনের জন্য কিছু টাকা দিয়ে দেবে। বাড়িতে বসে যদি খানিক রোজগার আর খাই-খরচা নিশ্চিত হয়ে যায়, মন্দ কী! আতাউর তাই ঠিক করেছেন, ভোটটা দিয়েই ফিরবেন। আর তো মাত্র কটা দিন। তবে শুধু আতাউর নন, বহু পরিযায়ী শ্রমিক এখন বসে আছেন ভোটেরই অপেক্ষায়। 
ডোমকল পড়ছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। তবে শুধু এই একটি আসন নয়, তৃতীয় দফায় রাজ্যের যে চারটি কেন্দ্রে ভোট... তার প্রত্যেকটিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা একটা বড় ফ্যাক্টর। রাজ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদ, মালদহেই সিংহভাগ। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা তো রয়েইছে। কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ জোগাড়ের কাজ করেন, কেউ জরিশিল্পী, কেউ গয়না, আবার কেউ আসবাব। ভোট এলেই এই শ্রেণিকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা বেড়ে যায়। তার উপর এবার মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণে ভোট একইসঙ্গে। প্রত্যেকটি দলই জানে, এই অংশটা একটা কেন্দ্রের ফলাফলের মেরু বদলে দিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যের খাতায় নথিভুক্ত। সংখ্যাটা আসলে আরও বেশি। যেমন মুর্শিদাবাদেই সাড়ে ছ’লক্ষ এমন শ্রমিক খাতায়-কলমে রয়েছেন। নথিভুক্তির অপেক্ষায় আছেন আরও আড়াই লক্ষ। বেশিরভাগ সংখ্যালঘু এবং এই ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের তুরুপের তাস। তবে এই বাগানে কাঁটা কি নেই? সেও আছে। বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো পরিযায়ী প্রার্থী। প্রতি ভোটেই প্রায় কেন্দ্র বদল করেন তিনি। গতবার রায়গঞ্জে ছিলেন। এবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন বেশ অঙ্ক কষে। গত লোকসভা নির্বাচনে আবু তাহের খান এখানে জিতেছিলেন ২ লক্ষ ২৬ হাজার ভোটে। দ্বিতীয় ছিল কংগ্রেস, তৃতীয় স্থানে বিজেপি, আর চতুর্থ সিপিএম। সেলিম সাহেব অঙ্ক কষেছেন, কংগ্রেস ও সিপিএমের ভোট এক করতে পারলে অসুস্থ আবু তাহেরকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব। তার উপর যদি সংখ্যালঘু ভোট একটু বেশি টানা যায়, কেল্লাফতে। তবে প্রশ্ন হল, এতকিছুর পরও কি ২ লক্ষ ২৬ হাজারের মার্জিন টপকে যাওয়া সম্ভব? আবু তাহের সাহেবের কিন্তু এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। আর আছে তৃণমূল সরকারের পরিষেবা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বার্ধক্যভাতা, পরিযায়ীদের জন্য পরিষেবা... সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন। বেশ কিছু বাম-কংগ্রেস জোটের পঞ্চায়েত, রাজ্য সম্পাদকের জন্য গোটা সিপিএমের ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো ফ্যাক্টর তৃণমূলকে বেগ দেবে ঠিকই, কিন্তু তাতেও বিরোধীদের সেফ সিট হয়ে যাবে না মুর্শিদাবাদ। বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষকে তিন নম্বরে রেখে রাজনীতির কারবারিরা এখন থেকেই হিসেব শুরু করেছেন। কেন তাঁদের কাছে এখনও পাল্লা ভারী তৃণমূলের? মোক্ষম একটা কারণ রয়েছে—এককালে সিপিএমের হাতে মার খাওয়া কংগ্রেস কর্মীরা সেলিম সাহেবকে ঢেলে ভোট দেবেন তো? আর এই সংশয় বাম-কংগ্রেস জোটের অন্দরেই। এখন পর্যন্ত যা ছবি, তাতে রানিনগর ও ডোমকল কেন্দ্রে সিপিএম ভোট টানতে পারে। হাওয়া বলছে, একুশের ভোটের তুলনায় রানিনগরে তৃণমূলের লিড কমবে অনেকটা। বরং মমতা বাহিনীকে ডিভিডেন্ড দেবে মুর্শিদাবাদ, ভগবানগোলা, করিমপুর। জলঙ্গি এলাকা এখনও ৫০/৫০ রয়েছে। তবে নিয়ামত শেখ যেভাবে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন, হরিহরপাড়ায় তৃণমূলের লিড হিংসে করার মতো হতেই পারে। 
পাশের কেন্দ্র জঙ্গিপুরেও কিন্তু ঈর্ষণীয় অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের। তিনি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলেন, বিপদে-আপদে এলাকার মানুষ তাঁকে পাশে পায়, আর হাতেগোনা কয়েকজন নেতা কাঁকড়ার চরিত্র ধার করে পিছন থেকে তাঁকে টানার চেষ্টা করলেও তিনি পাত্তা দেন না। সোজা কথায় জঙ্গিপুরের জেলা সাংগঠনিক সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকেন খলিলুর সাহেব। বিরল ঘটনা এবং এটাই তাঁর শক্তি। আরও একটি কারণে তাঁর পায়ের নীচের মাটি শক্ত। তিনি প্রথম সারির বিড়ি ব্যবসায়ী। হাজার হাজার মানুষ তাঁর ব্যবসায় জড়িয়ে আছেন। খলিলুর সাহেবের ঝুলিতে যে তাঁদের ভোট যাবেই, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। একই ব্যবসায় প্রভাবশালী নেতা অবশ্য জঙ্গিপুরের আরও একজন আছেন—জাকির হোসেন। খলিলুর রহমানকে প্রার্থী করায় প্রথমদিকে তাঁর ক্ষোভ খানিকটা প্রকাশ্যেই এসে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের হস্তক্ষেপের পর তাতে কিছুটা বালি পড়েছে। তবে তাঁর ‘টিম’ কতটা আন্তরিকভাবে কাজ করছে, সেটা বোঝা যাবে জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকার ভোটবাক্স খুললে। জাকির হোসেন পাশে থাকলে এই এলাকায় তৃণমূলের লিড পাওয়া নিশ্চিত। এছাড়া লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, খড়গ্রামেও অ্যাডভান্টেজ রয়েছে খলিলুর সাহেবের। দাঁড়িপাল্লায় সমানে সমানে রয়েছে বরং নবগ্রাম। এখানে ৮ শতাংশ আদিবাসী ভোট। সংখ্যার হিসেবে ১৬ হাজার। এই অংশটাই নবগ্রামে তৃণমূলের লিড নেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। আর থাকল সাগরদিঘি। বায়রন বিশ্বাস কংগ্রেসের টিকিটে জেতার পর তৃণমূলে চলে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে খানিক বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। এই বাধা কাটানোটা আপাতত একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে রাজ্যের শাসক দল মোটেও টেনশনে নেই। খলিলুর সাহেব জানেন, বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ নিজেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। কোন্দল তাঁর দলেও আছে, তবে তা ধামাচাপা। সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা শাহজাহান আইএসএফের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে ইমানি বিশ্বাস নিজে খলিলুর রহমানের প্রচারে থাকলেও মন পড়ে রয়েছে দাদার কাছে। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে আবদুস সাত্তারের নাতি মর্তুজা হোসেনকে প্রার্থী করলেও দিনের শেষে মারাত্মক কিছু করার আশা নিজেরাও দেখাচ্ছে না। কাজেই বহু চেষ্টা করেও এই কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে বেশি এগিয়ে কোনও দলকেই রাখা যাচ্ছে না।
