বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনার পাহাড় জমছে। নিকাশি নালা থেকে নোংরা তোলা হলেও তা রাস্তার ধারে স্তূপের আকারে জমা থাকছে। এনিয়ে বেশিরভাগ ওয়ার্ডে নাগরিকরা সরব হয়েছেন। পাশাপাশি বেশ কিছু ওয়ার্ডে কয়েকমাস আগে নলবাহিত পরিস্রুত জলের পাইপলাইন ও বাড়ি বাড়ি ট্যাপকল বসানো হলেও এখনও জলের সংযোগ দেওয়া হয়নি বলে অনেকেই সরব হয়েছেন। বহু গরিব মানুষ সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাননি বলেও অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে জঞ্জাল ও নিকাশি সমস্যা নিয়ে পুরসভার ৬ ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের সাক্ষীগোপালপাড়ায় বাসিন্দারা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও একশ্রেণীর মানুষের প্রচ্ছন্ন মদতে প্রশাসনকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে শাসকদলের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে, বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে পুরসভা এলাকার খাস জায়গা বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেওয়া এবং নাগরিকদের স্বচ্ছ ও উন্নত পরিষেবা প্রদানে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।
রাস্তা, আলো, পানীয় জল নিয়ে বাসিন্দারা সন্তোষ প্রকাশ করলেও ময়লা ও নিকাশি সমস্যা বেশি করে উঠে এসেছে ১নম্বর ওয়ার্ডের কাটানধার, পাঠকপাড়া, মোল্লাপাড়া, ৩নম্বরে তিলবাড়ি ক্লাব এলাকা, ৫নম্বরে মিশন স্কুলের উত্তর দিকের পাঁচিল এলাকা, ৭নম্বর ওয়ার্ডের শিবতলা, বৈষ্ণবপাড়া, ৮নম্বরে গোপালপুর, ৯নম্বরে বিশ্বাসপাড়া, ১০নম্বরে বোসপাড়া, ১১নম্বরে গোয়ালাপাড়া, গোপালগঞ্জ, কৃষ্ণগঞ্জ, ১৩নম্বরের কাইতিপাড়া, ১৪নম্বরে বকুলতলা, ১৫নম্বরের মটুকগঞ্জ, বৈলাপাড়া, ১৭নম্বরের চাইয়ের মাঠ, ১৮নম্বরের গোপেশ্বরপল্লি এলাকায়। এছাড়াও পানীয় জলের সমস্যা উঠে এসেছে ৮নম্বরের গোপালপুর, তেজপাল, ৭নম্বরের বড়কালীতলা, ১২নম্বরের কুমারপাড়া প্রভৃতি এলাকায়। রাস্তার সমস্যা উঠে এসেছে ৬নম্বর ওয়ার্ডের মদনমোহন রোডে, ১২নম্বরের কুসুমতলা প্রভৃতি এলাকায়। সেরকমই ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাউস ফর অল প্রকল্পে বহু গরিব মানুষ বাড়ি পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে বিজেপি নেতা তথা দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, বিষ্ণুপুরে প্রচুর খাসজমি ছিল। কিন্তু, তা দালাল মারফত বেআইনিভাবে বিক্রি করা হয়েছে। তাই এখন জমি খুঁজতে গ্রামে যেতে হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই শহরের আবর্জনা ফেলতে গ্রামের বাসিন্দারা বাধা দিচ্ছেন। এর সঙ্গে কারও মদতের ব্যাপার নেই। স্বচ্ছ ও উন্নত পরিষেবা প্রদানে এই পুরবোর্ড ব্যর্থ। ইতিমধ্যে শহরের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা দেওয়ালে দেওয়ালে ‘এবার চলো পাল্টাই’ স্লোগান তুলেছেন। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাই মানুষ এই বোর্ডের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া জন্য মুখিয়ে আছে।
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষ্ণুপুর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে অলিগলিতে ঢালাই রাস্তা করা হয়েছে। প্রতিটি মোড়ে হাইমাস্ট লাইট থেকে শুরু করে স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে। রোজ প্রায় তিনশোর বেশি সাফাই কর্মী শহর পরিষ্কারের কাজ করেন। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যার কারণে আবর্জনা ফেলার সমস্যা রয়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য রাজ্য সরকার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি মৌজায় জমি দিলেও একশ্রেণীর অসাধু চক্র স্থানীয় মানুষকে খেপিয়ে তুলছে। গ্রামের মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত ডাম্পিং গ্রাউন্ড গড়ে তোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এর পিছনে কারা রয়েছে সেটা বিষ্ণুপুরের মানুষ ভালোভাবে জানে। তাই তাঁরা ভোটের বাক্সে এর জবাব দেবেন।