মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
নদীয়া-মুর্শিদাবাদের (ভিভিশন) ডিএফও রানা দত্ত বলেন, বন আরও ভালোভাবে রক্ষা করার জন্যই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলের বন্যপ্রাণও ভালোভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এর ফলে নিরাপত্তা আঁটোসাটো হল। আপাতত আটটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। পর্যটকদের জন্য শৌচালয়টি ঠিকঠাক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি ছুটির দিনে ৬৭ হেক্টর অভয়ারণ্যে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। কোনও বাধা নিষেধ কিছুই ছিল না। দিনান্তে একটি হরিণের মৃত্যু হয়। একটিও হরিণের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইটের ঘায়ে আরও বেশকিছু হরিণ ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। মদ্যপ অবস্থায় বহু পর্যটক সেদিন যা করেছিল, সেই স্মৃতি অভয়ারণ্যে এখনও দগদগে। আরও বেশকিছু প্রাণীও সেদিন জখম হয়েছিলেন। বনদপ্তরের চূড়ান্ত উদাসীনতা সেদিন সামনে আসে। এরপর থেকেই কিছুটা কড়াকড়ি শুরু করে বনদপ্তর। অভয়ারণ্যে অবাধে ঘোরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গাইড সহ জঙ্গল ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। মদ্যপ অবস্থায় জঙ্গলে ঢোকার ক্ষেত্রেও রাশ টানা হয়। বাড়ানো হয় নজরদারিও। সম্প্রতি এই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়।
কলকাতা থেকে খুব কাছেই রয়েছে নদীয়া জেলার এই অভয়ারণ্য। একদিনের ছুটি কাটিয়ে আসার জায়গা হিসাবে এটি খুবই জনপ্রিয়। আবার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও শিক্ষামূলক ভ্রমণ কেন্দ্র হিসাবে জায়গাটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় ১৫০ উপর প্রজাতির পাখি রয়েছে। রয়েছে ময়ূর, কচ্ছপ, ঘোড়িয়াল। নানা প্রজাতির গাছ। অভয়ারণ্যের বাইরে পিকনিক হওয়া নিয়েও কিছুটা অসন্তুষ্ট বনদপ্তর। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করব। কী সমস্যা হয়, কীভাবে তার মোকাবিলা করা যায় সেটা দেখা হবে।