তবে মালদহে এখনও গণি পরিবারকে সামনে রেখেই মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। লক্ষ্য একটাই, কোতোয়ালি আবেগ কাজে লাগিয়ে যদি কিছু করা যায়। প্রশ্ন এখানেও আছে। দক্ষিণ মালদহে ডালুবাবুর ছেলে ইশা খান শুধুই তৃণমূলের ভোট কাটবেন? না নিজেও জেতার মতো অবস্থায় পৌঁছে যাবেন? এ ব্যাপারে প্রদেশ পার্টিও নিশ্চিত নয়। তবে ইশা খান অবশ্যই তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে চিন্তায় রেখেছেন। এমনিতেই এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রভাবিত এলাকার ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বিজেপির ঝুলিতে ঢুকে পড়েছে। বাকি যা থাকছে, তা যদি বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর ভাগ্যে থাকে, তাহলে দু’টি বিধানসভা আসনে অন্তত ঘাটতি থাকবে। বিশেষ করে মালদহ শহর এলাকা। সব মিলিয়ে ইংলিশবাজার, মোথাবাড়ি ও বৈষ্ণবনগরে ঘাটতি যে আছে, তা এলাকার নেতারাও ঠারেঠোরে স্বীকার করছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী এখানে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনি ইংলিশবাজারের সিটিং এমএলএ। মাঝে মাঝে বেশ কয়েকদিনের জন্য তাঁকে দেখা যায় না, এলাকায় নিরুদ্দেশ পোস্টারও পড়ে। তারপরও ইমেজ তাঁর খারাপ নয়। বিজেপির অন্দরে একাংশের তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলেও শ্রীরূপাদেবী আপাতত ইশা খানের দিকে তাকিয়েই আশায় বুক বাঁধছেন। ভোট কাটাকাটির ঠেলায় তিনি যদি এগিয়ে যান।
আর আছেন মৌসম বেনজির নুর। আশা করেছিলেন, উত্তর মালদহে তিনি টিকিট পাবেন। হয়নি। ফলে কিছুটা অভিমান তাঁর হয়েছিল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নরমে-গরমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দল আগে। মালদহের দু’টি কেন্দ্রের জন্যই তাঁর কাছে এই বার্তা স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের জন্যও একই নীতি নিশ্চিত করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব—দলের ঠিক করা প্রার্থীর প্রচারে গাফিলতি দেখতে পেলে বিধানসভা ভোট হোক বা পঞ্চায়েত, কোনও টিকিট মিলবে না। 
এই একই সমীকরণ অবশ্য নেত্রী উত্তর মালদহেও বজায় রেখেছেন। জেলায় দলের শীর্ষ থেকে নিচুতলা, সর্বত্র বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, প্রার্থীর দিক থেকে যেন কোনও অভিযোগ কানে না আসে। তাহলে কড়া ব্যবস্থা। মানেটা পরিষ্কার—নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব যাই থাকুক না কেন, সিন্দুকে তুলে রেখে একজোট হয়ে ময়দানে নামতে হবে। জেতাতে হবে। উত্তর মালদহে আরও বেশি করে। কারণ, এই একটি আসন নিয়ে সর্বত্র চর্চা চরমে। সবারই কৌতূহল—কী হয়? বিজেপির আসন। কিন্তু আচমকাই হাওয়া উল্টোদিকে বইতে শুরু করেছে। এখানকার প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পোড়খাওয়া পুলিসকর্তা, অনেক ঘাটের জল খাওয়া রাজনীতির কারবারি নন। আর উল্টোদিকে সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা আদিবাসী নেতা খগেন মুর্মু। তবে গেরুয়া শিবিরে তাঁর একটা টার্ম সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। অঙ্কটা তিনিও বোঝেন। জানেন যে, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা