বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীঘায় বোতল কুড়নোর পাশাপাশি নানা কাজ করে নিজের এবং দুই শিশু সন্তানের পেট চালান বছর পঁয়তাল্লিশের কৃষ্ণা পাত্র। স্বামী পরিত্যক্তা ওই মহিলার ৬বছরের একটি ছেলে ও ২বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বাপেরবাড়ি বাসুদেবপুরেই থাকেন ওই মহিলা। দুই সন্তানকে নিয়ে পেট চালানোর তাগিদে একটা সময় দীঘায় চলে এসেছিলেন। দীঘায় একটি ঝুপড়িতে বসবাস করেন তিনি। লকডাউনের কারণে গত এক সপ্তাহের বেশি দীঘা পর্যটকশূন্য হওয়ায় রসদ ফুরিয়ে যায়। এদিকে গাড়ি চলাচলও বন্ধ। কোনও উপায় না দেখেই শেষ পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা।
রবিবার সকালে দীঘা থেকে দুই শিশুকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন কৃষ্ণাদেবী। ৭কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেন। বিকেলের দিকে বালিসাইর পানিপারুল মোড়ের কাছে দুই সন্তানকে নিয়ে চণ্ডী মন্দিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কৃষ্ণাদেবী। এক মহিলাকে দুই শিশুকে নিয়ে বসে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের কৌতূহল হয়। তাঁরা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানস দাসকে খবর দেন। মানসবাবু বিডিওকে বিষয় জানান। বিডিও তৎক্ষণাৎ গাড়ির ব্যবস্থা করে ওই মহিলা ও তাঁর দুই শিশুকে বাসুদেবপুরের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিডিও বলেন, খবর পেয়ে ওঁদের বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি।