সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাত ১০টা নাগাদ এলাকায় দু’টি বাইকের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। তা নিয়েই কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। দুর্ঘটনার ফুটেজ ধরা পড়ে ওই এলাকারই বাসিন্দা কাজু গুপ্তার বাড়ির সিসি ক্যামেরায়। রাতে তাঁর বাড়িতে দলবল নিয়ে ফুটেজটি দেখতে যায় উজ্জ্বল। বেশি রাতে ফুটেজ দেখাতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। তিনি উজ্জ্বলদের অনুরোধ করেন, পরের দিন সকালে আসতে। কিন্তু উজ্জ্বল নাছোড় ছিল বলে অভিযোগ। এনিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় দু’পক্ষের। এরপরেই দলবল নিয়ে কাজু গুপ্তার উপর চড়াও হয় উজ্জ্বল। ঘটনার সময় কাজুর শ্বাশুড়ি মিনা সাউ( ৫৮) বাড়িতে ছিলেন। তিনি ছুটে গিয়ে জামাইকে বাঁচাতে যান। তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জ্ঞান হারান ওই মহিলা। এরপরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় বিজেপি নেতার ভাই।
মিনাদেবীকে তড়িঘড়ি চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় অভিযুক্ত উজ্জ্বল দলুইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এনিয়ে অভিযুক্তের দাদা তথা মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত দলুই বলেন, ‘ও আমার নিজের ভাই নয়। অনেক দূরের সম্পর্কের ভাই হয়। আমাদের মধ্যে সে রকম সম্পর্কও ছিল না।’ বিজেপির ওই ব্লকের আহ্বায়ক সুদীপ কুশারি বলেন, ‘এনিয়ে অহেতুক রাজনীতি করা হচ্ছে।এটা তৃণমূল ও পুলিস যোগসাজশ করে ফাঁসিয়েছে। ওই মহিলা অসুস্থ ছিলেন। ময়নাতদন্ত্রে রিপোর্ট এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।’