বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার-১ ও প্রকল্প প্রধান নিখিলকুমার চৌধুরী বলেন, সারা দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাই এই পরিস্থিতিতে আমরা যেটুকু পারি সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি হলে উৎপাদনে যাতে প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আমরা ঠিকা কর্মীদেরও রাখার জন্য পরিকাঠামো তৈরি রাখছি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ডিভিসির মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বিভাগ স্থানীয় এলাকায় ১০ দিনের খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। ডিভিসির সিএসআর বিভাগের প্রকল্প আধিকারিক বিজি হোলকার বলেন, আমরা প্রকল্প লাগোয়া ১৫-২০টি গ্রামকে চিহ্নিত করেছি। এগুলির মধ্যে খটিয়ালা, মাছবাঁধা, রাধামাধবপুর, লাগাপাড়া, পাঁড়রা, পাঁকতোড়, দুর্লভপুর, শিরসা, পাঁড়ুইবাইদ, আমডাঙা, লটিয়াবনী, রাধাকৃষ্ণপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এইসব গ্রামের অসহায়, ভিক্ষা করেন, প্রতিবন্ধী, অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করছি। তাঁদের আগামী ১০দিনের খাবার হিসেবে জন প্রতি ৪ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম মসুর ডাল, ৫ কেজি আলু, হাফ লিটার সর্ষের তেল, ৫০০ গ্রাম নুন, ১০০ গ্রাম লঙ্কা ও ১০০ গ্রাম করে হলুদ গুঁড়ো দিয়েছি। কেউ বাদ পড়লে পরে তাঁদেরও দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যতদিন লকডাউন চলবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততদিন ওই অসহায় মানুষদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাতে যদি ডাল, ভাত ও সামান্য সব্জি অসহায়দের দিতে পারি, সেটাই আমাদের কাছে অনেক। সিটু নেতা সমীর বাইন বলেন, লকডাউনের কারণে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৮টি ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে দৈনিক গড়ে ২০০০ মেগাওয়াটের চাহিদা থাকত। সোমবার এখানে মাত্র একটি ইউনিট চালু ছিল। তা থেকে মাত্র ১৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। মঙ্গলবার চাহিদা একটু বাড়ায় এদিন ৫ ও ৮ নম্বর ইউনিট দু’টি থেকে ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ডিভিসির সিএসআর বিভাগ দুঃস্থদের জন্য যে পরিকল্পনা নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।