Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? কিংবা ডুমুরের ফুল হয়ে হারিয়ে যাওয়া সরকারি চাকরির রোডম্যাপ। আটকে রয়েছে আবাসের টাকা, জিএসটি’র ক্ষতিপূরণ, ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিয়ে আইন প্রণয়ন। এখানেও না থেমে বিজেপির পক্ষ থেকে জিতে এলে তিনমাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হমকি দেওয়া হয়েছে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে। কোনও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন নেতা ‘খুলে আম’ একথা বলতে পারেন নির্বাচনী আবহে। এ তো বাংলার নারীশক্তির বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ঘোষণার প্রস্তুতি। তাহলে কোন বিকশিত ভারতের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল? ইস্তাহার জুড়ে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করা হয়নি। নেই মানুষের বাস্তব সঙ্কট সমাধানের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি। আরও ২৩ বছর পেরিয়ে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হবে। তখন যাঁরা বেঁচে থাকবেন তাঁরা লাস্ট ল্যাপ দৌড়ে এসে কী পাবেন? তার কোনও লেখাজোখা নেই চিত্রগুপ্তের ৭৬ পৃষ্ঠার খাতাতেও, মায় গালভরা ইস্তাহারে!
অথচ মানুষের কথা, সাধারণের আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন ফেরি করেই চোদ্দো সালে মোদিজির ক্ষমতা দখল নিঃসন্দেহে ছিল ঐতিহাসিক ঘটনা। ‘বহুত হুয়ি মেহেঙ্গাই কা মার, অব কি বার মোদি সরকার’, এই স্লোগানে ভর করেই ক্ষমতায় এসেছিলেন। এক দশকের ইউপিএ শাসনকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলই ছিল সেদিনের স্বপ্ন। এককভাবে ৩০০ নয়, ৪০০ নয়, আড়াইশোও নয়, এজেন্সি ছুটিয়ে বিরোধীদের গোড়া থেকে নিকেশও নয়, যেকোনও মূল্যে কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এনডিএ’র ছাতার তলায় থেকে ২৭২ আসনের গরিষ্ঠতা অর্জনই ছিল টার্গেট। এককভাবে বিজেপি নয়, এনডিএ’র আড়াল থেকেই লড়াই করেছিল প্রায় দু’ডজন শরিক। শিবসেনা, অকালি, তেলুগু দেশম, আপনা দল...। আজ তারা আলাদা আলাদা দ্বীপ। বিজেপির ইস্তাহারেও আজকের মতো শুধু একজনের ছবি আর তাঁর অতুল গৌরবগাথা নয়, শোভা পেয়েছিল পরপর ১১ জনের ছবি। বাজপেয়ি থেকে মুরলীমনোহর যোশি। রাজনাথ থেকে আদবানিজি। তখন রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৫০০ টাকার সামান্য বেশি। পেট্রলও আজকের মতো অগ্নিমূল্য ছিল না। তারপর অবশ্য গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সাল থেকেই দল, সরকার ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অভিমুখ একজনই। সম্মিলিতভাবে দল নয়, দলের আদর্শ ও দর্শন নয়, নীতিনিষ্ঠ নির্মম আরএসএসও নয়, আজ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে শুধুই একজন ব্যক্তি। গৌরবে বহুবচন হয় শুনেছি, কিন্তু ভারতীয় রাজনীতি এই মুহূর্তে ৫৬ ইঞ্চির আস্ফালনে প্রকৃত অর্থেই একবচনের ঘেরাটোপে অসহায়ভাবে বন্দি। তিনিই বুক ফুলিয়ে ৪০০ আসনের কথা বলছেন বারবার। এবং সেই ‘জুমলা’কে বাস্তবায়িত করতে হরেক কিসিমের বায়বীয় গ্যারান্টি ফেরি করে চলেছেন রাতদিন। এনডিএ অনেক দিনই ইতিহাসের গর্ভে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক এই নয়া বিজেপির দলগত উপস্থিতিও আজ ম্লান, ব্যাকফুটে নাগপুরও। পরতে পরতে স্লোগান বদলে কোথাও আর ‘আচ্ছে দিনে’র কথা নেই। নগদ ১৫ লাখ, বছরে দু’কোটি চাকরিও বিস্মৃতির অতলে। সাধারণের চাওয়া পাওয়ার হিসেব নেই। নেই মেহেঙ্গাই, বেরোজগারি দূর করার সংকল্প কিংবা অগ্নিগর্ভ মণিপুরের জন্য শান্তির ললিতবাণী। যুবসমাজকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দিকনির্দেশ। দ্বিগুণ আয়ের কৃষক স্বপ্ন, বঞ্চিত শ্রমিক, পরিযায়ী, খেটে খাওয়া দিনমজুর সহ দেশের প্রান্তিক মানুষের অসহনীয় জীবনযাপনের বারোমাস্যাও অদ্ভুতভাবে অনুপস্থিত। সংকল্প পত্র নামক ৭৬ পৃষ্ঠার আনাচে-কানাচে