Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 করোনা যুদ্ধের অক্লান্ত সৈনিক ডাক্তারবাবুরা,
দোহাই ওদের গায়ে আর কেউ হাত তুলবেন না
হিমাংশু সিংহ

 পৃথিবীব্যাপী এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে। অদৃশ্য জৈবযুদ্ধ। এলওসিতে দাঁড়িয়ে মেশিনগান হাতে কোনও সেনা নয়, রাফাল নিয়ে শত্রু ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও নয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিরস্ত্র ডাক্তারবাবুরা বুক চিতিয়ে এই নির্ণায়ক যুদ্ধ লড়ছেন রাতের পর রাত ক্লান্তিহীন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তাঁরা পিছপা হতে নারাজ। শেষপর্যন্ত এই যুদ্ধের পরিণাম কী হবে, কত মানুষের মৃত্যু দেখে তবে মারণ ভাইরাসের প্রলয় নাচন থামবে, তা আমাদের অজানা। অনেকে আবার তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দাবি করছেন, এমনটা যে হবে তা নাকি বাইবেলেই লেখা ছিল। অনেকে আবার বলছেন, শনি এখন নিজের ঘরে অবস্থান করছে, আর বৃহস্পতি নীচস্থ বলেই নাকি এতবড় বিপন্নতা, এতবড় সর্বনাশ তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে। সে যাই হোক গোটা মানবসমাজ আজ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি। রাগ, বিদ্বেষ, অস্ত্রের ঝনঝনানি সব এক লহমায় মুছে গিয়েছে। অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে ছোট ছোট স্বার্থের গণ্ডি। দেশের সীমানা মুছে সবাই একসুরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অস্তিত্বরক্ষার সংগ্রামে শামিল। এই লড়াইটা যত না কঠিন তার চেয়েও কঠিন অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত ধের্য আর সংযম ধরে রাখা। এ যুদ্ধের একদিকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডাক্তারবাবুরা, আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা। বাইরে বেরব না। দোকানে বাজারে অযথা ভিড় করব না। মাঝে মাঝেই হাত ধুয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করব, যাতে ভাইরাস ছড়াতে না পারে। সেইসঙ্গে আশপাশটাকে পরিচ্ছন্ন রাখব। বাড়িতে নিজের পরিজনদের সঙ্গেও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখব, এই প্রতিজ্ঞা আর শপথ। গোটা জাতির আজ এই একটাই মন্ত্র। এই সহযোগিতা ছাড়া ডাক্তারবাবুরা এ লড়াইয়ে সহজে জিততে পারবেন না। কারণ এই যুদ্ধে মধ্যিখানে আর কেউ নেই। সেনাবাহিনী নয়, সমরাস্ত্র সজ্জিত আধুনিক ট্যাঙ্ক নয়, ভয়ঙ্কর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও নয়,শুধু একটা সামান্য স্টেথোস্কোপ গলায় জড়িয়ে ভগবানের মতো শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ানো ডাক্তারসমাজ। ওই একটা মাত্র অস্ত্র হাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভয়ঙ্কর লড়াইয়ে অবতীর্ণ মহামান্য ডাক্তারবাবুরা। গায়ে সাদা অ্যাপ্রন, হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক। দিনরাত এক করে তাঁরা অক্লান্ত লড়াই করছেন রোগীর শিয়রে বসে। তাঁদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন অগণিত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এমনকী চতুর্থশ্রেণীর কর্মীরাও। তাঁদের ছাড়া আজ এই কঠিন যুদ্ধে আমাদের আরও বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা। তাই করোনা বিশ্বযুদ্ধের সব স্তরের সৈনিকদের কুর্নিশ করুন। বাহবা দিন। এই ভয়ঙ্কর সময়ে স্বজন সংসার ছেড়ে তাঁরা মানুষকে সেবা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত, এ বড় কম কথা নয়। মন্দির, মসজিদ ছেড়ে স্বয়ং ভগবান যেন নেমে এসেছেন মর্তের মাটিতে প্রতিটি করোনা রোগীর শুশ্রুষায়। পাথরের বিগ্রহ নয়, অবিরাম মন্ত্রপাঠ নয়, চিকিৎসকরাই আজ আসল ভগবান। আরতি নয়, ফুলমালাও নয়, শুধু খোলা মনে তাঁদের এই ভূমিকাটাকে সম্মান দিন। কার্পণ্য না করে স্বীকৃতি দিন তাঁদের এই অসম্ভব প্রয়াসকে। বিভেদ, বিভাজন, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে একবাক্যে শপথ নিন, ভবিষ্যতে আর কোনওদিন ভুলেও কোনও হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে ডাক্তার নার্সদের উপর কেউ চড়াও হবেন ন। ভাঙচুর চালাবেন না। কেউ ইচ্ছে করে মুমূর্ষু রোগীকে মেরে ফেলে না। আর ভুল ভ্রান্তি সব পেশাতেই হয়। যে কাজ করে তারই হয়। মাথা ঠান্ডা করে এই সরল সত্যটাকে মানতে শিখতে হবে সবাইকে। করোনা মহামারীর এটাও বড় শিক্ষা।
এমনও শোনা যাচ্ছে, যেসব ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা রোগীর চিকিৎসা করছেন, কোথাও কোথাও তাঁদের বাড়িতে লোক চড়াও হচ্ছে। তাঁদেরও আলাদা করার দাবি জানাচ্ছেন। এতো অমানবিক কাজ। অমার্জনীয় অপরাধ। অবিলম্বে এই ঝোঁক পরিহার করুন। সভ্য সমাজে এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কিছু হতে পারে না। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী রুখতে সামনে থেকে যাঁরা আজ যুদ্ধ করছেন, তাঁদেরই ব্রাত্য করে দিলে মহাপাপ হবে। এই দুর্দিনে ওঁরাই একমাত্র বন্ধু। ও কাজ ভুলেও করার চেষ্টা করবেন না।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে অপেক্ষাকৃত নতুন এই ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। কীভাবে মিউটেট করে ভাইরাসটি তার চরিত্র বদলাচ্ছে, আরও ভয়ঙ্কর সংক্রামক আকার নিচ্ছে তারই পর্যবেক্ষণ চলছে দুনিয়াজুড়ে। কিন্তু মাত্র তিনমাস যার বয়স তার সম্পর্কে বেশি তথ্য তো কারও কাছেই নেই। ডাক্তারবাবুরাও বলছেন, কোভিড ১৯ চরিত্র বদল করে যে এতটা সংক্রামক ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিপজ্জনক প্রবণতা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে তা বিজ্ঞানীরাও প্রথমটায় আঁচ করতে পারেননি। তবে এটি বাতাসে কতক্ষণ ভেসে থাকে তা নিয়ে দ্বিমত আছে। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ আবার বলছেন, গরম যত বাড়বে তত আমাদের দেশে এই রোগের প্রকোপও নাকি কমবে। তবে গাড়ির হাতল, লিফটের গেট, দরজার তালা, মাথার চুল থেকেও অবলীলায় এই ভাইরাস দ্রুতবেগে সংক্রামিত হয়। পরিভাষায় এগুলিকেই বলা হয় ফোমাইটস। বাইরে থেকে এসে তাই প্রথমেই হাত ধোয়া, জামাকাপড় ছেড়ে সাবান মেখে স্নান করা সবচেয়ে জরুরি। আরও জরুরি বাইরে থেকে ফিরেই জামাকাপড় সাবানজলে সামান্য ডেটল মিশিয়ে ধুয়ে ফেলা।
এত সৈন্যসামন্ত, লোকলস্কর, অস্ত্রশস্ত্র, বোমারু বিমান, পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি সবই মনে হচ্ছে বৃথা গেল। এ যুদ্ধে ওসবের কোনও ভূমিকাই নেই। আসলে সবাই সবাইকে শত্রু ভাবতে ভাবতে শেষে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে নেপোয় দই মারার মতো সভ্যতাকে উজাড় করে দিয়ে গেল চীনের মাটিতে সৃষ্ট মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা। আরও বিপদের কথা, কেউ কেউ আবার নিজে থেকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় নিজের ও নিজের পরিবারের উপর ডাক্তারি করছেন। নেট ঘেঁটে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, লোপিনাভির ও রিতোনাভির মতো ওষুধ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজের উপর ডাক্তারি করার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে। কোনও ওষুধের দোকানও যেন চিকিৎসকের সুপারিশ ছাড়া এই সব বিপজ্জনক ওষুধ বিক্রি না করে, তা প্রশাসনকে দেখতে হবে।
গত একশো বছরের ইতিহাসে মানবজাতির সামনে এমন অভূতপূর্ব সঙ্কট এসেছে বলে অনেক প্রবীণ মানুষেরও মনে পড়ে না। তিন মাস বয়সের এক মারণ ভাইরাসের সঙ্গে সারা পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত নাগরিক সমাজের এক অদৃশ্য লড়াই চলছে। কতশত অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমারু বিমান এই আধুনিক পৃথিবী তৈরি করেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু তার সবই একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য। বিদ্বেষ আর শত্রুতাকে চরিতার্থ করার জন্য। ঈর্ষা আর লোভের বশবর্তী হয়ে। কিন্তু নবজাতক এই করোনা ভাইরাস সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। ভালোবাসা নয় বন্ধুত্ব নয়, স্রেফ ভয় আর আতঙ্ক আজ সমগ্র মানবসমাজকে একসূত্রে গেঁথে দিয়েছে। ছলচাতুরি, হুমকি পাল্টা হুমকি, অস্ত্রের ঝনঝনানি সব আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে। চীন থেকে আত্মপ্রকাশ করে করোনা ভাইরাস আজ উন্নত ইউরোপ ও আমেরিকাকে পর্যন্ত নাজেহাল করে দিয়েছে। এপিসেন্টার চীন থেকে ইউরোপ পেরিয়ে এখন আমেরিকায় থাবা বসাতে উদ্যত। মার্কিন মুলুকে মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে। আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল। হতাশ গলায় তিনি বলছেন মহামারীর নিয়ন্ত্রণ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। গোটা দেশটাই কার্যত ছারখার হওয়ার মতো অবস্থায়। কার্যত গোটা ইউরোপই প্রায় পথে বসার মতো অবস্থায়। স্পেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডও এই মারণ ভাইরাসের পরাক্রমের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এখন লক্ষ্য রাখছে ভারতের উপর। ভারতও এর প্রভাবে বেসামাল। গোটা দেশ ঘরবন্দি। ব্যবসা লাটে। তার উপর আর্থিক বছরের শেষ, মার্চ মাস বলে কথা। বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় অর্থনৈতিক মন্দা কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। গোটা দেশ লকডাউনের মধ্যে কোনওরকমে দিন গুজরান করছে। সবে মাত্র কয়েকদিন কেটেছে আরও অনেক সময় বাকি। মোট ২১ দিনের লকডাউন। তাই দীর্ঘ সময় ঘরবন্দি থাকতে হবে। নিঃসন্দেহে ধৈর্যের পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় ১৩০ কোটির দেশ সসম্মানে উত্তীর্ণ হতে পারে কি না, সেদিকেই সবার নজর।
এই লড়াইয়ের প্রধান স্থপতি নিঃসন্দেহে ডাক্তারবাবুরা ও সতর্ক জনগণ। দু’তরফের যোগ্য সমঝোতা ও সমন্বয় ছাড়া জয় সম্ভব নয়। সর্বত্র মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, আবার কেউ প্রাণঘাতী মারণ ভাইরাসের শিকার হল না তো? এক অজানা আশঙ্কা ও ভয়ের প্রহর গুনছে সবাই। ভারতের মতো গরিব জনবহুল দেশে এখন জিজ্ঞাসা একটাই, করোনার থার্ড স্টেজে যাওয়া আটকানো যাবে তো?
29th  March, 2020
লকডাউনেই থামবে করোনার অশ্বমেধের ঘোড়া
সন্দীপন বিশ্বাস

 এ এক অন্য পৃথিবী। এই পৃথিবী দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অতি দ্রুত আমরা মুখোমুখি হলাম এই অন্য পৃথিবীর। যেখানে গাছের পাতা ঝরার মতোই ঝরে পড়ছে মানুষের প্রাণ। বিশদ

ঘরে থাকতে অক্ষম যে ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 রণবীর সিং। বয়স ৩৮ বছর। ডেলিভারি এজেন্টের কাজ করতেন দিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন তিনি। জাতীয় সড়ক ধরে। যেভাবে হোক গ্রামে পৌঁছতে হবে। গ্রাম মানে মধ্যপ্রদেশের কোথাও একটা... দিল্লি থেকে বহুদূর।
বিশদ

31st  March, 2020
ভীরু এবং আধখেঁচড়া
ব্যবস্থা, তবু স্বাগত
পি চিদম্বরম

গত ১৯ মার্চ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে ২২ মার্চ, রবিবার দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালন করা হবে। আমি ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী জল মাপছেন, জনতা কার্ফুর শেষে তিনি নানা ধরনের লকডাউন ঘোষণা করবেন। কিন্তু রবিবার কোনও ঘোষণা শোনা গেল না। বিশদ

30th  March, 2020
এ লড়াই বাঁচার লড়াই,
এ লড়াই জিততে হবে
তন্ময় মল্লিক

 এখন দোষারোপের সময় নয়। এখন আঙুল তোলার সময় নয়। এখন সমালোচনার সময় নয়। এখন লড়াইয়ের সময়। এ এক কঠিন লড়াই। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।
বিশদ

28th  March, 2020
মিসাইল বানানোর চেয়ে ডাক্তার
তৈরি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ
মৃণালকান্তি দাস

লিউয়েনহুক যখন সাড়ে তিনশো বছর আগে আতশ কাঁচের নীচে কিলবিল করা প্রাণগুলোকে দেখতে পেয়েছিলেন, তখনও তিনি জানতেন না যে তিনি এক নতুন দুনিয়ার সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন। তিনিই প্রথম আণুবীক্ষণিক প্রাণের দুনিয়াকে মানুষের সামনে উন্মোচিত করেন। ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণগুলোর নাম দেন ‘অ্যানিম্যালকুলস’। বিশদ

27th  March, 2020
করোনা ছুটছে গণিতের অঙ্ক মেনে,
থামাতে হবে ‘হাতুড়ি’র ঘা দিয়েই
ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ

 জানেন কি, গণিতের নিয়ম মেনেই ভারত সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা ভাইরাস? একজন আক্রান্ত থেকে গুণিতক হারে অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস! আর অসতর্কতার কারণে মাত্র এক-দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা এক ঝটকায় অনেকটা বাড়ছে। ঠিক যেমন হয়েছে চীন, ইতালি, স্পেনের মতো দেশগুলিতে।
বিশদ

27th  March, 2020
পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জ, অস্ত্র নাগরিক সচেতনতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ডাঃ সুশীলা কাটারিয়া। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাঁদের জন্য পাঁচটা মিনিট সময় বের করার আর্জি জানিয়েছিলেন, ডাঃ কাটারিয়া তাঁদেরই মধ্যে একজন। গুরুগ্রামে একটি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের ডিরেক্টর তিনি। বয়স ৪২ বছর। গত ৪ মার্চ যখন তাঁকে বলা হয়েছিল, আপনার দায়িত্বে ১৪ জন ইতালীয় পর্যটককে ভর্তি করা হচ্ছে, তখনও তিনি রোগের নাড়িনক্ষত্র ভালোভাবে জানেন না। 
বিশদ

24th  March, 2020
মন্বন্তরে মরিনি আমরা, মারী নিয়ে ঘর করি
 সন্দীপন বিশ্বাস

পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন। আর এই ‘অসুখ’ থেকে বারবার মানুষ লড়াই করে ফিরে এসেছে। প্রতিবার অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে লড়াই করে মানুষ এগিয়ে গিয়েছে উত্তরণের পথে। প্রকৃতির কোনও মারণ আক্রমণেই সে পিছিয়ে পড়েনি। তাই মানুষ বারবার ঋণী মানুষেরই কাছে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তারপর
পি চিদম্বরম

আপনি এই লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত এগতে পারল না কি পিছনে পড়ে গেল। সরকার ব্যস্ত ভিডিও কনফারেন্সে, আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং করোনা থেকে বাঁচার জন্য নির্দেশিকা (হাত জীবাণুমুক্ত করা, নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক পরা) জারিতে।  
বিশদ

23rd  March, 2020
ভয় পাবেন না, গুজব ছড়াবেন না, জনতা কার্ফুতে ঘরে থাকুন, বিশ্বযুদ্ধে ভাইরাস পরাজিত হবেই
হিমাংশু সিংহ

 এক মারণ ভাইরাসের ভয়ঙ্কর সংক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মহাযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের একদিকে করোনা আর অন্যদিকে গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব। প্রবীণ মানুষরা বহু স্মৃতি ঘেঁটেও এমন নজির মনে করতে পারছেন না যেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটা রোগ ঘিরে এমন ত্রাস, আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে।
বিশদ

22nd  March, 2020
লড়াই
তন্ময় মল্লিক

 করোনা ভাইরাস। এই দু’টি শব্দই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প গোটা পৃথিবী। চীন, জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ক্ষতবিক্ষত করে করোনা এবার থাবা বসাতে শুরু করেছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।
বিশদ

21st  March, 2020
সময় এসেছে সিরিয়াস কিছু প্রশ্নের
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে কিছুটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল নিজের পাড়ায় দাঙ্গা এলে কী হবে? অতএব এটাও আশা করি আন্দাজ করা গেল যে, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, হিন্দু মুসলমান সবই হল নেহাত সাধারণ টাইমপাস।  বিশদ

20th  March, 2020
একনজরে
নারা, ৩১ মার্চ (এপি): জাপানের একটি বিখ্যাত শহর নারা। বসন্ত এলেই চেরি ফুলে সেজে ওঠে এই ঐতিহ্যবাহী শহরটি। কিন্তু বিগত বছরগুলির মতো এবছর সেখানে পর্যটকদের কোলাহল শোনা যাচ্ছে না।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে আর্থিক সাহায্য করার লক্ষ্যে তৃণমূল বিধায়কদের কাছ থেকে দলীয় তহবিলে ১০ হাজার টাকা করে চেয়েছেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।   ...

মেলবোর্ন, ৩১ মার্চ: গাড়ি থেকে চুরি গেল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক টিম পেইনের ওয়ালেট। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার হোবার্টে। করোনার জেরে গোটা অস্ট্রেলিয়া জুড়ে চলছে লকডাউন। ...

বিএনএ, বাঁকুড়া: করোনার প্রকোপ বাড়লেও মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ঠিকা শ্রমিকদের রাখার জন্য আলাদা পরিকাঠামো তৈরি করছে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

এপ্রিল ফুলস ডে
১৬২১- শিখ ধর্মের নবম গুরু তেগ বাহাদুরের জন্ম,
১৮৮৯- রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেডগেওয়ারের জন্ম,
১৯৩৭- মহম্মদ হামিদ আনসারির জন্ম,
১৯৪১- ক্রিকেটার অজিত ওয়াদেকারের জন্ম,
১৯৮৪- ক্রিকেটার মুরলী বিজয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
এপ্রিল ফুলস ডে১৬২১- শিখ ধর্মের নবম গুরু তেগ বাহাদুরের জন্ম১৮৮৯- ...বিশদ

07:03:20 PM

অসমে আরও ৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাস 

09:36:35 PM

মহারাষ্ট্রে আরও ১ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু 

08:36:01 PM

কালিম্পংয়ে কোভিড-১৯-এ মৃত মহিলার ৪ আত্মীয়ও করোনা আক্রান্ত 
করোনা আক্রান্ত হলেন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত কালিম্পংয়ের মহিলার চার ...বিশদ

08:12:00 PM

রাজ্যে আরও ১ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু 
কয়েকদিনের যমে মানুষে টানাটানির ইতি। মৃত্যু হল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ...বিশদ

07:46:00 PM

স্থানীয়দের প্রতিরোধ, ধাপায় হল না করোনায় মৃতের শেষকৃত্য 
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধের জেরে ধাপা শ্মশানে হল না করোনা আক্রান্ত ...বিশদ

07:24:05 PM