প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধের জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা যায়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করিয়ে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তাঁকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপর পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় তাঁকে রেফার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পেতে সমস্যা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জেলার করোনা হাসপাতাল হিসাবে স্বীকৃত দুর্গাপুরের কাছে কাঁকসা থানার মলানদিঘির বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু পরে জানা যায়, সেটি এখনও রোগী ভর্তির জন্য প্রস্তুত নয়। পরে শনিবার রাতে বৃদ্ধকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেই মতো বৃদ্ধের ছেলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সেখানে গেলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে তবেই এই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। তখন জেলা হাসপাতালের এক আধিকারিকের পরামর্শে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে। সেখান থেকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে রবিবার ভোরে ফের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হয়রানি নিয়ে সরব হয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। ওই বৃদ্ধের জামাই সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, এভাবে হয়রানির কোনও মানে হয় না। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত। আদৌ সঠিক চিকিৎসা হবে কি না বুঝতে পারছি না।
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে রোগী ভর্তি না নেওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের যুক্তি, ওই হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদের রাখা যাবে বলে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে। তাই ওই হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হয়নি। কিন্তু যখন আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অর্ডার হাতে পেয়েছে তার আগেই রোগীকে রেফার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার করোনা হাসপাতালের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম হওয়ায় সেখানেও সন্দেহজনক রোগীদের স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। অ্যাম্বুলেন্স সমস্যার কথা মানতে চাননি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যদিও করোনা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাননি।