পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
তৃণমূলের দাবি, জোহার থেকে জাহের এই কর্মসূচির নামের পিছনেই উন্নয়ন লুকিয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬০ বছরের ঊর্ব্ধে সমস্ত আদিবাসীদের জন্য জয় জোহার পেনশন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। দ্বিতীয়ত, আদিবাসীদের জাহের থানের যাঁরা পুরোহিত, সেই ‘নাইকে’দের জন্যও ভাতা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, জোহার থেকে জাহের। দু’টি প্রকল্পেই মাসিক এক হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষাশ্রী প্রদান করা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী থেকে জাহের থানের পাট্টা বিলি, বিনামূল্যে রেশন, আদিবাসী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি, বাসস্থানের পাট্টা বিলি, শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে সরলিকরণ, আদিবাসী শিল্পীদের ভাতা ও কার্ড দেওয়া সহ একগুচ্ছ উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাড়ায় পাড়ায় এই উন্নয়নগুলিও তুলে ধরা হবে।
আউশগ্রাম-২ ব্লকের সাহেবডাঙায় সবচেয়ে বড় জাহের থান রয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার সকালে এখান থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে। আঞ্চলিক ভাষায় আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সাতদিন ধরে এই কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু। সেখান থেকে আউশগ্রাম-১ ব্লক, ভাতার, বর্ধমান-১, বর্ধমান-২, মেমারি-২, কালনা-১, কালনা-২, মেমারি-১ ব্লক ঘুরে আগামী ৩০ নভেম্বর জামালপুর ব্লকে গিয়ে শেষ হবে। ৫৫টি গ্রাম এবং কয়েকশো আদিবাসী পাড়া কভার করা হবে। তার রুটম্যাপও তৈরি করা হয়েছে। কোথায় খাওয়া-দাওয়া হবে, কোথায় রাত্রিবাস, কোথায় বৈঠক, সেই সমস্ত খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় গ্রামের জাহের থানে বসে বৈঠক করা হবে। সরকারি প্রকল্প থেকে কেউ বাদ পড়ে গিয়েছেন, কি না তার তালিকাও সংগ্রহ করা হবে। বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে এই কর্মসূচি পৌঁছে দিতে সাতদিন ধরে ফেসবুক লাইভও করা হবে।
এ ব্যাপারে দেবু টুডু বলেন, আমরা গরিব আদিবাসী। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমাদের কথা কেউ ভাবেননি। তিনি আমাদের গরিব আদিবাসী এবং তফসিলি জাতি মানুষদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প তৈরি করেছেন। জয় জোহার পেনশনে চার লক্ষ এবং তসফিলি বন্ধু পেনশন প্রকল্পে ২১ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই উন্নয়নের বার্তা তুলে ধরেই আমরা এই প্রকল্প নিয়েছি। সেই সঙ্গে এলাকার আদিবাসীদের সঙ্গে বসে তাঁদের সবার দাবি-দাওয়া শুনব। কেউ যদি এখনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে।