পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ভেঙে যাওয়া লকগেটটি সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে সেখানে নতুন লকগেট বসানোর কাজ চলছে। এর আগে বাকি পাঁচটি লকগেট পরিবর্তন করা হয়েছে। ৩১ মার্চের মধ্যে বাকি ছ’টি লকগেটও বদলে নতুন লকগেট বসানো হবে। ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারেজের সবকটি পুরনো লকগেটকেই বদলে দেওয়া সম্ভব হবে।
যে ব্যারেজ স্টিল সিটি দুর্গাপুরকে দশকের পর দশক পানীয় জল সরবরাহ করে আসছে, সেই দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেটের করুণ দশা শহরবাসীর সমস্যার কারণ। ২০১৭ সালের পর ২০২০-তেও লকগেট ভেঙে চরম বিপত্তিতে পড়েছিলেন শহরবাসী। বেশ কয়েকদিন আসেনি পুরসভার পানীয় জল। ২০১৭ সাল থেকেই শহরের বাসিন্দাদের দাবি ছিল, দুর্গাপুর ব্যারেজের পাশাপাশি বিকল্প জলের রিজার্ভার গড়ে তোলা হোক। যাতে ফের কোনও বিপত্তি ঘটলে জলসঙ্কট না হয়। কিন্তু তিন বছরে এনিয়ে কোনও কাজ হয়নি। তাই ফের যখন গেট ভাঙে, তখন শহরে এনিয়ে চরম ক্ষোভ ছড়ায়। অবশেষে এব্যাপারে উদ্যোগী হল প্রশাসন। দ্রুত জমি চিহ্নিত করে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
সেচদপ্তরের দাবি, বিকল্প রিজার্ভার প্রস্তুত হয়ে গেলে ব্যারেজ সংস্কারও সম্ভব হবে। এতদিন ধরে বিকল্প কোনও রিজার্ভার না থাকায় ব্যারেজ শূন্য করে কোনওদিনই গেটগুলি সংস্কার করা যায়নি। তাই এমন করুণ দশা। তাই এমনভাবে রিজার্ভার করার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে ব্যারেজ ১০দিন জলশূন্য থাকলেও শহরে কোনও প্রভাব যাতে না পড়ে।
সেচদপ্তরের ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌতম বসু বলেন, পাঁচটি গেট পরিবর্তন করা হয়ে গিয়েছে। ভেঙে যাওয়া গেট বদলে দেওয়ার কাজ চলছে। সামনের মার্চের মধ্যে ৬, ৭, ৮, ১৭, ২২, ৩২ নম্বর লকগেট বদলে দেওয়া হবে। বাকি ২২টি গেট ২০২২সালের মার্চের মধ্যে বদলে দেওয়া হবে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, বিকল্প রিজার্ভারের জন্য জায়গা দেখা শুরু হচ্ছে। দ্রুত এটি নির্মাণ করা হবে, যাতে শহরবাসী আর সমস্যায় না পড়ে।