বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি লোকজন জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় ২১ হাজারের বেশি লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তেহট্টের সেই আক্রান্ত পরিবারের পাশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া ভরতপুর এলাকার এক ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে ফেরা দুই ব্যক্তিও কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
এক আধিকারিক বলেন, সরকারিভাবে ছাড়াও অনেকে নিজেদের উদ্যোগে জেলায় ফিরেছেন। তাঁরা আদৌও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করিয়েছেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাঁরাই চিন্তা বাড়িয়েছে। যদিও সবাইকে নিজেদের ঘরে থাকার জন্য প্রত্যন্ত এলাকাতেও প্রচার চালানো হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনও ফরাক্কা সহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় দুঃস্থ ব্যক্তিদের চাল, আলু, তেল দেওয়া হয়েছে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকাতেও দুঃস্থদের চাল, আলু দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে সবাই যেন লকডাউন মেনে চলেন।
এদিকে জেলার কয়েক হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকায় পরিবারের লোকজনের উদ্বেগ বাড়ছে। মহারাষ্ট্র, কেরল বা চেন্নাইয়ে আটকে থাকা অনেকে ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাঁদের পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কতজন শ্রমিক বাইরে রয়েছেন তার তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বাইরে আটকে থাকা লোকজনদের সমস্যা সমাধানে তাঁদের সঙ্গে আধিকারিকরা যোগাযোগও শুরু করেছেন।