এলাকাকে হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই তিনি পুলিস ও প্রশাসনের ঘুঁটি সাজিয়েই আসরে নেমেছেন। সেক্ষেত্রে খগেন মুর্মুর ভরসা, উনিশে তৈরি হওয়া বিজেপির ছোটখাটো ভোটব্যাঙ্ক, বামেদের ভোট এবং আদিবাসীরা। এই কেন্দ্রের হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও রতুয়ায় সংখ্যালঘু ভোটের প্রাধান্য। তৃণমূল নেতারা আশাবাদী, এখানে অন্তত বিজেপি ট্যাঁফোঁ করতে পারবে না। কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম। এই তিনটি বিধানসভা এলাকায় তিনি নিশ্চিতভাবে ভোট কাটবেন। তবে তা নির্ণায়ক হবে না। সেটা হয়ে উঠতে পারে আদিবাসী ভোট। আর তাই আদিবাসী এলাকা হবিবপুর ও গাজোলেই শেষ বাজি মারতে চাইছেন খগেন মুর্মু। বারবার তাঁদের এলাকায় যাচ্ছেন, পাঁচ সাতজন মাথা বা মোড়লদের নিয়ে ‘উঠোন বৈঠক’ করছেন, আর সঙ্গে প্রচার... ‘এক দলের ব্রাহ্মণ প্রার্থী, আর এক দলের মুসলমান। আপনাদের কথা বলবে কে? আমি বলব।’ খগেন জানেন, তৃণমূল এবার উত্তর মালদহে কিছুটা অ্যাডভান্টেজে থাকলেও টক্কর তিনি দিতে পারবেন। সত্যিই কি তাই? আসলে মালদহ এমন এক জেলা, যেখানে সংখ্যালঘু, আদিবাসী ভোট তো আছে, একইসঙ্গে রয়েছেন তিন লক্ষ মতুয়া ভোটারও। ‘খুড়োর কল’ নাগরিকত্ব নিয়ে যা টালবাহানা শুরু হয়েছে, তাতে এখানকার মতুয়া ভোট নিয়ে গেরুয়া শিবির খুব একটা আশাবাদী হয়ে উঠতে পারছে না। তার উপর মমতাবালা ঠাকুরকে এনে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। মোদির মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে কিন্তু একবারের জন্যও এখানে দেখা যায়নি। তাই এই ভোটব্যাঙ্ক ঘিরেও আশার আলো দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
তৃতীয় দফার ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। প্রথম দু’দফার সঙ্গে এবারের ফারাক কোথায়? প্রথমত, মোদির গ্যারান্টি আর শোনা যাচ্ছে না। আর দ্বিতীয়, ৪০০ পারের দাবিও নিরুদ্দেশ। এই দফার আগে বরং চেনা ছকের বিদ্বেষ ভাষণ ফিরে এসেছে। উন্নয়ন বা অর্থনীতির ব্যাপারে গেরুয়া শিবির খানিক নড়বড়ে হতে পারে, ভোটের গুরুত্ব তারা বিলক্ষণ জানে। তারা বোঝে, শুধু প্রার্থীর মুখ দেখে ভোট হয় না। তার জন্য লাগে ইস্যু, সংগঠন। বাংলায় আরএসএস যে কেন্দ্রগুলিতে পেনিট্রেট করেছে, ঠিক সেখানেই বিজেপির সংগঠনকে মজবুত দেখাচ্ছে। আর অন্যত্র? ঘোর সন্দেহ। গেরুয়া শিবিরের তথাকথিত ‘শক্ত ঘাঁটি’তে ভোট শেষ হয়ে যাবে এই দফায়। অঙ্ক কষা চলছে, কী পেলাম-কী হারালাম। তৃণমূল কিন্তু তাল ঠুকছে। তারা আত্মবিশ্বাসী, গত লোকসভা ভোটের মতো ফল উত্তরবঙ্গজুড়েই আর হবে না। এই ভাবনার নেপথ্য-জোর কী? ইস্যু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, বিজেপির ইস্যু সেই ধর্ম। আর তাঁর? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। 
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
একনজরে
‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...

 নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তার প্রায় দেড় মাস পর দেখা যাচ্ছে, প্রচার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যার নিরিখে যাদবপুর লোকসভা অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM