সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে একই জায়গায় বাড়ি বানিয়ে থাকতেন দাদা ও ভাইয়ের দুই পরিবার। তবে দুই পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক খুব একটা ছিল না। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিবাদ লেগে থাকত বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। তবে সবকিছুই ছাপিয়ে যায় শনিবার বিকেলে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোতোষের মাটির ঘরের সামনেই একটি খড়ের চালার বারান্দা ছিল। ওইদিন খড়ের চাল ছ’ইঞ্চি বাড়ানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু তা দেখতে পেয়েই বাধা দেয় দাদা মিলন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
মৃতের স্ত্রী মমতা দাস বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে দেখে আমি চুপচাপই ছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে আমার স্বামীর মাথায় কাঠের তৈরি হাতুড়ি দিয়ে মারতে থাকে। এরপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বারবার আঘাত করে। পরে স্বামীকে কোনওমতে উদ্ধার করে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার নীলরতন হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার বিকেলে সেখানেই মারা যান।
এরপর রবিবার রাতে পুলিস অভিযুক্ত দাদা ও বউদিকে গ্রেপ্তার করে। সালার থানার পুলিস জানিয়েছে, সালার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মনোতোষ দাদা ও বউদির নামে অভিযোগ করেছিলেন। মৃতের মা মঙ্গলী দাস বলেন, দুটোই আমার ছেলে। তবে চোখের সামনে বড় ছেলে ছোট ছেলেকে যে এভাবে মেরে ফেলবে, কল্পনাও করতে পারিনি। অভিযুক্ত আমার বড় ছেলে হলেও আমি ওর ফাঁসি চাই।