বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
শহরের বাসিন্দারা বলেন, লকডাউন সফল করতে পুলিসের কালঘাম ছুটছে। নির্দিষ্ট দাগ কেটে দেওয়ার পরও বাজার করতে বেরিয়ে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকেই। সেখানে ওই প্রৌঢ়ের এই ‘আইডিয়া’ জেলাবাসীর চোখ খুলে দিয়েছে। তবে তাঁর এই সতর্কিত পদক্ষেপের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে যেমন বাহবা দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। একজন তাঁর কাণ্ড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, চরণে প্রণাম তোমার দাদাভাই। আবার অন্যজন পোস্ট করেছেন, আপনাকে দেখে সুকুমার রায়ের খুড়োর কল কবিতাটির লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে। আবার অন্য একজন লিখেছেন, আপনার লাঠির আঘাতে অন্যজনের বিপদ হতে পারে। আপনার সাবধানে থাকাই ভালো।
পুলিসের দাবি, অন্যান্য জেলার তুলনায় মুর্শিদাবাদ অনেক সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছে। সকাল ও বিকেলের দিকে শহরের কিছু এলাকায় লোকজন দেখা গেলেও দিনের বেশিরভাগ সময় স্থানীয়রা নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখছেন। কোনও কোনও বাজারে অবশ্য সকালের দিকে অনেকে নিয়ম ভাঙছে। মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, কেউ অকারণে পথে বেরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের টহলদারি ভ্যান সব জায়গাতেই ঘুরছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, বাধ্য হয়ে পথে বেরলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাছাড়া লকডাউনের কোনও মানেই থাকবে না।
তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ওই প্রৌঢ়ের পথ আদৌ অনুসরণ করা উচিত কিনা তা নিয়ে অবশ্য কেউ নিশ্চিত হতে পারেননি। যদিও দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে তাঁর কাণ্ড নেটিজেনদের যে কিছুটা হলেও অক্সিজেন জুগিয়েছে তা হলফ করেই বলা যায়।