বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
এদিকে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়াল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত মোট ৩২ হাজার ১৬০ জন মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। সোমবার নতুন করে ১০০৪ জনকে পাঠানো হয়েছে। ফলে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত এই জেলায় মোট ৩৩ হাজার ২৩৩ জন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল। তার মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন ৩২ হাজার ৯৯০ জন এবং বাকি ২৪৩ জন বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা সন্দেহে বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তিনজনকে এবং কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। অপরদিকে, রবিবারও বর্ধমান জংশন স্টেশনে ২৪ জনকে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তার মধ্যে জ্বর-সর্দির উপসর্গ থাকায় আটজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, নদীয়ার তেহট্টে একই পরিবারের পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার জেরে সোমবার থেকে কাটোয়া, দাঁইহাট ও কেতুগ্রামে নদীয়ার সঙ্গে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। কাটোয়া-বল্লভপাড়া, কাটোয়া-গোবরা, কাটোয়া-ভাগ্যবন্তপুর, দাঁইহাট-মাটিয়ারি, কেতুগ্রামের শাঁখাই-কাটোয়া সহ সমস্ত ফেরি সার্ভিসই প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আপাতত সব ঘাট বন্ধ করা হয়েছে। অপরদিকে, লকডাউনের জেরে খাবারের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় নাদনঘাটের জাহান্নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ ঘোষ এদিনও মোট ২০০টি গরিব আদিবাসী পরিবারের হাতে খাবার তুলে দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার সঙ্গে ছ’টি জেলার সীমান্ত রয়েছে। লকডাউনের সময় যাতে এক জেলা থেকে অন্য জেলা এবং এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কেউ যাতায়াত না করে, তার জন্য সমস্ত সীমান্ত সিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে নাকা চেকিং। জামালপুরে ভিন রাজ্যের প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিককে আটকানো হয়। হাওড়া ও ডানকুনি থেকে তাঁরা হেঁটে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কোলাঘাট থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথেও বর্ধমানের রাজবাটিতে বেশ কয়েকজন শ্রমিককে আটকানো হয়। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমাতেই ৬০০র বেশি শ্রমিককে আটকানো হয়েছে। জেলায় সংখ্যাটা বহু। সবার জন্য থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।