শুধুই সরকার, থুড়ি ব্যক্তি সাফল্যের খতিয়ান আর গালভরা প্রতিশ্রুতির বন্যা। সঙ্গে দেশে বিদেশে এক ব্যক্তির দৃপ্ত পদচারণার হিসেব নিকেশ। চীন, রাশিয়া দুই বৃহৎ শক্তির সঙ্গেই দূরত্ব বাড়লেও বিদেশনীতির সাফল্যগাথায় কোথাও ছেদ নেই। ইস্তাহারে তাঁর ছবিই শোভা পাচ্ছে ৫০টার মতো। আর চতুর্দিকে ঘুরপাক খাওয়া এক অদৃশ্য হাওয়া যা ফিসফিস করে কানে কানে বলে চলেছে, এমনটা আগে কেউ করেনি, কেউ করতেও পারবে না! নেহরু থেকে ইন্দিরা, মোরারজি থেকে বাজপেয়ি, দেশের ৭৫ বছর পেরিয়ে গণতন্ত্রের জয়যাত্রার কাণ্ডারীরা সব ভ্যানিশ! শুধু একটা দমকা  হাওয়াকে সুচতুরভাবে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে দেওয়া। এর নামই কি আদর্শ অমৃতকাল!
প্রমিস, অ্যাকশন, ডেলিভারি। প্রতিশ্রুতি, পদক্ষেপ এবং কার্যক্ষেত্রে তার সুফল রূপায়ণ ও সুষ্ঠভাবে সাধারণ মানুষকে প্রদান। এদেশে এটাই সুষ্ঠুভাবে সরকার চালানোর চাবিকাঠি। শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দল, যাকে সকাল সন্ধে তোপ না দেগে অমিত শাহদের ভাত হজম হয় না, তার ইস্তাহারেও বেকার যুবকদের বছরে লাখ টাকার অ্যাপ্রেন্টিসশিপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৩০ লাখ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলও সীমিত ক্ষমতায় দেশজুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালুর শপথ নিয়েছে। মানুষের কল্যাণে দশদফা দিদির শপথের অঙ্গীকার করেছে। তাতে মাথার উপর পাকা ছাদ, দু’হাতে কাজের কথা যেমন বলা হয়েছে তেমনি সিএএ, এনআরসি করতে না দেওয়ার শপথ। অথচ বিজেপির ইস্তাহারে গরিবদের জন্য সংস্থান শূন্য। ৪৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেকারত্ব। পেট্রল ডিজেল রান্নার গ্যাস ভোটের মুখে সামান্য কমলেও তা গোদের উপর বিষফোঁড়াই। সুরাহা তেমন মেলেনি। বরং গেরুয়া শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে বিপুল উদ্যমে পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা চেপে বসছে। কারণ ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধ নতুন করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
কিন্তু যে দল সকাল বিকেল অলীক ৪০০ আসন জেতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে তার ইস্তাহারে মানুষ কতটুকু, আর কতটুকুই বা সরকার, দল, দলের আদর্শ? নাকি সবছেড়ে একজন ব্যক্তি ও তার কৃতকর্মের চর্বিত চর্বন! স্বপ্ন ফানুসের ফেরি, জনগণের হাতে পেন্সিল। দশ বছর আগে মেহেঙ্গাই, বেকারত্ব, নিরপেক্ষ সুশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করে ক্ষমতা দখলের মুহূর্তে এজেন্সি হাতে ছিল না। সিবিআই, ইডি বশ মানা পোষ্যের মতো ওম গায়ে মেখে দরজায় লেজ নাড়ত না। তবু টু-জি, কয়লা ব্লক বণ্টন সহ একটার পর একটা স্ক্যাম নিয়ে দেশ উত্তাল করেছিলেন অমিত শাহরা। আর আজ স্বাধীনতা উত্তর ভারতের সর্ববৃহৎ নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা বলতে উঠলেই তাদের মুখ বন্ধ করার শত আয়োজন। অথচ যে সংস্থা লোকসানে চলছে, ঘটিবাটি বিক্রি হওয়ার জোগাড় সেও কেন একটি বিশেষ দলকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দেবে কিংবা টাকা দিয়ে সরকারি বরাত হাসিল করবে, সেই রহস্যের কিনারা করতে কারও মন চায় না। শুধু মন ব্যাকুল বিরোধীদের পিছনে ইডি লাগিয়ে প্রতিবাদী মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে দিতে। দু’-দুটো মুখ্যমন্ত্রী জেলে। চাকরির হদিশ নেই, অথচ দশ লক্ষ শূন্যপদ ফাঁকা বছরের পর বছর। ওদিকে নজর নেই। অথচ ইতিমধ্যেই জিতে এসে ১০০ দিনের রোড ম্যাপ তৈরির যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তাতে বিরোধীদের উপর এজেন্সির আঘাত যে আরও তীব্র আকার নেবে তা নিশ্চিত। কিন্তু তাতে কি ওষুধের দাম কমবে, পেট্রল সহজলভ্য হবে? বেকার ছেলেমেয়েরা নিজেদের অধিকারে চাকরি পাবে? প্রবীণ নাগরিকদের ব্যাঙ্কের সুদে, পেনশনে কোনও সুরাহা হবে?
পরিবারবাদকে খতম করাই যার একমাত্র লক্ষ্য বললেও অত্যুক্তি হবে না, তিনিই কখন ব্যক্তিসর্বস্ব এক খাঁচায় বন্দি হয়ে গিয়েছেন। তিনি শুধুই ক্ষমতায় আসার কথা বলেন, অথচ মানুষের দুর্দশা মোচনের ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না। ৪০০ না হোক ২২৫ কিংবা তার কম পেয়েও যদি নানা ছলছুতোয় ক্ষমতায় আসেন সেক্ষেত্রে আদবানি-বাজপেয়ির বিজেপি অচিরেই ব্যক্তিতন্ত্রের পূজারি হয়ে উঠবে। এ ন্যারেটিভে কোথাও বিন্দুমাত্র খেদ নেই। ৪৪ বছর আগে তৈরি বিজেপি’র এটাই মর্মান্তিক পরিণতি। আর তা করতে গিয়েই সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে নয়া বিজেপি। পেটে ভাত না থাকলে আর হাতে কাজ বাড়ন্ত হলে চোখ ধাঁধানো হিন্দুরাষ্ট্র, চকমেলান হাজার কোটির মন্দির, সিএএ, এনআরসি, তিন তালাকের তাৎপর্য কী? অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দিয়েই বা কী হবে? পেট ভরবে তো? সবই তো আসলে বিভাজনেরই তাস মাত্র। ধর্ম যদি দেশের একমাত্র চালিকাশক্তি হয় তাহলে তার পরিণাম ভালো হতে পারে না। স্বামী বিবেকানন্দও তাই বলেছিলেন, গীতাপাঠের চেয়ে শরীর চর্চা অনেক বেশি জরুরি। অনেক বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ফুটবল খেলায়।
এই নির্বাচনে জনতা কার গলায় বরমাল্য পরাবে আমরা জানি না। কোন দল কটা আসন পাবে তাও অনিশ্চিত। কিন্তু যে মহল ইতিমধ্যেই এদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে সক্রিয় তা হচ্ছে, ‘মোদিজি কা আনা তয়ার হ্যায়’। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এসব অলঙ্করণ মাত্র। এই নির্বাচন গরিবের নয়, বেকারের নয়, মূল্যবৃদ্ধিতে, প্যানডেমিকে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া দেশবাসীরও নয়, শুধু মোদিজি ফিরবেন কি ফিরবেন না। ফিরলে কোথায় থামবেন, সেই উত্তরের দিকে তাকিয়ে। যদি সব হিসেব উল্টে তাঁর প্রত্যাবর্তন থমকে যায়, সেক্ষেত্রে তা হবে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় অঘটন। তখন ২০৪৭ সালের বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য অপেক্ষা করবে কে? ইতিহাসেরও আগে কখনও ছুটতে নেই, ইতিহাস রচনার কুশীলবকে...। সেক্ষেত্রে ইতিহাসের নীচেই হারিয়ে যাওয়াই অনিবার্য পরিণতি। বলবান সময়ই শেষ কথা বলে এসেছে আজ পর্যন্ত। 
আর কে না জানে সর্বশক্তিমান হিটলারকেও কিন্তু বাধ্য হয়ে আত্মহত্যাই করতে হয়েছিল বাঙ্কারের মধ্যে। ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫। মাত্র ৭৯ বছর আগের কথা।
21st  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
একনজরে
জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

 নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা আসনের প্রার্থীদের প্রচার শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। তার প্রায় দেড় মাস পর দেখা যাচ্ছে, প্রচার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির সংখ্যার নিরিখে যাদবপুর লোকসভা অন্য কেন্দ্রগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM