বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মহারাজপুর গ্রাম লাগোয়া ছোট একটি বাজার রয়েছে। বুধবার রাতে একজন সাব ইন্সপেক্টর সহ কয়েকজন পুলিসকর্মী ওই বাজারে যান। লকডাউন উপেক্ষা করেই সেখানে একাধিক দোকান খোলা ছিল। সেখানে স্থানীয় লোকজন আড্ডা দিচ্ছিল। পুলিসের পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকিং করে সকলকে বাড়ি চলে যেতে অনুরোধ করা হয়। এরপরই স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পুলিসের বচসা বাধে। পুলিস লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতেই স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিসকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। যে গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই গ্রামে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জান্নাতুন বিবির বাড়ি।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই গ্রাম লাগোয়া বাজারে নিয়ম না মেনে একাধিক দোকান খুলে রাখা হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন আড্ডা দিতেন। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপপ্রধান ও তাঁর স্বামীকে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। বুধবার লকডাউন মেনে সকলকে বাড়ি যাওয়ার কথা বলতেই কয়েকজন হামলা চালায়।
উপপ্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রফিক মণ্ডল বলেন, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এই এলাকায় কোনও দোকান খোলা নেই। আইসি-র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। বুধবার রাতে আচমকা পুলিস এসে পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তিনজনকে মারধর করে। একাধিক বাইক ভাঙচুর করে। মুদির দোকান আর ডাক্তারের চেম্বার ছাড়া কোনও দোকান খোলা ছিল না। অথচ পুলিস বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এলাকার মহিলাদের গালিগালাজ করে। এরপরই স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুলিসের উপর চড়াও হয়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আয়ুশ হাসপাতালটি করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ১৬ জন রোগীকে বুধবার রাতেই ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, করোনা সন্দেহে সমস্ত রোগীকে এবার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। মেডিক্যাল কলেজে আর কাউকে ভর্তি করা হবে না।
সবং ব্লকের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে লোধা পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েতের ১৩০০টি লোধা পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর শহরের গৌরহরি কর নামে এক বাসিন্দা এদিন জেলাশাসকের হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।