Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এতে রাজনৈতিক পরিসরটা অনেক সমৃদ্ধ হবে। এটাকেই, বিগত সপ্তাহের সেরা উদারতার নিদর্শন হিসেবে আমি ব্যাখ্যা করতে চাই।
হঠাৎ এমন উদারতা প্রদর্শনের নেপথ্যে রয়েছে একটি চমকপ্রদ কাহিনি। ১৪ এপ্রিল, বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের দিন থেকে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সাদাসিধে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিটির তৈরি করা এই নথি পেয়ে মোদিজি মোটেই খুশি হননি। কমিটি নীরবে মেনে নিয়েছে যে, এটা কোনও রাজনৈতিক দলের ইস্তাহার নয়, বরং একজন প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিজ্ঞাপন, যিনি দলের ভিতরটাকে মজবুত করে গড়ে দিয়েছেন। নথিটাকে ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নাম দিয়ে কমিটি বস্তুত প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা করেছে এবং সেটা তাঁর প্রাপ্যও বটে। যাই হোক, মোদিজি যেমন সঠিকভাবেই অনুমান করেছিলেন, ঠিক তেমনই ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ শীর্ষক এই নথি বাজারে ছাড়ার ঘণ্টাকয়েকের মধ্যেই হাওয়া হয়ে গিয়েছে, কোথাও তার চিহ্নমাত্র নেই! আজকে আর কেউই বিজেপির ইস্তাহার নিয়ে কথা বলছেন না, দুর্ভাগ্য এমনই যে, এমনকী মোদিজিও নন। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র গতি হয়েছে শান্তিপূর্ণ বিশ্রাম।
মূল মন্তব্য
‘মোদি কি গ্যারান্টি’কে নরেন্দ্র মোদি একদিকে আবর্জনার ঝুড়িতে নিক্ষেপ করতে পারেননি, অন্যদিকে দায়ীও করতে পারেননি এই নথির খসড়া কমিটির অযোগ্যতা কিংবা তাদের গোপন উদ্দেশ্যকে। কংগ্রেসের বাক্সবন্দি ইস্তাহারের গ্রহণযোগ্যতা মোদিজি একাই বাড়িয়ে দিয়েছেন, নথিটার উপর তাঁর ভাষ্য যোগ করে। তাঁর এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ফলে বহু মানুষ কংগ্রেসের ইস্তাহারটা দেখেছেন এবং পড়ে ফেলেছেন। এটাই ভারতীয় সাহিত্যের মহান ঐতিহ্যের সঙ্গে একটা মানানসই ব্যাপার, যেখানে তার ব্যাখ্যা বা ভাষ্যগুলি মূল রচনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে বা হয়ে উঠেছে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।
কংগ্রেসের ইস্তাহারে মোদিজির মুখে যোগ হয়েছে নীচে বর্ণিত ‘রত্নগুলি’:
• জনগণের জমি, সোনাদানা এবং অন্যান্য দামী জিনিসপত্র মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বণ্টন করে দেবে।
• ব্যক্তি নাগিকদের সম্পত্তি, মহিলাদের হেফাজতের সোনাদানা এবং জনজাতির পরিবারের মালিকানায় যেসব রুপো সঞ্চিত রয়েছে, তার মূল্য নির্ধারণের জন্য কংগ্রেস একটা সমীক্ষা করাবে। অতঃপর তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে সেগুলো।
• সরকারি কর্মীদের জমি এবং নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করার পর কংগ্রেস সেগুলোও বিলি বণ্টন করে দেবে।
• ডঃ মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, দেশের সম্পদের উপর মুসলমানদের দাবি সবার আগে। ডঃ সিং যখন এই কথা বলেন, তখন সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম (গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে)।
• কংগ্রেস আপনার ‘মঙ্গলসূত্র’ এবং ‘স্ত্রীধন’ পর্যন্ত নিয়ে নেবে এবং যাদের বেশি সংখ্যক ছেলেপুলে আছে সেগুলো বিলিয়ে দেবে তাদের মধ্যে।
• আপনার যদি গ্রামে একটা বাড়ি থাকে এবং আপনি যদি শহরে একটা ছোট ফ্ল্যাট কিনে থাকেন, তবে কংগ্রেস এই দুটোর একটা বাড়ি কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে দেবে।
মন্ত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা
মোদিজির বিশ্বস্ত সেনাপতি এবং উপদেষ্টা অমিত শাহ যোগ করেছেন, মন্দিরের সম্পত্তি কংগ্রেস বাজেয়াপ্ত করবে এবং সেগুলো তাদের মধ্যে বিতরণও করে দেবে। এই প্রসঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের সংযোজন এইরকম, কংগ্রেস জনগণের সম্পদ বেদখল করবে এবং সেসব ফের বিলিয়ে দেবে অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে। পরের দিন, রাজনাথ সিং এই আলোচনায় আরও একটি অমূল্য কথা যোগ করেছেন যে, দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে ধর্ম-ভিত্তিক কোটা চালু করার প্ল্যান করেছে কংগ্রেস।
যখন ভাষ্যকাররা একে অপরকে বহুগুণে ছাপিয়ে গিয়েছেন, তখন মোদিজি আবিষ্কার করলেন যে, কর ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ‘উত্তরাধিকার কর’ (ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স) চালু করার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস। এই ইস্যুতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্মলা সীতারামন উজাড় করেছেন উত্তরাধিকার কর বিষয়ে তাঁর প্রজ্ঞা যতখানি। অথচ, ১৯৮৫ সালে কংগ্রেস সরকারই এস্টেট ডিউটি (এক ধরনের উত্তরাধিকার কর) বাতিল করেছিল। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে বিজেপি সরকারের হাতে বাতিল হয়েছে বিত্ত কর (ওয়েলথ ট্যাক্স)। বিষয়টি না জানার জন্য নির্মলা সীতারামনকে অবশ্য ক্ষমাঘেন্না করাই যায়।
কংগ্রেসের ইস্তাহারের উপর এই পরিকল্পিত আক্রমণের শুরুটা কেন এবং কখন হল, তা বোঝা কঠিন নয়। ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফার ভোটগ্রহণের পরই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) এবং বিজেপিকে আতঙ্ক গ্রাস করেছে বলেই মনে হচ্ছে। ২১ এপ্রিল রাজস্থানের জালোর এবং বানসওয়াড়া থেকে মোদিজি আক্রমণটা শুরু করেছেন এবং এখনও থামার নাম নেই। তাঁর কাল্পনিক লক্ষ্যের তালিকাটি নিঃসন্দেহে উদ্ভট। মন্ত্রিসভায় তাঁর সহকর্মীরাও এলোপাথাড়ি ‘ফায়ার’ করে চলেছেন। এই পাগলামি থামাতে সংবাদমাধ্যমের বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ দরকার ছিল। তার পরিবর্তে, সংবাদপত্রগুলো বিতর্কিত বিষয়গুলোর ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছে এবং লিখেছে জ্ঞানগর্ভ সম্পাদকীয়। টিভি চ্যানেলগুলো পণ্ডিতদের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের পাশাপাশি ‘প্যানেল ডিসকাশন’ চালিয়ে গিয়েছে। মোদিজি যে নকল যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, সেটাই ব্যাপকভাবে এবং বহুবার সংঘটিত হয়েছে।
কী আশা করা যায়
কংগ্রেসের ইস্তাহারটি ৫ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে সারা ভারতে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় হয়ে ওঠে। প্রতিশ্রুতিগুলি জনগণের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। সেগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল:
• আর্থ-সামাজিক এবং জাতিগত সমীক্ষা (সোশিও-ইকনমিক অ্যান্ড কাস্ট সার্ভে);
• সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের ঊর্ধসীমা প্রত্যাহার;
• মনরেগার শ্রমিকদের জন্য ৪০০ টাকার দৈনিক মজুরি;
• সবচেয়ে গরিব পরিবারগুলির জন্য মহালক্ষ্মী প্রকল্প;
• কৃষিপণ্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি নিশ্চয়তা;
• কৃষিঋণ মকুবের পরামর্শ গ্রহণে একটি কমিশন গঠন;
• যুবদের জন্য শিক্ষানবিশির অধিকার (রাইট টু অ্যাপ্রেনটিসশিপ ফর ইয়ুথ);
• ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের বিলুপ্তি;
• খেলাপি শিক্ষাঋণ মকুব; এবং
• একবছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূরণের প্রতিশ্রুতি।
যখন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের মুখে কংগ্রেসের ইস্তাহার সম্পর্কে ‘লোকসভা নির্বাচনের নায়ক’ কথাটি শোনা গেল, বস্তুত তখনই মোক্ষম আঘাত ঘটে গেল ক্ষমতার কেন্দ্রে। এতে অবশ্যই চটেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং তিনি এই নথিটাকে জনগণের সামনে ‘খলনায়ক’ হিসেবে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তাঁর দুর্ভাগ্য এটাই যে, কংগ্রেসের ইস্তাহারের কোনও অংশই ত্রুটিপূর্ণ নয়। তাই, প্রেতাত্মারচিত একটা কাল্পনিক ইস্তাহার সামনে এনে সেটাকেই আবর্জনার স্তূপে নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিলেন মোদিজি। আমার মতে, একজন বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কংগ্রেসের প্রকৃত ইস্তাহারের প্রতি এটাই হল সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন!
মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি তৃতীয় দফায় জয়ী হলে কী ধরনের বিকৃতি, মিথ্যাচার এবং অপব্যবহার অপেক্ষা করে থাকবে, দেশবাসীকে আগাম জানিয়ে দিলেন তাঁরা সেটাই। শুধু এই জন্যই কংগ্রেসের উচিত, ‘ধন্যবাদ, প্রধানমন্ত্রী’ বলা। ইস্তাহার পুনর্লিখনে ইতিমধ্যেই বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার ওই দক্ষতার জোরেই ভারতের সংবিধানটাও নতুন করে লিখে ফেলতে পারেন তিনি।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
29th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
‘আপ রুচি খানা’
মৃণালকান্তি দাস

দ্বারকার ক্ষত্রিয়ভূমিতে মদ্য-মাংসের বারণ ছিল না, তার প্রমাণ মহাভারতে আছে। আর অযোধ্যার পথেঘাটে ছিল সুরা-মদের ছড়াছড়ি। বলে গিয়েছেন বাল্মীকি।
বিশদ

18th  April, 2024
একনজরে
‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

অটো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনায় জখম হয়েছেন অটোয় থাকা আরও এক যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শীতলকুচি-মাথাভাঙা রাজ্য ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:48:34 PM

আইপিএল: লখনউ ৭৯/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৪৫

10:44:24 PM