পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
কান্দি মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। প্রায় সব মাঠের ধান পেকে গিয়েছে। এখন ধান কেটে ঘরে তোলার পালা চলছে। কিন্তু ধান ঘরে তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। বেশি মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে চাষিদের অভিযোগ। খড়গ্রামের ইন্দ্রাণী গ্রামের চাষি হেদায়াতুল্লা শেখ বলেন, সাত বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধান সোনালি হয়ে গেলেও কেটে খামারে আনা যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যেই আকাশে মেঘ জমায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বৃষ্টি হলেই ধান ঘরে তুলতে পারব না। লোকসান হয়ে যাবে।
শ্রমিকের অভাবে এলাকার অনেক চাষিই ধান কেটে মাঠেই জড়ো করে রাখছেন। পরে ঝাড়াই করবেন বলে জানা গিয়েছে। ঝিল্লি গ্রামের চাষি জসীম শেখ, বাবলু শেখ প্রমুখ জানান, ধান কাটার জন্য জনপ্রতি শ্রমিকের মজুরি লাগছে প্রায় ৪০০ টাকা। এক বিঘা জমির ধান কাটতে আটজন শ্রমিক কাজ করছেন। তাই কোনওভাবে ধানের আঁটি বেঁধে জমিতেই ফেলে রাখা হচ্ছে। পরে শ্রমিকের চাহিদা কমলে তখন ঝাড়াই করা যাবে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে ধানের ক্ষতি হবে। অনেক চাষি সরকারি মূল্যে ধান বিক্রির জন্য এখনই জমির ধান কেটে মজুত করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে যাঁরা অল্প জমিতে ধান লাগিয়েছেন তাঁরা ঝাড়াই করছেন। ভরতপুর থানার কোল্লা গ্রামের চাষি কাশেম মিয়া বলেন, আমাদের এখানে বেশিরভাগ লোকের ছোট ছোট জমি। তাঁরা সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য কুপন সংগ্রহ করে ফেলেছেন। এখন হঠাৎ করে ধান কেনা হলে তা বিক্রি করার জন্য শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়া সত্ত্বেও ধান ঝাড়াই করে মজুত করা হচ্ছে।
এদিকে এবছর কান্দি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ঝাড়খণ্ড ও বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর শ্রমিক ধান কাটার জন্য এসেছেন। কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় তাঁরা ধান কাটার কাজ করছেন। বেশিরভাগ এলাকায় ধান কাটছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। এলাকার চাষিদের বক্তব্য, অন্য বছরের তুলনায় এবছর কান্দিতে বেশি আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। যে সব মাঠ প্রতিবছর বন্যায় ডুবে যায়, সেগুলিতেও অনেক জমিতে ধান পাওয়া গিয়েছে। আর আমনের চাষ ব্যাপকভাবে হওয়ায় শ্রমিকের জোগান কম হচ্ছে। তবে অনেক চাষি শ্রমিক না পেয়ে হারভেস্টার যন্ত্র দিয়ে ধান কাটছেন। যদিও খড় পাওয়ার আশায় বেশিরভাগ চাষিই যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটতে চাইছেন না। খড়গ্রামের এক চাষি বলেন, মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটলে খড় পাওয়া যায় না। কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ চাষির বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে। সারাবছর গবাদি পশুকে খাওয়াতে ওই খড় লাগবে। তাই অনেকেই মেশিনে ধান কাটতে চাইছেন না। যাঁদের বেশি জমি রয়েছে তাঁরা মেশিনে ধান কাটায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। খড়ের জন্য কিছুটা জমির ধান আলাদা করে কাটছেন।