বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুতে মানুষের সমর্থন আদায়ের জন্য দলের নেতা এবং কর্মীরা ভাগীরথীর তীরে ওই তিন শহরে বাড়িতে বাড়িতে ঘুরছেন। সিএএ হলে কী লাভ হবে সেটা বুঝিয়ে বলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পুর নির্বাচনের প্রচারও সেরে ফেলতে চাইছে। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না বলে দলেরই একাংশের দাবি। বিজেপির জেলাস্তরের এক নেতা বলেন, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে যথেষ্ট ভালো ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই শহরে তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের লড়াই হবে। কংগ্রেস ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। সিএএ এবং এনআরসি ইস্যু সামনে না এলে আমরা ওই দু’টি পুরসভার বোর্ড গঠনেও আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এখন লড়াইটা যথেষ্ট কঠিন হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা বিভাস হাজরা বলেন, আমাদের নেতা এবং কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছে। আশা করি ভালোই ফল হবে। প্রার্থী নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, সিএএ এবং এনআরসি ইস্যু সামনে না এলে দলের পক্ষে ওই তিনটি শহরে লড়াই দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যেত। কিন্তু সিএএ বিল পাশ হওয়ার পর জেলার ছ’টি পুর এলাকায় লাগাতার প্রচার চালিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো গিয়েছে। এখন আর একতরফা কিছু হবে না। এই ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন করার ফলে জঙ্গিপুর, ধুলিয়ান, বেলডাঙার মতো পুরসভাগুলিতে সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে ভাগীরথীর পাড় লাগোয়া ওই তিন শহরে। কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি তিন শহরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও করতে থাকে। এখন তাদের চলার গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে গিয়েছে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়া শহরে কাজ করেছিল। এটা স্বীকার করতে অসুবিধা নেই। অনেক বুথে ওদের এজেন্ট না থাকার পরেও ভোট পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন অবস্থা বদলে গিয়েছে। সিএএ এবং এনআরসির বিষয়টি মানুষ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি। মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, শহরে বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তবুও ওরা লোকসভায় এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লোকসভা এবং পুরসভার ভোট সম্পূর্ণ আলাদা প্রেক্ষাপটে হয়। তাই আমরা এই নির্বাচনে নিশ্চিত।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বহরমপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ শহরে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা বেশি। সেকারণে সিএএ ইস্যুটি সামনে রেখে তারা নিজেদের ভিত মজবুত করার চেষ্টা করেছিল। এক মাস আগে থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে শুরু করেছে। কিন্তু সেটা তেমন সফল হচ্ছে না বলে দলেরই একাংশের মত। তাছাড়া লোকসভা নির্বাচনের আগে শহরে সাধারণ লোকজনদের মধ্যে বিজেপিকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল সেটাও নেই। তবে ওই তিন শহরে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দেওয়াল লিখনে তৃণমূলের সঙ্গে তারা পাল্লা দিচ্ছে। কংগ্রেসের সংগঠন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।